ফাস্ট বোলিংয়ের ‘ডক্টর’ বুমরার জন্যও কঠিন টি-টোয়েন্টি
সামর্থ্য থাকলে যশপ্রীত বুমরাকে ফাস্ট বোলিংয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি দিতেন ইয়ান বিশপ। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ফাস্ট বোলারের যোগাযোগের সামর্থ্য, জানাশোনা, প্রকাশের ধরন—সবই পছন্দ ধারাভাষ্যকার বিশপের। বুমরাকে ‘প্রফেসর’ ট্যাগ দিয়ে বিশপ বলেছেন, উঠতি পেসারদের জন্য বুমরার লেকচারের ব্যবস্থাও করতেন তিনি এবং সেটি করতেন বুমরা অবসর নেওয়ার আগেই।
গতকাল রাতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে বুমরার ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সের পর এক্সে এমন বলেছেন সাবেক ক্যারিবীয় পেসার বিশপ। মুম্বাইয়ের ১৯২ রানের জবাবে ১৮৩ রান তুলেছে পাঞ্জাব, এমন ম্যাচেও বুমরা মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। নিজের চতুর্থ বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে রাইলি রুশোকে বোল্ড করেছেন বুমরা, চোখে লেগে থাকার মতোই এক ডেলিভারি ছিল সেটি। রুশোর যেন কিছুই করার ছিল না সে বলের বিপক্ষে।
যাঁর সামনে প্রায়ই ব্যাটসম্যানদের এমন অসহায় হয়ে পড়তে হয়, সেই বুমরাই বলছেন, টি-টোয়েন্টির এই যুগে বোলারদের কাজ কতটা কঠিন। আইপিএলের এ মৌসুমেই সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড দুবার গড়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও দেখা গেছে। কিন্তু এমন মৌসুমেও ৭ ম্যাচে মাত্র ৫.৯৬ ইকোনমিতে বোলিং করে বুমরা নিয়েছেন ১৩টি উইকেট।
এ সংস্করণে বলে হয়তো দুই ওভার সুইং থাকে। যখন বেশি বোলিং করতে চাইব, সেটি টেস্টে করব।
তবে বুমরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, বোলারদের কাজটা কত কঠিন, ‘এ সংস্করণে ব্যাটিংয়ে মাত্রা এমনভাবে বাড়ছে, বোলারদের কাজ একটু কঠিন। সময়ের সীমাবদ্ধতার (ওভাররেটের পেনাল্টি) সঙ্গে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়মও বোলারদের পক্ষে নেই সেভাবে। কারণ, এতে ব্যাটিং লাইনআপ বেড়েই চলেছে। যখন অতিরিক্ত বিকল্প থাকবে, তখন আপনি অর্ধ-বোলার হয়ে যাবেন।’
এমন পরিস্থিতিতেও টিকে থাকাটাই মূল ব্যাপার, মনে করেন বুমরা, ‘কিন্তু আমার মনে হয় এ ব্যাপারগুলো ঠিক আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। এখন যা করা যায়, নিজের সামর্থ্যের সেরাটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া। যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের ওপর আস্থা রাখা। কারণ, এই সবকিছু একটা ভালো মানসিক অবস্থানে পৌঁছে দেবে, এরপর মুখে হাসি নিয়ে আপনি নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবেন।’
এমনিতে মুম্বাই ডেথ ওভারেই বুমরার প্রভাবের ওপর বেশি নির্ভর করে। তবে বুমরা চান দ্রুতই ভূমিকা রাখতে, ‘অবশ্যই বলে যখন কিছু (সহায়তা) আছে, সে সময় প্রভাব ফেলতে চাইবেন। কারণ, এ সংস্করণে বলে হয়তো দুই ওভার সুইং থাকে। যখন বেশি বোলিং করতে চাইব, সেটি টেস্টে করব। সেখানেই আমার বেশি বোলিংয়ের ইচ্ছা পূরণ হয়। এ সংস্করণে প্রথম দুই ওভারে বল সুইং করার সময়ই আপনি প্রভাব ফেলতে চাইবেন। সুযোগ পেলে অবদান রাখতে পারলে ভালো লাগে।’
প্রথম তিন ম্যাচ টানা হেরে মৌসুম শুরু করা মুম্বাই পরের চার ম্যাচে জিতল তিনটি। তাদের পরের ম্যাচ ২২ এপ্রিল, জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে।