স্বাগতম!
অ্যাডিলেড ওভালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি ভারত। প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে পাকিস্তান। ১৩ নভেম্বর মেলবোর্নে ফাইনাল।
টস
টসে জিতেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
নেই উড, ম্যালান; ফিরলেন জর্ডান, সল্ট
চোটের কারণে সেমিফাইনালে খেলতে পারছেন না মার্ক উড ও ডেভিড ম্যালান। তাঁদের জায়গায় দলে এসেছেন ফিল সল্ট ও ক্রিস জর্ডান। অপরিবর্তিত আছে ভারত।
নেই উড, ম্যালান; ফিরলেন জর্ডান, সল্ট
চোটের কারণে সেমিফাইনালে খেলতে পারছেন না মার্ক উড ও ডেভিড ম্যালান। তাঁদের জায়গায় দলে এসেছেন ফিল সল্ট ও ক্রিস জর্ডান। বিশ্বকাপে দুজনেরই প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে এটি।
ইংল্যান্ড একাদশ
জস বাটলার (অধিনায়ক), অ্যালেক্স হেলস, ফিল সল্ট, বেন স্টোকস, মঈন আলী, লিয়াম লিভিংস্টোন, হ্যারি ব্রুক, ক্রিস ওকস, স্যাম কারেন, ক্রিস জর্ডান ও আদিল রশিদ।
অপরিবর্তিত ভারত
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছে ভারত। ফলে জায়গা হয়নি দীনেশ কার্তিকের, ঋষভ পন্তকেই খেলাচ্ছে তারা।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্ত, অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামি ও অর্শদীপ সিং।
অপেক্ষায় পাকিস্তান
প্রসঙ্গ অ্যাডিলেড ওভাল
এ মাঠের স্কয়ারে বাউন্ডারি বেশ ছোট, ৬০-৬৫ মিটার। তবে স্ট্রেইট বাউন্ডারি প্রায় ৮০ মিটার। দুই দলের কৌশল স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তন করতে হবে সে অনুযায়ী। ভারত এ মাঠে খেলেছে এবার, হারিয়েছে বাংলাদেশকে। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের এটিই প্রথম ম্যাচ।
এখন পর্যন্ত এখানে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টসে হারা কোনো দল জিততে পারেনি। প্রথম ইনিংসে গড় স্কোর ১৫৭ রান।
স্টোকসের প্রথম ওভারে ৬
প্রথম ওভার করতে আসা বেন স্টোকসের প্রথম বলেই কাট করে চার মেরেছেন লোকেশ রাহুল। এবার বিশ্বকাপে প্রথম ওভারে এই প্রথম চার হজম করল ইংল্যান্ড। হালকা মুভমেন্ট পেয়েছেন স্টোকস, ওই চারের পর লাইন ছিল আঁটসাঁট। প্রথম ওভারে উঠেছে ৬ রান।
দেখা যাবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই?
রাহুলকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত ওকসের
অফ স্টাম্পের বাইরে হার্ড লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বল, তাতে ব্যাট চালিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। হয়তো স্কয়ারে ছোট বাউন্ডারি মাথায় ছিল তাঁর। তবে এ ওপেনার হয়েছেন কট বিহাইন্ড, ৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ভারত।
কোহলির ছক্কা
প্রথম ওভারের প্রথম বলে চারের পর থেকে উল্লাস করার মতো তেমন কিছু পাননি অ্যাডিলেড ওভালের ভারত সমর্থকেরা। তাদেরকে একটু জাগিয়ে তুললেন বিরাট কোহলি। চতুর্থ ওভারে ওকসের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাটের ফেস ওপেন করেছেন, এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে এসেছে ম্যাচের প্রথম ছক্কা।
এর আগে তৃতীয় ওভারে স্যাম কারেনকে এনেছিলেন জস বাটলার, ক্রিস জর্ডান আছেন বলে ডেথ ওভারে বাড়তি অপশন আছে ইংল্যান্ড অধিনায়কের। কারেনের বলে কোহলি এজড হলেও সেটি পড়েছিল প্রথম স্লিপের সামনেই। কারেনের করা ওই ওভারে এসেছিল মাত্র ১ রান।
৪ ওভার শেষে ভারত ২১/১।
ঘটনাবহুল ওভার
স্যাম কারেনের পরপর দুই বলে দুটি চার, তবে একটিতেও তেমন নিয়ন্ত্রণ ছিল না রোহিতের। প্রথমটি গেছে মিডউইকেটে থাকা ওকসের মাথার ওপর দিয়ে, পরেরটি তাঁর বাঁদিকের গ্যাপ দিয়ে। পরের বলে কাট করেছিলেন রোহিত, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে তাতে হাত লাগিয়েছিলেন হ্যারি ব্রুক। ক্যাচ হলে সেটি হতে পারত দুর্দান্ত, তবে নিশ্চিতভাবেই ৩ রান বাঁচিয়েছেন ব্রুক।
৫ ওভার শেষে ৩১/১।
ভারত ৬ ওভারে ৩৮/১
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসেছেন আদিল রশিদ, আরেকটি উইকেট চান বাটলার। প্রথম বলেই রশিদকে সুইপ করে চার মেরেছেন রোহিত। শেষ বলে প্রায় ফিরতি ক্যাচ দিতে ধরেছিলেন রোহিত, নাগাল পাননি রশিদ।
সুপার টুয়েলভে জিম্বাবুয়ে, নেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তানের পর চতুর্থ সর্বনিম্ন ৫.৯৬ হারে পাওয়ারপ্লেতে রান তুলেছে ভারত। আজ ৬.৩৩ হারে ৩৮ রান তুলল তারা। অবশ্য ধীরগতির শুরুর পর রানের গতি বাড়ায় ভারত, মাঝের ওভার (৮.৫০) ও ডেথ ওভারে (১১.৯০) আর সবার চেয়ে বেশি হারে রান তুলেছে তারা।
আক্রমণে লিভিংস্টোন
মার্ক উড নেই, ক্রিজে দুই ডানহাতি। মঈন আলীকে সহজেই আনতে চাইবেন না বাটলার। অষ্টম ওভার করতে এসেছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন, ডানহাতির বিপক্ষে লেগ স্পিন, বাঁহাতির বিপক্ষে অফ স্পিন করেন যিনি। লিভিংস্টোনের প্রথম ওভারে এসেছে ৮ রান। তবে রোহিত-কোহলির জুটি এগোচ্ছে ভালোভাবেই।
রোহিতকে ফেরালেন জর্ডান
২৭ বলে ২৭ রান, তবে এ অবস্থাতেও রোহিত আরও কিছুক্ষণ থাকলে নিশ্চিতভাবেই অস্বস্তিতে থাকত ইংল্যান্ড। ২৮তম বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অনের বড় পকেটে স্যাম কারেনের ধরা পড়েছেন ভারত অধিনায়ক। প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই সফল হলেন ক্রিস জর্ডান। কোহলির সঙ্গে রোহিতের জুটিতে ৪৩ বলে উঠেছে ৪৭ রান।
অ্যাডিলেডে সূর্য
সূর্যকুমার যাদব যে ফর্মে আছেন, কার্যত তাঁর ব্যাটিংয়ে তেমন দূর্বলতা নেই। বাঁহাতি স্পিনে রেকর্ড একটু কম ভালো তাঁর, তবে বাটলারের হাতে তেমন অপশন নেই কেউ। তৃতীয় ওভারের জন্য উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের সেরা অস্ত্র রশিদকে এনেছিলেন বাটলার, ওই ওভারে ৫ রান এলেও সফল হননি রশিদ।
পরের ওভারে সূর্যকুমার নিজের ঝলক আরেকবার দেখিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। স্টোকসের শর্ট বলে প্রথম হুক করেছেন, যেটি ছয় হয়েছে ফাইন লেগ দিয়ে। পরের বলে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরেছেন সূর্যকুমার।
সূর্যকে ফেরালেন রশিদ
এবং ডুবে গেল সূর্য! রশিদের ঝুলিয়ে দেওয়ে লেগ ব্রেক ডেলিভারিটা জায়গা বানিয়ে তুলে মেরেছিলেন সূর্যকুমার, তবে এবার আর বাউন্ডারি পার করতে পারেননি। কাভারে ফিল সল্টের হাতে ধরা পড়তে হয়েছে স্বপ্নের ফর্মে থাকা ভারত ব্যাটসম্যানকে, ১০ বলে ১৪ রান করে। বিশাল, বিশাল ব্রেকথ্রু ইংল্যান্ডের!
ভারতের এক শ
দুটি চার! লিয়াম লিভিংস্টোনের করা ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন হার্দিক পান্ডিয়া। স্ট্রেট দিয়ে সপাট ড্রাইভে সীমানা পার করেন। শেষ বলে কাভার দিয়ে চার মেরে ভারতের রান এক শ–তে নিয়ে যান কোহলি।
১৫ ওভার শেষে ভারত ৩ উইকেটে ১০০। কোহলি ৩৫ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত। ১২ বলে ৯ রানে ব্যাট করছেন হার্দিক পান্ডিয়া।
শেষ ৫ ওভারে কত তুলতে পারবে ভারত?
কাভারে ছক্কা!
কোহলি উইকেটে এসেই কাভার দিয়ে একটি মেরেছেন। এবার মারলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৭তম ওভারে স্যাম কারেনের প্রথম বল কাভার দিয়ে ছক্কা মারেন এই অলরাউন্ডার। দুর্দান্ত শট!
ভারত ১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১২১। ৩৪ বলে ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন কোহলি ও পান্ডিয়া।
ফিফটির পরই আউট কোহলি
প্রথমে জর্ডানের ইনটু দ্য পিচ বল, পুল করে ছয়। পরের বলে ফুললেংথে, প্যাডের ওপর থেকে পান্ডিয়া ফ্লিক করে মেরেছেন আরেকটি ছয়। তবে এরপর শর্ট বল ও ইয়র্কারে ফিরে এসেছেন জর্ডান।
তবে ওই ওভারে কাভার থেকে ডাবলস নিয়ে ঘরের বাইরে ঘরের মাঠে ফিফটি পূর্ণ করেছেন কোহলি, লেগেছে ৩৯ বল। ঠিক পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন কোহলি। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুললেংথের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়েছিলেন, গালিতে ডান দিকে ডাইভ দিয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন রশিদ।
ভারত ১৮ ওভারে ১৩৬/৪।
পান্ডিয়ার ফিফটি
ডেথ ওভারে ইংল্যান্ডের সেরা অস্ত্র স্যাম কারেন, পান্ডিয়া চড়াও হলেন তাঁর ওপরই। স্ল্যাশ করে চার মেরে শুরুটা করেছিলেন পন্ত। এরপর ওয়াইড ইয়র্কারে ব্যাট চালিয়ে চার মেরেছেন পান্ডিয়া, এরপর ব্যাক অব আ লেংথ বলে টেনে মেরেছেন ছয়। শেষ বলে ফ্লিক করে মেরেছেন আরেকটি চার, বেন স্টোকস আটকালেও বাউন্ডারির ভেতরে রাখতে পারেননি। ওই চারেই ফিফটি হয়ে গেছে পান্ডিয়ার, মাত্র ২৯ বলে।
কারেন ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪২ রান, উইকেট পাননি কোনো। ১ ওভার বাকি থাকতে ভারত পৌঁছে গেছে ১৫৬ রানে।
পান্ডিয়া-ঝড়ে ভারতের ১৬৮
জর্ডানের করা শেষ ওভারের প্রথম ২ বলে ২ রানের পর তৃতীয় বলে বাটলারের হাত থেকে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউট হয়েছেন পন্ত। রান ছিল না সেখানে, পান্ডিয়ার জন্য নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন।
রানআউটের কারণে স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন পান্ডিয়া। চতুর্থ বলে ফুললেংথের বলে ব্যাট চালিয়ে আকাশে তুলেছিলেন, লং অন বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে থাকলেও নাগাল পাননি। পঞ্চম বলে ফুলটস, স্কয়ার লেগ দিয়ে চার। এবার নাগাল পাননি স্টোকস। শেষ বলে চার মেরেছিলেন পান্ডিয়া, তবে তার আগেই স্টাম্পে পা লেগে হয়েছেন হিট উইকেট। ৩৩ বলে এর আগে খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস।
ভারত ২০ ওভারে তুলেছে ১৬৮ রান।
এ টুর্নামেন্টে পাওয়ারপ্লের পর থেকে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়িয়েছে ভারত, এ ম্যাচে অবশ্য মাঝের ওভারগুলোতেও তাদের আটকে রাখতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। পাওয়ারপ্লেতে ৩৮ রানের পর ৭ থেকে ১৬ ওভারে ভারত তুলেছিল ৭২ রান (টুর্নামেন্টে এর আগে মাঝের ওভারগুলোতে ভারতের রান রেট ছিল ৮.৫০)। তবে কোহলি ও পান্ডিয়া ইনিংস নিয়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত, ওই ভিতে দাঁড়িয়ে ঝড় তুলেছেন পান্ডিয়া। ভারত শেষ ৪ ওভারে তুলেছে ৫৮ রান, ১৪.৫ হারে।
যখন আপনি অ্যাডিলেডে....
তিন চারে শুরু বাটলারের
শুরুর সুইংয়ে একটু নড়বড়ে জস বাটলার। পাওয়ারপ্লেতেও শুরুটা ধীরগতিরই করেন তিনি। আজ অবশ্য ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম চারটি বৈধ ডেলিভারির দুটিতেই চার মেরেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, দুটিই কাভারের গ্যাপ দিয়ে। দ্বিতীয়টি ক্যাচের মতো উঠেছিল, নাগাল পাননি সূর্যকুমার যাদব। মাঝে স্টাম্পের ওপরে উঠে এসেছিলেন ঋষভ পন্ত, তবে ফিরে গেছেন আবার। ভুবনেশ্বর অবশ্য মুভমেন্টের দেখা পেয়েছেন ঠিকই। তবে শেষ বলটি পায়ের ওপর করেছিলেন, ফ্লিক করে চার মারতে ভুল হয়নি বাটলারের। তিন চারের সঙ্গে এ ওভারে এসেছে একটি ওয়াইড।
৩ ওভারে ৩৩/০
ভুবনেশ্বরের নাকল বল। অ্যালেক্স হেলস অপেক্ষা করলেন, জায়গা বানালেন, এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে মারলেন ছয়। মাঝে অর্শদীপ সিংয়ের প্রথম ওভারে এসেছিল ৮ রান, ভুবনেশ্বরের দ্বিতীয় ওভারে এসেছে ১২ রান। ৩ ওভারে ৩৩/০, ইতিবাচক শুরু ইংল্যান্ডের।
চতুর্থ ওভারেই অক্ষর
দুই ডানহাতির সামনে বাঁহাতি অক্ষর প্যাটেলকে আনলেন রোহিত, চতুর্থ ওভারেই। প্রথম বলেই লেগ স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরেছেন বাটলার। পরের বলে অবশ্য সেভাবে টাইমিং হয়নি, ক্যাচের মতো উঠেছিল। তবে বৃত্তের ভেতরে থাকা হার্দিক পান্ডিয়া নাগাল পাননি। পরের ৫ বলে এসেছে চারটি সিঙ্গেল।
পঞ্চম ওভারে ইংল্যান্ডের ৫০
প্রথমে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছয়। এরপর জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে হেলস এজড হলেও সেটি গেছে স্লিপ ও উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে। মোহাম্মদ শামির প্রথম ওভারে এসেছে ১১ রান। পঞ্চম ওভারেই ৫০ পেরিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড ৬৩/০, ৬ ওভার শেষে
হার্দিক পান্ডিয়া, বিরাট কোহলিরা চেষ্টা করছেন অ্যাডিলেড ওভারের দর্শকদের। তবে হেলস ও বাটলার স্তব্ধ করে দিচ্ছেন তাদের। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসেছিলেন অক্ষর, প্রথমে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরেছেন হেলস। শেষ বলে টেনে মিডউইকেট দিয়ে চার মেরেছেন বাটলার। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬৩ রান তুলে ফেলেছে ইংল্যান্ড, ভারত এ সময়ে তুলেছিল ৩৮ রান।
হেলসের ফিফটি
২৮ বলে! রান তাড়ায় অ্যালেক্স হেলস দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিলেন। সেই পথে ফিফটিও তুলে নিলেন। সর্বশেষ ৩ ম্যাচে হেলসের এটি দ্বিতীয় ফিফটি, মাঝে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ৩০ বলে ৪৭ রানের ইনিংস।
ইংল্যান্ড ৮ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৮৪।
ফিল্ডিংয়ে এলোমেলো ভারত
জস বাটলার স্কুপ করেছিলেন পান্ডিয়ার বলে। সে বলে ২ রানের বেশি পাওয়ার কথা ছিল না। তবে ফাইন লেগে ফিল্ডিংয়ের পর নিজে থ্রো না করে সামনে থাকা সতীর্থর দিকে বল ছুড়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ শামি, যেটি গেছে তাঁর মাথার ওপর দিয়ে। ফলে বাটলার ও হেলস দৌড়েই নিয়েছেন ৪ রান। পান্ডিয়ার করা নবম ওভারে এসেছে ৭ রান, ইংল্যান্ডের স্কোর ৯১/০।
১০ ওভার শেষে
প্রথম ১০ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৬২ রান। এ সময়ে ইংল্যান্ড তুলে ফেলেছে ৯৮ রান, কোনো উইকেট না হারিয়ে।
১০০ রানের ওপেনিং জুটি
হার্ড লেংথে করতে চেয়েছিলেন পান্ডিয়া, তবে বল ওঠেনি সেভাবে। টেনে মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মেরেছেন হেলস। ওই শটেই ১০০ পেরিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। ফলে বাটলার ও হেলসের ওপেনিং জুটিও পেরিয়ে গেছে শত রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো ইংল্যান্ডের কোনো ওপেনিং জুটিতে এলো ১০০ রান, ২০০৯ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১০২ রান যোগ করেছিলেন রবি বোপারা ও লুক রাইট।
হেলসকে থামাতে পারছে না ভারত
স্লগ সুইপ করে ছক্কা, এরপর টেনে অফ সাইড দিয়ে চার মেরেছেন হেলস। আপাতত হেলসকে স্ট্রাইক ফিরিয়ে দিয়েই সন্তুষ্ট মনে হচ্ছে বাটলারকে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের করা ১২তম ওভারে এসেছে ১৫ রান। শেষ ৪৮ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৪৬ রান।
এবার বাটলারের ফিফটি
বাটলার স্কুপ করতে যাচ্ছেন দেখে পান্ডিয়া করলেন শর্ট লেংথে। তবে ইংল্যান্ড অধিনায়ক থামলেন না। কিছুটা ছুটতে ছুটতেই ঘুরিয়ে খেললেন, পেলেন চার। এরপর আবার শর্ট লেংথে, বাটলার সেটিতে করলেন পুল। স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা, তাতেই ফিফটি হয়ে গেল তাঁর। মাইলফলকে যেতে লেগেছে ৩৬ বল।
জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন মাত্র ২৯ রান।
যে দিনটা ভারতের নয়
দিনটা ভারতের জন্য এমনই! অবশেষে একটি মিসটাইমিংয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন বাটলার। মিড অফে থাকা সূর্যকুমার হাতে নিয়েও রাখতে পারেননি, সেটিতে এসেছে চার রান। ১৪তম ওভার ওপেনিং জুটি ভাঙার সুযোগ হারাল ভারত। বাটলার-হেলসের জুটি পেরিয়ে গেছে ১৫০ রান।
ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৫ রান, বাকি… ৬ ওভার!
এমসিজি ডাকছে ইংল্যান্ডকে
রেকর্ড জুটি
হেলস বাটলারের ওপেনিং জুটি অবিচ্ছিন্ন ১৫৯ রানে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রান তাড়ায় যে কোনো উইকেটেই এটি সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৫২*, সেটিও এসেছিল ভারতের বিপক্ষেই, গত বিশ্বকাপে!
১০ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড!
ইনিংসের শেষ বলে হিট উইকেট হয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেটি না হলে পেতে পারতেন ৪ রান। ধারাভাষ্যে নাসের হুসেইন বলেছিলেন, ম্যাচের শেষে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে সে ঘটনা।
নাসের নিজেও হয়তো ভাবেননি, এরপর অ্যাডিলেড ওভালে কী হতে চলেছে! শেষ বলের ওই ঘটনা চাপা পড়ে যাবে কোথায়!
১৬তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ শামিকে টেনে লং অনের ওপর দিয়ে ছয় মেরে যখন উল্লাসে মাতলেন বাটলার, ভারতের ১৬৯ রানের লক্ষ্য ইংল্যান্ড পেরিয়ে গেছে ১০ উইকেট ও ২৪ বল বাকি থাকতেই! ভারত ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে ধীরে শুরু করেছিল, মাঝের ওভারগুলোতেও ছিল চুপচাপই। তবে ডেথ ওভারে ইংল্যান্ডের ওপর চড়াও হয়েছিল তারা। মোমেন্টাম পক্ষে ছিল তাদের, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জমজমাট লড়াই আশা করেছিলেন হয়তো সবাই।
তবে হেলস ও বাটলার ইংল্যান্ড ইনিংস ডেথ ওভারে নিয়েই যেতে দিলেন না। লড়াইটিকে বানিয়ে ফেললেন চরম একপেশে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের রেকর্ড ১৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন হেলস ও বাটলার। অ্যাডিলেড স্তব্ধ হয়ে ছিল অনেক আগে থেকেই, সেখানে এরপর বেজে উঠেছে সুইট ক্যারোলাইন।
মেলবোর্নে আগামী ১৩ নভেম্বর ফাইনালে পাকিস্তানের সঙ্গী ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড। ৩০ বছর আগে এমসিজিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান, এবারও হচ্ছে সেটিই।
ম্যাচসেরা হেলস
কখনো ভাবিনি আবার বিশ্বকাপে খেলব। সুযোগ পাওয়ার অনুভূতিটাই বিশেষ কিছু ছিল। এ দেশে (অস্ট্রেলিয়ায়) খেলতে ভালোবাসি। জস (বাটলার) অবিশ্বাস্য ছিল।
বলছেন রোহিত
আমরা বোলিংয়ে ভালো ছিলাম না। এমন উইকেটে এ রান ১০ উইকেটে তাড়া করার কথা নয়। তবে হতেই পারে।
সবাইকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন বাটলার
অবশ্যই মনে হচ্ছে (পারফেক্টের কাছাকাছি ম্যাচ)। এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। সবাই সামনে এগিয়ে এসেছে।
টানা চতুর্থ সেমিফাইনাল হারল ভার
সামনে আসছে ফুটবল বিশ্বকাপ
হেলসের ফিরে আসা...
হেলসকেও দু-একজন ভালোবাসেন। ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ডেভিড লয়েড যেমন টুইট করেছেন, ‘অ্যালেক্স হেলস...দায়মোচন...লেগে থাকলে যে বাজে পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা যায়, এটাই তার প্রমাণ।’ হেলসকে দেখে শুধু ক্রিকেটাররা নয়, সাধারণ মানুষও শিক্ষা নিতে পারেন!