সাকিবের ভবিষ্যৎ আর নাজমুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
নাজমুল হোসেন কি সত্যিই ছেড়ে দিচ্ছেন সব সংস্করণের অধিনায়কত্ব? দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি চট্টগ্রাম টেস্টই কি অধিনায়ক হিসেবে তাঁর শেষ ম্যাচ? সেটি হলে কে বা কারা হবেন নতুন অধিনায়ক?
রাজনৈতিক কারণে দেশের মাঠের ক্রিকেটে ব্রাত্য হয়ে পড়া সাকিব আল হাসান কি থাকবেন আফগানিস্তান সিরিজের ওয়ানডে দলে? বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর ব্যাপারে বিসিবির অবস্থানই–বা কী হবে?
প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের কোচিং প্যানেলে কি যোগ হচ্ছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন? আবারও কি সহকারী কোচ হয়ে ফিরছেন জাতীয় দলের এই সাবেক সহকারী কোচ?
এমন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের আজকের সভায়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে আজ বিকেলে হবে গুরুত্বপূর্ণ এই সভা।
টেস্ট ও ওয়ানডের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে, টি-টোয়েন্টি দলের সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে শোনা যাচ্ছে তাওহিদ হৃদয়ের নাম। তবে নতুন অধিনায়ক ঠিক করার আলোচনায় আসতে পারে লিটন দাসের নামও।
সংবাদমাধ্যমের খবর, নাজমুল হোসেন নিজেই আর চাইছেন না জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করতে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে এ ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। সূত্র জানিয়েছে, মূলত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণেই নাজমুলের এমন সিদ্ধান্ত। সঙ্গে নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাড়ানোও একটা উদ্দেশ্য।
বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, নাজমুলের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে আজকের সভায় ঠিক হতে পারে নতুন অধিনায়ক। টেস্ট ও ওয়ানডের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে, টি-টোয়েন্টি দলের সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে শোনা যাচ্ছে তাওহিদ হৃদয়ের নাম। তবে নতুন অধিনায়ক ঠিক করার আলোচনায় আসতে পারে লিটন দাসের নামও।
একটি পক্ষের বিরোধিতার কারণে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে পূরণ হয়নি সাকিবের। কিন্তু ওয়ানডে থেকে যেহেতু অবসর নেননি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজে তিনি থাকতেই পারেন। তবে জাতীয় দলে সাকিবের খেলা নিয়ে সরকারি মনোভাবটাও এ ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাকিব যদি দেশের মাটিতে না খেলেও বিদেশে হওয়া সিরিজে দলে থাকেন, এ ব্যাপারে বিসিবির ব্যাখ্যাটা তখন কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হবে।
বাংলাদেশ দলের সাবেক সহকারী কোচ সালাউদ্দিনের আবারও আগের পদে ফেরার বিষয়টি একরকম চূড়ান্ত বলেই জানা গেছে। সব ঠিক থাকলে আফগানিস্তান সিরিজ থেকেই সিমন্সের সহকারীর দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি। এ ব্যাপারেও আজকের বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।
নাজমুল ও সাকিবের ব্যাপারে বিসিবির অবস্থান পরিষ্কার হলে দু–এক দিনের মধ্যেই ঘোষিত হবে আফগানিস্তান সিরিজের দল। তবে দল ঘোষণার আগেই দুঃসংবাদ—আমিরাত সফরের এই দলে থাকছেন না তানজিম হাসান। জাতীয় লিগের ম্যাচে কাঁধে গুরুতর চোট পেয়েছেন এই পেসার। বেশ কিছু দিন মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তাঁকে।
নির্বাচকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে পাকিস্তান সফরে পাওয়া মুশফিকুর রহিমের কাঁধের চোটও। পাকিস্তান সফরের পর ভারত সিরিজ এবং চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটাও তিনি খেলছেন বিশেষ ব্যবস্থায়। তাতে যেহেতু এখন পর্যন্ত সমস্যা হয়নি, মুশফিক থাকবেন আফগানিস্তান সিরিজের দলেও। তবে চোটের কারণে একটা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। ব্যাটিং আর উইকেটকিপিং বা ফিল্ডিংয়েও থাকছে কিছু সীমাবদ্ধতা।
বিসিবির আজকের সভায় আলোচনা হতে পারে পরিচালনা পর্ষদের শূন্য পদ ও গঠনতন্ত্রের সংশোধনী–সংক্রান্ত উপকমিটি গঠন নিয়েও। ২৮ অক্টোবর দেওয়া এক চিঠিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বিসিবির কাছে জানতে চেয়েছে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরপর তিনটি বোর্ড সভায় অনুপস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত পরিচালনা পর্ষদের কতটি পদ শূন্য হয়েছে এবং শূন্য হলে সে ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? চলতি মেয়াদে কোন কোন পরিচালক পরপর কতটি সভায় অনুপস্থিত আছেন বা ছিলেন, তারিখসহ জানাতে বলা হয়েছে তা–ও। ২৯ অক্টোবর পাঠানো আরেকটি চিঠিতে বিসিবিকে গঠনতন্ত্র সংস্কারে উপকমিটি গঠনেরও অনুরোধ জানিয়েছে এনএসসি।