চেন্নাইয়ের মাঠে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা থাকলেও গতকালের ম্যাচে বল ঘুরবে না, এমনটাই ধারণা ছিল। হয়েছে তা–ই। অবশ্য ভালো উইকেট পেয়েও বাংলাদেশ যথেষ্ট রান করতে পারেনি। তবে এই প্রথম বোলিং ইউনিট তাদের নামের প্রতি কিছুটা সুবিচার করেছে। তবে দলে পাঁচজন বোলার যথেষ্ট কি না, তা ভেবে দেখা দরকার। দল নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষের হয়তো এখানেই শেষ। পরের ম্যাচ থেকে আশা করি, দল গঠনে স্থিরতা আসবে।
লিটন দাস ৩/১০
প্রথম বলে আউট হয়ে এই ম্যাচে আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলার যৌক্তিকতা শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছে সে। এই লিটনকে বেশ অচেনাই লাগছে। ফিল্ডিংয়ের জন্য ১ বোনাস।
তানজিদ হাসান ৩/১০
প্রথম ধাক্কা সামলানোর পর সুযোগ ছিল বড় ইনিংস খেলে নিজেকে প্রমাণ করার এবং বড় দলীয় স্কোর গড়ার। এই পর্যায়ে এসে তানজিদকে আরও গুছিয়ে খেলা শিখতে হবে। সফট ডিসমিসাল।
মেহেদী হাসান মিরাজ ৬/১০
এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ত্রাতার ভূমিকা পালন করল। তবে মনে রাখতে হবে, বড় ইনিংস খেলতে চাইলে রানের ক্ষুধা ও পরিশ্রমের বিকল্প নেই। বোলিং সন্তোষজনক। তবে চাপের মুখে কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলবে।
নাজমুল হোসেন ২/১০
দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হলো। আত্মবিশ্বাসী ও ইনফর্ম নাজমুলের রানে ফেরা জরুরি। উইলিয়ামসনের ইনিংস নাজমুলের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।
সাকিব আল হাসান ৬.৫/১০
মুশফিকের সঙ্গে দলকে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে বাঁচালেও শেষ রক্ষা হয়নি। সময় নিয়ে থিতু হওয়ার পর দলকে আরও টেনে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। আঘাতের কারণে হয়তো ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন হয়েছে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধেও স্বাচ্ছন্দ্যে বোলিং করছে।
মুশফিকুর রহিম ৭.৫/১০
ঝকঝকে ইনিংস। তবে ইনিংসটাকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারলে বাংলাদেশ দলের স্কোর ২৮০ বা তার বেশি হতে পারত। ভালো ফর্মে আছে, যা কাজে লাগানো দরকার।
তাওহিদ হৃদয় ৩/১০
১৩ ওভার বাকি থাকতে আউট হলো। বাকি ম্যাচে ভালো করবে, এই বিশ্বাসটা এখনো আছে। গতকালের ব্যর্থতায় সবচেয়ে বেশি অনুশোচনা ওরই হওয়ার কথা।
মাহমুদউল্লাহ ৬/১০
দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে এত ঘটনা ঘটে গেছে। আট নম্বরে সঙ্গীহীন, একা। তবু হাল ছেড়ে না দিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দিল যা বোঝানোর। ওর কারণেই বোলাররা একটা পুঁজি পেল।
তাসকিন আহমেদ ৬/১০
ব্যাটসম্যানদের চোখে চোখ রেখে বল করা সেই আক্রমণাত্মক তাসকিনকে খুঁজে পাচ্ছি না। তবে গতকাল আগের চেয়ে কিছুটা কার্যকর ছিল। ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট পারদর্শিতার জন্য বাড়তি ১ পয়েন্ট।
মোস্তাফিজুর রহমান ৫.৫/১০
শুরুতেই উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি চাপে রাখতে সক্ষম হয়েছে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের। শরীরী ভাষাতেও ইতিবাচক মনে হয়েছে।
শরীফুল ইসলাম ৫.৫/১০
উইকেট না পাওয়াটা কিছুটা দুর্ভাগ্যজনক। সুইং, বাউন্স—সব মিলিয়ে বেশ কার্যকর ছিল তার বোলিং। উইকেটের সাহায্য না থাকলে কী করণীয়, সেটি নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তায় থাকতে পারে।