পাকিস্তানের কাছে হারে সুপার ফোর শুরু, তারপর গতকাল শ্রীলঙ্কার কাছেও হার। এশিয়া কাপে ভারতের ফাইনাল খেলার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেছে বললেই চলে। ক্ষীণ যে আশাটুকু আছে, সেটা শুধু অঙ্কের হিসেবে। ১১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের ফাইনালে ভারত থাকবে—এমন আশা সম্ভবত ঘোরতর ভারত সমর্থকেরাও করতে সাহস করছেন না এখন। তারপরেও নানান সমীকরণ মিলিয়ে এখনো ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায় ভারতকে। সেই সমীকরণটা কী রকম, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
গতকাল ভারতকে হারানোর আগে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকেও হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আপাতত ২ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে দাসুন শানাকার দল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান সুপার ফোরে একটাই ম্যাচ খেলেছে এখন পর্যন্ত, ভারতকে সেই ম্যাচে হারানোর পর আপাতত পাকিস্তানের পয়েন্ট ২। ভারত এবং আফগানিস্তান সুপার ফোরে এখনো কোনো ম্যাচে জেতেনি, দুই দলেরই তাই পয়েন্ট শূন্য। তবে ভারত খেলেছে দুটি ম্যাচ, আফগানিস্তান একটি।
রোহিত শর্মাদের আর একটাই ম্যাচ বাকি, ৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে জিতলে ভারতের পয়েন্ট হবে ২। কিন্তু শুধু সেই ২ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনাল খেলা যাবে না। এ জন্য ভারতকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি তিন দলের ম্যাচগুলোর দিকে। আজ যদি যদি পাকিস্তান হারিয়ে দেয় আফগানিস্তানকে, তাহলে ফাইনালে উঠে যাবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান-এই দুই দল। তখন আর কোনো হিসেব-নিকেশের দরকারই হবে না। ফাইনালের আগে বাকি সব ম্যাচই হয়ে যাবে নিয়মরক্ষার।
তবে পাকিস্তান আজ আফগানিস্তানের কাছে এবং ৯ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার কাছেও হারে, সে ক্ষেত্রে বাবর আজমদের পয়েন্ট থেকে যাবে ২। ওদিকে পাকিস্তানকে হারিয়ে আফগানিস্তান যদি ভারতের কাছে হেরে যায়, তাহলে আফগানিস্তান ও ভারত এই দুই দলেরও পয়েন্ট হবে ২ করে। তার মানে, তখন শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট হবে ৬, বাকি তিন দলের ২ করে। সে ক্ষেত্রে ফাইনালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গী বেছে নেওয়ার জন্য দেখা হবে নেট রান রেট। ভারতের সুযোগ তৈরি হতে পারে ওই জায়গাতেই। পাকিস্তান দুই ম্যাচে যদি বড় ব্যবধানে হারে, ভারত যদি শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জেতে, তাহলেই শুধু ভারতের সুযোগ থাকবে ফাইনালে খেলার। তবে এখন পাকিস্তান ও ভারতের নেট রান রেটের যে ব্যবধান, তাতে সেই সম্ভাবনাও খুব ক্ষীণই বলা যায়।