বাভুমার কীর্তি ম্লান করে অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন ‘বদলি’ লাবুশেন
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস যখন শেষ হলো, অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়েরা একে একে এগিয়ে গেলেন টেন্ডা বাভুমার দিকে। প্রোটিয়া অধিনায়ককে অভিনন্দন জানালেন তাঁরা। ব্লুমফন্টেইনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তিনি যে অসাধারণ এক কীর্তি গড়েছেন। ওয়ানডেতে ইতিহাসের ১৩তম আর দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আদ্যন্ত ব্যাটিং করেছেন বাভূমা।
ম্যাচ শেষে বাভুমার প্রাপ্তি ওই কীর্তি গড়াই। তাঁর এমন কীর্তিকে ম্লান করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অসাধারণ এক জয় এনে দিয়েছেন ‘বদলি’ খেলোয়াড় মারনাশ লাবুশেন। মোটামুটি লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ব্যাটিং ধসে পড়া অস্ট্রেলিয়াকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন তিনি।
জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল মাত্র ২২৩ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে ১১. ১ ওভারে সাত্র ৭২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ১১৩ রানে হারায় ৭ উইকেট। এই অবস্থা থেকে দলকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিতে ৯৩ বলে অপরাজিত ৮০ রান করেছেন লাবুশেন। ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৮টি চার দিয়ে।
অথচ অস্ট্রেলিয়ার এই জয়ের নায়কের আজ খেলারই কথা ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার একাদশে ছিলেন না লাবুশেন, ছিলেন বদলি খেলোয়াড়ের তালিকায়। ক্যামেরন গ্রিনের মাথায় বল লাগলে তিনি মাঠের বাইরে চলে যান। তাঁর কানকাশন বদলি হিসেবে লাবুশেন ক্রিজে আসেন অস্ট্রেলিয়া পঞ্চম উইকেট হারানোর পর।
উইকেটে আসার পর স্কোরবোর্ডে আর ৪১ রান উঠতেই আরও দুজন সঙ্গীকে হারান লাবুশেন। এরপর অ্যাস্টন অ্যাগারকে নিয়ে শুরু করেন লড়াই। সেই লড়াই শেষ করেন জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে। অষ্টম উইেট জুটিতে অ্যাগারের সঙ্গে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ১১২ রানের জুটি। অ্যাগার অপরাজিত ছিলেন ৬৯ বলে ৪৮ রান করে।
দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলার পথে লাবুশেন যে একেবারেই সুযোগ দেননি, তা নয়। অস্ট্রেলিয়া যখন ৭ উইকেটে ১৯১ রান, তখনো একবার সুযোগ দিয়েছেন লাবুশেন। কিন্তু কেশব মহারাজের বলে তাঁকে স্টাম্পিং করতে ব্যর্থ হন কুইন্টন ডি কক। সেই সময়লাবুশেনের রান ছিল ৬৬।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে একা টেনেছেন বাভুমা। ৪৯ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা যে ২২২ রান তুলেছে, এর অর্ধেকের বেশি রান বাভুমার। ১৪২ বলে ১৪টি চার ও ২টি ছয়ে ১১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ হাসি জাসতে পারেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন মার্কো ইয়ানসেন। হ্যাজলউড ৪১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।