২০২৩–এ এসেও বর্ণবাদ, লুকাকুর পাশে এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস
পরশু কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালে জুভেন্টাস–ইন্টার মিলান ম্যাচটি মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের ঘটনা দিয়েই বেশি আলোচিত। এ ম্যাচে ইন্টার মিলানের বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকুর প্রতি জুভেন্টাস সমর্থকদের বর্ণবিদ্বেষী আচরণ ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
শুধু এ ম্যাচই নয়, ফুটবল মাঠ প্রায়ই কলুষিত হয় বর্ণবাদের হিংস্র থাবায়। সেটি নিয়ে প্রচুর হইচই হয়, প্রতিবাদ–তদন্তও হয় প্রচুর। কিন্তু বিষয়টা থামাতে কার্যকর পদক্ষেপের কোনো দৃষ্টান্ত নেই। এবার বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়ে ‘সত্যিকার অর্থে’ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন লুকাকু।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে হুয়ান কুয়াদ্রাদোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল জুভেন্টাস। ম্যাচে জুভরা যখন জয়ের প্রহর গুনছে, তখনই পেনাল্টি পায় ইন্টার। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান লুকাকু। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু বিপত্তি বাধে লুকাকু উদ্যাপন করতে যাওয়ার পর। মুখে আঙুল রেখে মুখ বন্ধ রাখার ইঙ্গিত করা লুকাকুর এই উদ্যাপন পছন্দ হয়নি জুভেন্টাসের খেলোয়াড়দের।
বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লুকাকু।
এ ঘটনার পর বেশ উত্তপ্ত হয়ে ইতালিয়ান ফুটবল। সংবাদ সংস্থা এএফপি বলছে, এই গোলের আগে জুভেন্টাস সমর্থকদের বর্ণবাদী গালাগাল করেছিলেন লুকাকুকে। সে কারণেই গোলের পরে তিনি সবাইকে চুপ থাকার ইঙ্গিত করেছিলেন। বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন লুকাকু নিজেও।
লুকাকুর এই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ‘কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার’ আবেদনের সঙ্গে একাত্ম ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘২০২৩ সালেও একই সমস্যা। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। আমরা সবাই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে।’
পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও। রিয়ালের এই তরুণ ফরোয়ার্ড প্রায়ই বর্ণবাদের শিকার হন। তিনিও লুকাকুর সমর্থনে টুইট করেছেন। যে উদ্যাপনের কারণে লুকাকুর বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন, সেটির ছবি টুইট করেছেন ভিনি।