জুলাইয়ে আইসিসির মাস–সেরা অ্যাটকিনসন ও আতাপাত্তু

গাস অ্যাটকিনসন (বাঁয়ে) ও চামারি আতাপাত্তুএএফপি ও এসিসি

২০২৪ সালের জুলাইয়ে আইসিসির সেরা পুরুষ ক্রিকেটার হয়েছেন ইংল্যান্ড পেসার গাস অ্যাটকিনসন, সেরা নারী ক্রিকেটারের স্বীকৃতি গেছে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুর কাছে। ভারত অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর ও স্কটল্যান্ড পেসার চার্লি ক্যাসেলকে টপকে পুরস্কার জিতেছেন অ্যাটকিনসন। অন্যদিকে আতাপাত্তু পেছনে ফেলেছেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মাকে।

গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে এ সংস্করণে অভিষেক হয় ২৬ বছর বয়সী অ্যাটকিনসনের। লর্ডসে জেমস অ্যান্ডারসনের শেষ টেস্টটি ছিল অ্যাটকিনসনের প্রথম। তাতে ১২ উইকেট নেন তিনি। সিরিজের পরের দুই টেস্টে নেন আরও ১০ উইকেট।

মাস–সেরার পুরস্কার পেয়ে অ্যাটকিনসন বলেন, ‘আইসিসির মাস–সেরার পুরস্কার জেতাটা সত্যিকারের অর্জন মনে করি। আমার টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা অবিশ্বাস্য ছিল। ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম সিরিজে এ মানের সাফল্যের কথা আমি কখনোই ভাবিনি।’

অভিষেক ইনিংসে ৭ উইকেট নেন গাস অ্যাটকিনসন
এএফপি

কোচ আর অধিনায়ককে এ কারণে আলাদা করে ধন্যবাদও জানান তিনি, ‘দলের সতীর্থ এবং বাজ (ব্রেন্ডন ম্যাককালাম) ও স্টোকসির (বেন স্টোকস) তৈরি করা দারুণ আবহের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

অ্যাটকিনসনের জন্য এ পুরস্কার নতুন হলেও আতাপাত্তুর জন্য মোটেও তা নয়। এ নিয়ে তৃতীয়বার আইসিসির মাস–সেরা হলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। নারীদের মধ্যে তিনবার করে এ পুরস্কার জিতেছেন শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথুস এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলেই গার্ডনার।

আরও পড়ুন

জুলাই মাসটি আতাপাত্তু ও শ্রীলঙ্কার জন্য ছিল দারুণ স্মরণীয়। ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপ জেতে শ্রীলঙ্কা, যাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন আতাপাত্তু। টুর্নামেন্টে ১৪৬.৮৫ স্ট্রাইক রেটে ৩০৪ রান করার পাশাপাশি ৩টি উইকেটও নেন। যাতে অবধারিতভাবে টুর্নামেন্ট–সেরার পুরস্কারও পান।

অবশেষে একটি শিরোপার স্বাদ পেলেন চামারি আতাপাত্তু
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট

মাস–সেরার স্বীকৃতি পেয়ে আতাপাত্তু বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আইসিসির নারীদের মাস–সেরা ক্রিকেটার হিসেবে আমাকে বেছে নেওয়াতে আমি খুশি ও সম্মানিত। নিজের প্রচেষ্টার এমন স্বীকৃতি পাওয়াটা হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। এটি অর্জিত হয়েছে আমার সতীর্থ আর কোচদের সহায়তায়।’

আরও পড়ুন

আতাপাত্তু আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমাদের দেশে যে হাজার হাজার মেয়ে ক্রিকেট খেলছে, তাদের জন্য এ স্বীকৃতি একটা ইতিবাচক বার্তা দেবে। অন্য যেকোনো জায়গায় যারা খেলতে চায়, তাদেরও দেবে। ক্রিকেটের প্রতি নিবেদন ও সংকল্প থাকলে একদিন সেটি কাজে দেয়।’