বিশ্বকাপে সহ-অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন আফ্রিদি
পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব নিয়ে বোধ হয় আর আগ্রহ নেই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির!
গতকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। সেই দলে অধিনায়ক বাবর আজমের সহ–অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আফ্রিদিকে।
তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি, জানিয়েছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও সুপারও একই খবর দিয়েছে। আফ্রিদি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় বর্তমানে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে নেই কোনো সহ-অধিনায়ক।
সহ-অধিনায়কত্বের জন্য নির্বাচকদের আলোচনায় ছিলেন অলরাউন্ডার শাদাব খান ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানও। তবে বোলিংয়ে ছন্দহীনতার কারণে শাদাব এখন আর দলের ‘অটো চয়েজ’ নন। অন্যদিকে তুলনামূলক তরুণ কাউকে দায়িত্ব দিতে চাওয়ায় রিজওয়ানকেও বিবেচনা করা হয়নি।
সহ-অধিনায়ক নয়, এই বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়ার কথাই ছিল আফ্রিদির। গত নভেম্বরে বাবর আজম তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তাঁর নেতৃত্বে জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলে পাকিস্তান, পাকিস্তান সেই সিরিজে হেরেছিল ৪-১ ব্যবধানে। এরপর পিএসএলে আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন লাহোর কালান্দার্স প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হলে এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ পদে পরিবর্তন এলে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। মাত্র একটি সিরিজ পরই আফ্রিদিকে গত ৩১ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে আফ্রিদি তখন একটু নাখোশ হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। তৈরি হয়েছিল বিতর্কও।
পিসিবি যখন আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে বাবরকে সেখানে ফিরিয়ে আনে, পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ২৯ ক্রিকেটার তখন কাকুলের সামরিক একাডেমিতে ক্যাম্প করছিলেন।
১১ দিনের ক্যাম্প চলাকালে পিসিবি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, শাহিন নতুন অধিনায়ক বাবরকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁকে সহযোগিতা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তখন শাহিনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, পিসিবি নিজেদের মনগড়া কথা বিবৃতিতে জুড়ে দিয়েছে। এরপর আফ্রিদি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বলেছিলেন, ‘ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ো না, কতটা নির্মম হতে পারি, ভাবতেও পারবে না।’
এরপর যদিও আফ্রিদি অন্য সুরে কথা বলেছেন। গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘পরিবারে কখনো কখনো ছোটখাটো মতবিরোধ হতেই পারে, এমনকি সেটি ভাইদের মধ্যেও হয়। কিন্তু আমাদের দলে এমন কোনো কিছুই নেই।’
তবে সহ-অধিনায়কত্বের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়াতে একটা বিষয় স্পষ্ট, আফ্রিদি এভাবে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া ভালোভাবে নেননি।