হাথুরুসিংহের চোখে টেন্ডুলকার যেখানে মুশফিকের ‘কাছাকাছি’
সংবাদ সম্মেলনে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথাটি নিশ্চয়ই মুশফিকুর রহিমের জন্য পরম পাওয়া।
কোন সে কথা—সেটি বলতে গেলে সবার আগে কথার ওজনটা বুঝিয়ে বলা ভালো। মুশফিক বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি। আর শচীন টেন্ডুলকার ক্রিকেট ইতিহাসেরই কিংবদন্তি। স্বাভাবিকভাবেই এ দুজনের মধ্যে তুলনায় মানদণ্ডটি সব সময়ই হবেন টেন্ডুলকার। যেমন ধরুন, কেউ বলতেই পারেন, মুশফিকের ওই শটটি টেন্ডুলকারের মতো কিংবা অমুক ডিফেন্সটি টেন্ডুলকারের মতো...। কিন্তু কেউ যদি উল্টো বলেন, অমুক বিষয়ে টেন্ডুলকার ‘মুশফিকের মতো কিংবা তাঁর কাছাকাছি’—তাহলে শুনতে কেমন লাগে? এককথায় মধুর।
চেন্নাইয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ঠিক এমন এক কথাই বলেছেন মুশফিককে নিয়ে।
প্রতিটি সিরিজের আগে তো বটেই, সামনে কোনো খেলা না থাকলে মুশফিক সব সময় যেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেন, অনুশীলনে যতটা ঘাম ঝরান, ক্রিকেটের বিভিন্ন সংস্করণের জন্য যেভাবে নিজেকে গড়েপিটে তৈরি করেন, সেসব বাংলাদেশের ক্রিকেটের তরুণদের জন্য দৃষ্টান্ত।
শুধু কী তা–ই, মুশফিকের এক দিনের প্রস্তুতি নিয়েই আস্ত একটি অধ্যাবসায়ের গল্প লিখে ফেলা সম্ভব। কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহে এই মুশফিককে প্রতিদিনই দেখছেন এবং সম্ভবত সবচেয়ে কাছ থেকে দেখছেন। আর সে কারণেই ভারতের মাটিতে বসে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ঈশ্বর’–এর সঙ্গে তাঁর তুলনা টানার সাহস পেলেন বাংলাদেশ কোচ।
হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘সে (মুশফিক) যেভাবে প্রস্তুতি নেয়, এতটা বিস্তৃতভাবে প্রস্তুতি নিতে আমি আর কাউকে দেখিনি। তার মতো কাউকেই আমি আর দেখিনি। সম্ভবত শচীন টেন্ডুলকার তার মতো ছিলেন কিংবা তার কাছাকাছি ছিলেন। মুশি (মুশফিক) এমনই এবং ক্রিকেটে সে পুরোদস্তুর পেশাদার।’
টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান মুশফিকের। ৯০ টেস্টে ১৬৬ ইনিংসে ৩৯.০১ গড়ে করেছেন ৫৮৯২ রান। অর্থাৎ আর ১০৮ রান করলেই বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে ৬ হাজার রান পূর্ণ করবেন মুশফিক। চেন্নাইয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশের চার ইনিংসে মাইলফলকটি ছোঁয়ার ভালো সুযোগ তাঁর সামনে। কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৭ সেপ্টেম্বর।