বলছেন স্মিথ: এসএ টোয়েন্টি বছরে চার সপ্তাহ, টেস্টের জন্য প্রচুর সময়
টেস্ট ক্রিকেট, না ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি—দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট ঘিরে এই বিতর্ক চলছে দিন দশেক ধরে। দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটাররা এসএ টোয়েন্টিতে ব্যস্ত থাকবেন বলে আগামী মাসে নিউজিল্যান্ড সফরের টেস্টের জন্য অনভিজ্ঞদের নিয়ে দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)।
টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে দ্বিতীয় সারির দল গঠন করা টেস্ট ক্রিকেটের মৃত্যুর মুহূর্ত নির্ধারণী কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ। এবি ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, টি-টোয়েন্টির কারণে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তৃতীয় কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ও এসএ টোয়েন্টির লিগ কমিশনার গ্রায়েম স্মিথের ভাবনাটা ভিন্ন। তাঁর মতে, এসএ টোয়েন্টির জন্য বছরে দরকার চার সপ্তাহ। টেস্ট ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়ার জন্য বছরের বাকি সময়টা যথেষ্ট।
যে এসএ টোয়েন্টির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলে আনকোরাদের ডাকা হয়েছে, সেটি শুরু হবে আগামী বুধবার। নিউজিল্যান্ড সফরের প্রোটিয়া টেস্ট দলে ১৪ জনের সাতজনই নতুন মুখ দেখে ‘চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার দশা’ হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স। ওয়াহ তো তিনি নিউজিল্যান্ডের হলে টেস্ট সিরিজটিতে খেলতেনও না বলে মন্তব্য করেছেন।
এসএ টোয়েন্টি শুরুর আগে টেস্টের সঙ্গে তুলনামূলক বিতর্ক ওঠায় তাই খানিকটা যেন বিরক্ত স্মিথ। চলমান বিতর্কের দিকে ইঙ্গিত করে পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড এসএ টোয়েন্টিকে ভবিষ্যতের বড় অংশ হিসেবে এবং সফল হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি, এটা (এসএ টোয়েন্টি) বছরে চার সপ্তাহের ব্যাপার। এর বাইরে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য প্রচুর সময় আছে।’
স্মিথের আগে এসএ টোয়েন্টির পক্ষে ‘ব্যাট ধরেন’ দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের কোচ শুকরি কনরাড। আর্থিক কারণে টি-টোয়েন্টি লিগ না থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্টও থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর সিএসএ এক বিবৃতিতে জানায়, এখনো টেস্টকেই প্রাধান্য দিচ্ছে তারা। কিন্তু সূচি সাংঘর্ষিক হয়ে যাওয়ায় টেস্ট সিরিজ পেছানোর চেষ্টা করেও সেটা সম্ভব হয়নি।
এসএ টোয়েন্টির ৫১ ভাগ শেয়ারের মালিক সিএসএ। এ লিগের সম্প্রচারস্বত্ব থেকে পাওয়া আয় দেশটির ক্রিকেট উন্নয়নে বিনিয়োগের পরিকল্পনা তাদের।
স্মিথের মতে, টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তায়ও টেস্ট ক্রিকেট ভালোমতো বেঁচে থাকবে, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ায় ভূমিকা রাখে। ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের দিকে তাকান, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর দিকে তাকান। বুঝবেন, কীভাবে টি-টোয়েন্টি মানুষকে ক্রিকেটের দিকে আকর্ষণ করছে। আর আমি সব সময় টেস্ট ক্রিকেটকে পছন্দ করি। আমার সময়ে আমরা যা অর্জন করেছিলাম, আমার যেসব রেকর্ড, আমি চাই সেসব টিকে থাকুক।’