নাহিদ–রিশাদদের পিএসএলে যাওয়া উচিত, মনে করেন নাজমুল
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পান কম। পেলেও বিসিবির কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র পেতে দেখে যায় না খুব একটা। এ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয় নিয়মিতই।
১১ এপ্রিল শুরু হবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) এবারের আসর। এই টুর্নামেন্টের ড্রাফট থেকে বাংলাদেশের নাহিদ রানা, লিটন দাস ও রিশাদ হোসেন সুযোগ পেয়েছেন। তবে একই সময়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থাকায় কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে পিএসএলে তাঁদের খেলা নিয়ে।
গত পরশু বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ অবশ্য জানিয়েছেন, এখনো তাঁদের কাছে অনপাত্তিপত্রের জন্য আবেদন করেননি কেউ। তবে এ ধরনের টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের যাওয়া উচিত বলে মনে করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীতে খেলছেন নাজমুল। আলোচিত ফাস্ট বোলার নাহিদকে সেখানে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন তিনি। নাহিদের পিএসএলে খেলা নিয়ে আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এই ধরনের টুর্নামেন্টে খেলা উচিত। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট অবশ্যই খেলা উচিত। তবে এটা পুরোটা নির্ভর করবে ক্রিকেট বোর্ড, কোচ, অধিনায়ক—সবকিছুর ওপর।’
এরপরই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার গুরুত্বের কথা আলাদা করে বলেছেন নাজমুল, ‘আমার মনে হয়, বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় যদি আমাদের ক্রিকেটাররা খেলা শুরু করে, তাহলে একটা অভিজ্ঞতা তৈরি হবে এবং ওই দায়িত্বটা নেওয়া শিখবে। বাইরের যে ক্রিকেটাররা আছে, তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা, সব মিলিয়ে ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে। আশা করব, এই ধরনের টুর্নামেন্টে আমাদের ক্রিকেটাররা সামনের দিকে খেলার সুযোগ পাবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। তবে আলোচনায় আছেন নাহিদ রানা। গতির কারণে ক্রিকেট–বিশ্বের আগ্রহে পরিণত হয়েছেন ২২ বছর বয়সী পেসার।
নাহিদকে নিয়ে আশার কথা আরও একবার শোনালেন নাজমুলও, ‘সে (দেশের ক্রিকেটের) খুব ভালো সম্পদ। আমরা দেখছি বিশ্ব ক্রিকেটে কীভাবে তাকে নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। সবচেয়ে ভালো দিক যে জাতীয় দলের ফিজিও এবং আবাহনীর হয়ে যারা কাজ করছে, তারা তার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট খুব ভালোভাবে মেইন্টেন করছে। সে ওইভাবেই ম্যাচ খেলছে। আল্লাহ্র রহমতে এখন পর্যন্ত ফিট আছে। এনার্জিটা ধরে রেখেছে।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পাঁচ রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে আবাহনী। তবে নাজমুল ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো করতে পারছেন না। ৪ ইনিংসে করেছেন ৭৮ রান, নেই কোনো ফিফটি। স্ট্রাইকরেট টেস্টের মতো—৫৩.৭৯। তবে এ নিয়ে চিন্তিত নন তিনি, ‘দল যতক্ষণ পর্যন্ত ম্যাচ জিততেছে, নিজের ব্যাটিং নিয়ে আমি ওইভাবে চিন্তা করছি না।’