ভারত-পাকিস্তান খোঁচাখুঁচি চলছে মাঠের বাইরেও
একসময় মাঠে ব্যাট–বলের লড়াইয়ে নামতেন তাঁরা। সময়ের বাস্তবতায় এখন আছেন বাইরে। তাই বলে ভারত–পাকিস্তান লড়াইয়ের যে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ, সেটার আঁচ থেকে বাইরেও নন। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, রবি শাস্ত্রী, সঞ্জয় মাঞ্জরেকারদেরও ছুঁয়ে যায় দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠের লড়াইয়ের ঝাঁঝ।
তাই তো ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মা–বাবর আজমরা যখন ব্যাট–বলে লড়াইয়ে ব্যস্ত, ধারাভাষ্যকক্ষে কথার লড়াইয়ে মেতে ওঠেন দুই দেশের সাবেক ক্রিকেটাররাও।
এই যেমন ম্যাচের শুরুতে মাঞ্জরেকারের পিচ রিপোর্টের কথাই বলা যাক। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার পাল্লেকেলের উইকেটকে ‘ইউনিক’ উল্লেখ করে বলছিলেন, পেসাররা মুভমেন্ট পাবেন। মাঝে মাঝে বল নিচু হয়ে যেতে পারে, স্পিনাররাও ভালো সুযোগ পাবেন। মাঞ্জরেকার তাঁর পিচের মূল্যায়ণ শেষ করেন এই বলে যে, ভালো ব্যাটসম্যানরা চোখ খোলা রাখলে সেঞ্চুরিও পেতে পারেন।
মাঞ্জরেকারের পিচ রিপোর্টের পর ক্যামেরায় আসে ওয়াসিম আকরামের মুখ, যিনি ম্যাথু হেইডেন ও গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ম্যাচ–পূর্ব বিশ্লেষণ করছিলেন। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক মাঞ্জরেকারের পিচ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তির্যকভাবে বলেন, ‘আমি যদি ব্যাটসম্যান হতাম, এই পিচ রিপোর্ট শুনে তো দ্বিধায় পড়ে যেতাম। উইকেটে সুইং করবে আবার স্পিনাররাও টার্ন পাবে। এটা সম্ভবত অসম গতির উইকেট, এখানে ব্যাটসম্যানরা সেঞ্চুরিও পেয়ে যাবে?’
পরে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর সুযোগ পেয়ে মাঞ্জরেকারও আকরামকে একটা খোঁচা দেন। গ্যালারির দর্শক উপস্থিতি নিয়ে আকরাম বলছিলেন, স্টান্ডে নীল জার্সি (ভারতীয় সমর্থক) বেশি। সবুজ (পাকিস্তানি সমর্থক) খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
এ কথা শুনে মাঞ্জরেককার ফোঁড়ন কেটে বলেন, ‘ওখানকার টিকিট বোধহয় দামি’।
পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক ওয়াকার ইউনিসও অবশ্য হাসি–ঠাট্টায় সচেষ্ট ছিলেন। শাহিন আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল কোহলির ব্যাট ও প্যাড হয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। শাহিনের বোলিংয়ের চেয়ে কোহলি নিজের কারণেই যে আউট হয়েছেন, সেটি ইঙ্গিত করে ওয়াকার বলে ওঠেন, ‘তুমি রিপ্লেতেও এটা (বলটা) দেখতে পেতে। কিন্তু তুমি চলে গেলে!’