নিউইয়র্কের কঠিন পিচে ভারতের কবলে আয়ারল্যান্ড
সিম, সুইং, অসম বাউন্স তো ছিলই। সঙ্গে যোগ হয়েছে উইকেটের মন্থর আচরণ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আলোচিত ভেন্যু নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা দলকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, তা শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচেই বোঝা গেছে।
আয়ারল্যান্ডের ভাগ্যও খারাপ। ব্যাটসম্যানদের জন্য সেই দুর্বোধ্য কন্ডিশনেই ভারত টসে জিতে আইরিশদের ব্যাটিংয়ে পাঠায়। এরপর যা হওয়ার, তা-ই হয়েছে। ভারতীয় পেসারদের বোলিংয়ে আইরিশরা ১৬ ওভারে অলআউট হয়েছে ৯৬ রানে। ভারত ১২.৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে সে রান টপকে যায় সহজেই।
রান তাড়ায় শুরুতে বিরাট কোহলি আউট হলেও রোহিত শর্মা টিকে ছিলেন। ব্যক্তিগত ২ রানে জীবন পাওয়ার পর ভারতীয় অধিনায়ক কঠিন উইকেটেও ৩৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি অপরাজিত থেকেই ম্যাচ শেষ করে আসতে পারতেন, তবে হালকা চোটে পড়ায় রোহিতকে মাঠ ছাড়তে হয়। তিনে নামা ঋষভ পন্তের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে অপরাজিত ৩৬ রান।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করেছেন মূলত ভারতীয় পেসাররা। আইরিশদের ১০ উইকেটের ৮টিই তাঁরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া, ২টি করে উইকেট অর্শদীপ সিং ও যশপ্রীত বুমরার।
৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দেওয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে বুমরার হাতে। রানবন্যার আইপিএলের পর নিউইয়র্কে বোলিং সহায়ক কন্ডিশন পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন এই ভারতীয় পেসার, ‘ভারত থেকে আসার পর এখানে বল সিম, সুইং করতে দেখে খারাপ লাগছে না। কোনো অভিযোগ নেই। এই কন্ডিশনে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে, কৌশলী হতে হবে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করেছি, সেটাও কাজেও লেগেছে। সব মিলিয়ে আজকের পারফরম্যান্সে খুব খুশি।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড: ১৬ ওভারে ৯৬ (ডেলানি ২৬, লিটল ১৪, ক্যাম্ফার ১২ ; পান্ডিয়া ৩/২৭, বুমরা ২/৬, অর্শদীপ ২/৩৫)।
ভারত: ১২.২ ওভারে ৯৭/২ (রোহিত ৫২, পন্ত ৩৬; অ্যাডাইর ১/২৭, হোয়াইট ১/৬)।
ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: যশপ্রীত বুমরা (ভারত)।