১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে রভম্যান পাওয়েল যখন আউট হয়ে যান, রাজস্থান রয়্যালসের রান ৭ উইকেটে ১৭৮। জেতার জন্য দরকার ১৯ বলে আরও ৪৬ রান। ক্রিজে ৪২ বলে ৬৭ রান করা জস বাটলার। কিন্তু ওপাশে যে আর স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কেউ নেই!
বাটলার জানতেন বাকি কাজটা তাঁকে একাই করতে হবে, করলেনও। রভম্যান পাওয়েলের পর একে একে উইকেটে এসেছেন ট্রেন্ট বোল্ট, আবেশ খান। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। বরুণ চক্রবর্তীর করা ম্যাচের শেষ বলে ১ রান নিয়ে বাটলার যখন ম্যাচ জেতার আনন্দে মাতলেন, তাঁর নামের পাশে তখন ৬০ বলে ১০৭ রান, ৯টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৬টি ছক্কা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের তোলা ৬ উইকেটে ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ জিতল ২ উইকেটে।
আইপিএলের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতেনি আর কোনো দল। কী কাকতাল, ২০২০ সালে এই কলকাতারই ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান জিতেছিল ৪ উইকেটে, করেছিল ৬ উইকেটে ২২৬ রান। আজ নিজেদের সেই রেকর্ডই স্পর্শ করল রাজস্থান।
বাটলারের অবিশ্বাস্য এবং আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংসে আজ ম্লান হয়ে গেছে কলকাতার হয়ে সুনীল নারাইনের দারুণ এক সেঞ্চুরি। ৫৬ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ১০৯ রান করেন নারাইন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৫০৪তম ম্যাচে এসে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার। পরে বল হাতেও ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে যিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। তখন কে জানত, বাটলার তাঁকে ম্লান করে এভাবে সব আলো কেড়ে নেবেন!