২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পাকিস্তানের ক্রিকেটে ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ খেলা চলছে, বললেন অশ্বিন

সম্প্রতি বাবর আজমের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্কএএফপি

পাকিস্তান ক্রিকেটের নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরব হতে দেখা গেছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। বাংলাদেশের কাছে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর পাকিস্তান দল নিয়েও কথা বলেছিলেন ভারতের এই তারকা ক্রিকেটার। অশ্বিন সেই সময় বলেছিলেন, পাকিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা দেখে দুঃখ হচ্ছে তাঁর।

এবার বাবর আজমের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে আবার সরব হয়েছেন ভারতের অফ স্পিনার। পাকিস্তানের ক্রিকেটে এখন ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ খেলা চলছে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি দলের ভেতর চলমান অস্থিরতার প্রভাব খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেও পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন অশ্বিন। পাকিস্তানের ক্রিকেটের হারানো দিন নিয়েও আক্ষেপ হচ্ছে তাঁর।

আরও পড়ুন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওতে অশ্বিন বলেছেন, ‘সত্যি বলতে পাকিস্তান ক্রিকেট এখন যে অবস্থায় আছে, সেটা দেখে আমার কষ্ট লাগে। কারণ, পাকিস্তান ক্রিকেটে একসময় ভয়ংকর সব ক্রিকেটার ছিল। ভয়ংকর সঠিক শব্দ কি না, আমি জানি না। (আমি বলতে চাচ্ছি) দলটিতে অসাধারণ সব ক্রিকেটার ছিল। এত ভালো দল ছিল তাদের।’

ভারতের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন
এএফপি

বিষয়টি নিয়ে অশ্বিন এরপর বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট খেললে, সেখানে উত্তাপ থাকেই। আমাদের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে এটা হয়। ইতিহাসের আলোকে ব্যাপারটা এমন। কিন্তু একজন ক্রিকেটার হিসেবে যদি আমি বলি, তবে দেশটি ক্রিকেটের গর্ব। ওদের কোথাও দক্ষতার অভাব নেই।’

আরও পড়ুন

এরপর পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা নিয়েও কথা বলেছেন অশ্বিন, ‘দেশটির (পাকিস্তানের) ক্রিকেটে একধরনের মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা চলছে। ২০২৩ বিশ্বকাপে ওরা হেরে যাওয়ার পর বাবর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়। এরপর (শাহিন) আফ্রিদিকে নেতৃত্ব দেওয়া হলো। আবার বাবরকে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ফিরিয়ে শান মাসুদকে টেস্টের নেতৃত্ব দিল। আর এখন অবস্থা এমন যে দেশের মাটিতেই অনেক দিন ধরে তারা টেস্ট ম্যাচ জেতেনি। আমি শুনেছি তারা ১ হাজার দিন ধরে টেস্ট ম্যাচ জেতেনি। প্রায় তিন বছর হয়ে গেছে। এখন দলের মধ্যে যদি এত অস্থিরতা থাকে, তখন একজন খেলোয়াড় কী করবে? সে দলের চেয়ে তো নিজের কথাই বেশি ভাববে।’