আফ্রিদি বললেন, ধৈর্যের পরীক্ষা নিও না
বাবর আজমের কাছে অধিনায়কত্ব হারানোর পর পাঁচ দিন চলে গেছে। এ কয় দিনে শাহিন আফ্রিদির একটা ছবিই শুধু সামনে এসেছে। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি তাঁর সঙ্গে করমর্দন করছেন, আর হাতে হাত মিলিয়ে মুখে হাসি আনার চেষ্টা করছেন আফ্রিদি। এর বাইরে বাঁহাতি এ পেসার প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
এবার টি–টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে বাদ পড়ার প্রায় সপ্তাহখানেক পর মুখ খুললেন শাহিন আফ্রিদি। কারও নাম না নিয়ে বললেন, তাঁর ধৈর্যের পরীক্ষা যেন না নেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা না হয়, যাতে তাঁকে নিষ্ঠুর ও নির্মম আচরণ করতে হবে।
অধিনায়কত্ব বা ক্রিকেট বিষয়ে কোনো শব্দ উল্লেখ না করলেও আফ্রিদির এই মন্তব্য সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র যে তিনিই।
গত নভেম্বরে পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল আফ্রিদিকে। তাঁর নেতৃত্বে জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলে পাকিস্তান। চলতি মাসে কিউইদের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজ শুরুর আগে গত রোববার তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবর, অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে পিসিবি আফ্রিদিকে যথাযথভাবে আশ্বস্ত করেনি।
পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে পিসিবির এক বিবৃতিতে, যেখানে অধিনায়ক বাবরের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে আফ্রিদিকে উদ্ধৃত করা হয়।
আফ্রিদির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানায়, বিবৃতির কথাগুলো তাঁর নয়। পিসিবি মনগড়া কথা লিখে আফ্রিদির নাম বসিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যেই কাকুলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তান দলের ফিটনেস ক্যাম্প পরিদর্শনে যান পিসিবি চেয়ারম্যান। পরে পিসিবির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আফ্রিদির সঙ্গে নাকভির করমর্দনের ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। এর বাইরে এক সিরিজ পরেই অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়া বিষয়ে সাবেকদের নানাধর্মী বক্তব্য তো চলছেই।
সব মিলিয়ে গত এক সপ্তাহের ঘটনাবলিতে আফ্রিদির অসন্তুষ্ট হওয়ার উপাদান আছে যথেষ্টই। আর তারই একপর্যায়ে আজ ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন আফ্রিদি।
২৯ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটিতে একটি সিংহের ছবি এবং নেপথ্যে কিছু কথা ভেসে আসে। সেখানে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে এমন পরিস্থিতিতে কখনোই দাঁড় করিও না, যেখান থেকে আমাকে নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতা দেখাতে হয়। আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিও না। কারণ, আমি তোমার দেখা সবচেয়ে সহৃদয় ও অমায়িক মানুষ হতে পারি, কিন্তু একবার আমার সীমা অতিক্রম করে গেলে, আমাকে এমন কিছু করতে দেখবে যেটা করতে পারি বলে কেউ ভাবতেও পারে না।’