বাইরে বসে দিল্লির হার দেখলেন মোস্তাফিজ
আরও একটা ম্যাচ দিল্লি ক্যাপিটালসের বেঞ্চে বসেই কাটাতে হলো বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমানকে। ১ এপ্রিল তড়িঘড়ি করে ভাড়া করা বিমান ঢাকায় পাঠিয়ে মোস্তাফিজকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল আইপিএলে তাঁর দল দিল্লি। কিন্তু সেদিন লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে খেলানো হয়নি তাঁকে। কাটার মাস্টারখ্যাত বাংলাদেশের এই পেসার সুযোগ পেলেন না আজ গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচেও। বাইরে বসেই মোস্তাফিজ দেখলেন তাঁর দলের হার।
আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৬২ রান করেছিল দিল্লি। তাড়া করতে নেমে সাই সুদর্শন ও ডেভিড মিলারের দারুণ ব্যাটিংয়ে গুজরাট সেটা পেরিয়ে গেছে ৬ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখেই।
তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে গুজরাট। রানটা অবশ্য খারাপ ছিল না—৫৪। ঋদ্ধিমান সাহা (১৪), শুবমান গিল (১৪) ও অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (৫)—কেউই বল নষ্ট করেননি মোটেও।
চতুর্থ উইকেটে সাই সুদর্শন ও বিজয় শঙ্কর মিলে গড়েন ৪৪ বলে ৫৩ রানের জুটি। জশ লিটলের জায়গায় ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে নামা বিজয় শঙ্কর আউট হয়েছেন ২৩ বলে ২৯ রান করে। এরপর সুদর্শনকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ডেভিড মিলার। এ দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটিতে ১১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় গুজরাট। সুদর্শন অপরাজিত ছিলেন ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৮ বলে ৬২ রান করে। মিলার করেছেন ১৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ (৩৭) রান করেন আগের ম্যাচেও ফিফটি করা ডেভিড ওয়ার্নার। কেউ ফিফটি না পেলেও তিনটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে দেড় শ ছাড়িয়ে যায় দিল্লির রান।
অক্ষর প্যাটেল ১৩তম ওভারে নেমে করেন ২২ বলে ৩৬ রান। ৩ ছক্কা ও ২ চারে সাজানো ইনিংসটিতে শেষ দিকে গতি পায় দিল্লি। চারে নামা সরফরাজ খান করেন ৩৪ বলে ৩০ রান। বোলিংয়ের সময় অবশ্য সরফরাজকে তুলে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে পেসার খলিল আহমেদকে মাঠে নামিয়েছে দিল্লি। সরফরাজ ও অভিষেক পোরেলের ২৩ বলে ৩৪ রানই দিল্লির ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি। শেষ ৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তুলেছে দিল্লি।
৪ ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন গুজরাটের আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া দিল্লির ইনিংসে ১৩তম ওভারে রশিদকে বোলিংয়ে আনেন। আইপিএলে কখনোই এর আগে এত দেরিতে বোলিংয়ে আসেননি রশিদ খান। নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রশিদ ফেরান অভিষেক পোরেলকে। পরে সরফরাজ খান ও আমান হাকিমও হয়েছেন তাঁর শিকার। ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার মোহাম্মদ শামি। ২৯ রানে ২ উইকেট আলজারি জোসেফের।