শাহিনের চোট ভারতের স্বস্তি—টুইট করে ইরফানের তোপের মুখে ওয়াকার
এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তানের মাঠের লড়াই ২৮ আগস্ট। তবে মাঠের আগে কথার লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন দুই দলের সাবেক ক্রিকেটাররা। কিন্তু তার আগেই বড় দুঃসংবাদ পাকিস্তান দলের জন্য। চোটের কারণে ছিটকে গেছেন ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আফ্রিদির চোট এবং দল থেকে বাদ পড়ে যাওয়া কি তবে ভারতের জন্য ‘সুবিধাজনক’ কিছু, ‘স্বস্তি’র কিছু? অন্তত পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার, অধিনায়ক ওয়াকার ইউনিস সেটিই মনে করেন। তবে টুইটারে এ ধরনের মন্তব্য করার পর তাঁকে টুইটারেই পাল্টা খোঁচা দিতে ভোলেননি ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান।
হাঁটুর চোটে চার থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন শাহিন আফ্রিদি। শাহিনকে নিয়ে যখন পাকিস্তান শিবিরে হাপিত্যেশ, তখন ভারত–পাকিস্তানের সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি ম্যাচটি সামনে নিয়ে এসেছেন ওয়াকার। গত বছর দুবাইয়ে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্যাচে শাহিন আফ্রিদির বোলিং তোপেই উড়ে গিয়েছিল ভারতের টপ অর্ডার। পাকিস্তান সে ম্যাচটি জিতেছিল ১০ উইকেটের অবিশ্বাস্য ব্যবধানে।
টুইটারে ওয়াকার লিখেছেন, ‘শাহিনের চোট ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় স্বস্তি। এশিয়া কাপে তাকে দেখতে পাব না বলে খারাপ লাগছে। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো, চ্যাম্পিয়ন।’
শাহিন এখন পর্যন্ত একটিই টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছন ভারতের বিপক্ষে। সেটি ওই বিশ্বকাপের ম্যাচটিই। ওই ম্যাচে তিনি ফিরিয়েছিলেন রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলিকে। তিন সেরা ব্যাটসম্যান দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার পর ভারতও সে ম্যাচে পাকিস্তানের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
ওয়াকারের এই খোঁচা পছন্দ করেননি ইরফান। খোঁচার জবাবে দিয়েছেন পাল্টা খোঁচা, সঙ্গে নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তিও তুলে ধরেছেন, ‘এশিয়া কাপে বুমরা আর হার্শাল প্যাটেল খেলতে পারবে না, এটাই বরং অন্য দলগুলোর জন্য স্বস্তি।’
পাকিস্তানের মতো ভারতের বুমরা আর হার্শাল প্যাটেলও ফর্মে ছিলেন, তবে চোটের কারণে তাঁদের এশিয়া কাপের দলে রাখতে পারেনি বিসিসিআই।
এদিকে, ভারতের বিপক্ষে শাহিন আফ্রিদি থাকলে ভালো হতো বলে মত দিয়েছেন পাকিস্তানের আরেক সাবেক পেসার আকিব জাভেদ। টানা খেলার ধকল চোটে প্রভাব ফেলেছে মন্তব্য করে আকিব বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টকে ধৈর্যের সঙ্গে খেলোয়াড় ব্যবস্থাপনার কাজটি করতে হবে। তার সামনে দীর্ঘ ক্যারিয়ার পড়ে আছে। মোহাম্মদ আমিরের পর শাহিনের মতো বাঁ হাতি পেসারই কিন্তু ভারতের ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পেরেছিল। আমির জিতিয়েছিল ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, শাহিন ২০২১ বিশ্বকাপে।’