বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হতে প্রস্তুত নাজমুল
চোটাক্রান্ত সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বিশ্বকাপে আরও একবার বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করলেন নাজমুল হোসেন। প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে, এরপর আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তবে দুটি ম্যাচেই দায়িত্ব পালন করেছেন নিয়মিত অধিনায়ক না থাকায়।
নাজমুল জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
নাজমুল বিশ্বকাপে গেছেন বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে। তবে সাকিবের সহ-অধিনায়ক হওয়াটা ছিল আচমকা। বিশ্বকাপের আগে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সাকিবের অনুপস্থিতিতে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন দাস। তৃতীয় ওয়ানডেতে লিটন বিশ্রাম নিলে নেতৃত্ব দেওয়া হয় নাজমুলকে। একই দিনে বিশ্বকাপের ঘোষিত দলে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিশ্বকাপে চোটের কারণে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ খেলতে পারেননি সাকিব। কাকতালীয়ভাবে দুটি ম্যাচই হয়েছে পুনেতে। মহারাষ্ট্রের এই মাঠে অধিনায়ক নাজমুলের অভিজ্ঞতা যথাক্রমে ৭ ও ৮ উইকেটে হার। তবে এ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলে মনে হচ্ছে অধিনায়ক নাজমুলের, ‘দুটো ম্যাচই জিততে পারিনি। দুটো বড় দলের বিপক্ষে চাপ ছিল। আমার মনে হয় অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। ভবিষ্যতে কাজে দেবে।’
বিশ্বকাপে যাওয়ার আগেই ওয়ানডের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন সাকিব। এখন চোটের কারণে সামনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও খেলতে পারবেন না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এখন আপৎকালীন কাউকে অধিনায়কত্ব করতে হবে। সাকিবের অনুপস্থিতিতে সর্বশেষ তিন ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল কি দায়িত্বটা নিতে প্রস্তুত?
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটি করা হলে আত্মবিশ্বাসের সুরে নাজমুল বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরেই তো করছি (অধিনায়কত্ব)। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে, আমি প্রস্তুত। যদি সুযোগ আসে, এটা ভালোভাবে করতেই প্রস্তুত।’
সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাসের প্রসঙ্গও উঠেছিল। বিশ্বকাপে ওপেনাররা বেশ ভালো করছেন। এবার ১১ জন ওপেনার মিলে শতক করেছেন ১৫টি। কিন্তু লিটন ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস সেভাবে বড় করতে পারেননি। বাংলাদেশের ৯ ম্যাচে তাঁর স্কোরগুলো দেখুন—১৩, ৭৬, ০, ৬৬, ২২,৩, ৪৫, ২৩ ও ৩৬। নাজমুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, লিটন ভালো শুরু পেয়েও (শতকের) সুযোগ নষ্ট করেছেন কি না?
নাজমুলের উত্তর, ‘ব্যক্তি বিশেষ বা কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে নিয়ে কথা বলতে আমি পছন্দ করি না। দল হিসেবে আমরা ভালো করিনি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করব, এই অভিজ্ঞতাটা ভবিষ্যতে আমাদের খুব ভালোভাবে কাজে দেবে।’