সাব্বির হোসেনকে নিয়ে নেমেছিলেন ইনিংস উদ্বোধনে। ব্রাদার্স ইউনিয়নের আল আমিন হোসেনকে ডিপ কাভার দিয়ে চার মেরে শুরু করেন ইনিংস। এরপর তাঁর ব্যাটে একের পর এক বাউন্ডারি। রানের ফোয়ারাই যেন ছুটেছে। উইকেটের আরেক প্রান্তে সঙ্গী বদলে গেলেও প্রিমিয়ার লিগে আজ মোহাম্মদ নাঈম ছুঁয়েছেন একের পর এক মাইলফলক। তাঁর দল প্রাইম ব্যাংকও গড়েছে ইতিহাস। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে দলীয় সংগ্রহে চার শ রানের দেখা পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। ৫০ ওভারে তাঁদের স্কোর ৮ উইকেটে ৪২২।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ
৩৮ বলে ফিফটি তুলে নেন। প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে ১৮.২ ওভারে সাব্বিরের সঙ্গে যখন উদ্বোধনী জুটি ভাঙে তখন দলের রান ১৪০। ৬৩ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান সাব্বির। এরপর নাঈমের সঙ্গী হন জাকির হাসান।
৮২ বলে লিস্ট–এ ক্রিকেটে নিজের নবম শতক তুলে নেন নাঈম। জাকিরও এর মধ্যে ২৯ বলে ২৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান মাইশুকুর রহমানের বলে। লিস্ট–এ ক্রিকেটে কখনো দেড় শ ছোঁয়ার রেকর্ড ছিল না নাঈমের। সেঞ্চুরি করার ২৪ বল পরই তা করে ফেলেন নাঈম। লিস্ট–এ তে নিজের সর্বোচ্চ ১৩৬ রানকেও ততক্ষণে ছাড়িয়ে যান এই বাঁহাতি ওপেনার। সেখানেই অবশ্য থামেননি। তাঁর সামনে সুযোগ ছিল সৌম্য সরকারের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট–এ তে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার।
সে পথে এগিয়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৮ চার ও ৮ ছক্কার ইনিংসে ১২৫ বলে ১৭৬ রান করেই আউট হন নাঈম। সালাউদ্দিন শাকিলের বলে ক্যাচ দেন অলক কাপালির হাতে। নাঈম আউট হওয়ার সময় প্রাইম ব্যাংকের স্কোর ৩৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৩১০। ইনিংসে ৮ ছক্কার ছয়টিই নাঈম হাঁকান ব্রাদার্সের পেসার নূর হোসেনের বলে, বাকি দুটি ছক্কা হজম করেন সোহাগ গাজী।
২০১৯ সালে সাভারে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন সৌম্য। সেটিই এখন অবধি লিস্ট–এ ক্রিকেটে একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি কোনো বাংলাদেশির। নাঈমের ইনিংসটি হয়ে থাকল লিস্ট–এ তে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ।
তালিকায় সবার ওপরে সৌম্যর ২০৮ রানের ইনিংস। এরপরই আছেন রাকিবুল হাসান, ২০১৭ সালে মোহামেডানের হয়ে ১৯০ রান করেছিলেন। তালিকার তিনে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে এনামুল হকের ১৮৪ ও চারে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ২০২২ সালে মুমিনুলের ১৮২ রান।