‘সে জিনিয়াসের মতো ব্যাট করেছে। টেস্টে আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস’—গল টেস্টে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দিনেশ চান্ডিমালের অপরাজিত ইনিংসটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান উসমান খাজার মন্তব্য।
কয়েক দিন আগে এই গলেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে চান্ডিমালের অপরাজিত ২০৬ রানের ইনিংসটি মাঠ থেকে দেখেন খাজা। সে টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারে অস্ট্রেলিয়া।
সেই গলেই আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে লঙ্কানদের ‘নায়ক’ আবারও চান্ডিমাল। দিনের খেলা শেষে টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে ৩৩৩ রানের লিড নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। চান্ডিমাল ৮৬ রানে অপরাজিত।
আলোকস্বল্পতায় ৯ উইকেটে ৩২৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসটায় তাকালে চান্ডিমালের ‘নায়ক’ হওয়ার মাহাত্ম্যটা বোঝা যায়। ১ উইকেটে ৩৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা।
মধ্যাহ্নভোজ বিরতির আগে ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে আগের দিন নামা কাসুন রাজিতাকে তুলে নিতে পারে পাকিস্তান। কিন্তু মড়ক লাগে দ্বিতীয় সেশনে। কুশল মেন্ডিস (৭৬) ও ওশাদা ফার্নান্দোর (৬৪) ৯১ রানের জুটির পর চান্ডিমাল প্রতিরোধের দেয়াল গড়েন।
দ্বিতীয় সেশনে ৫ উইকেট হারানোর বিপরীতে ওভারপ্রতি ৪.৪ গড়ে ১২৫ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। তখন এক প্রান্ত ধরে রাখেন চান্ডিমাল।
তৃতীয় সেশনে চান্ডিমাল লড়েছেন লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে ৪০ রানের জুটি ভাঙার পর রমেশ মেন্ডিসের সঙ্গে ৩২, মহীশ তিকশানার সঙ্গে ৪১ এবং প্রবাত জয়াসুরিয়ার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ২১ রানের জুটিতে দিন পার করেন চান্ডিমাল।
এগারোয় নামা প্রবাতের সঙ্গে গড়া জুটিতে ১৭ রানই চান্ডিমালের। অর্থাৎ, এই স্পিনার ব্যাটিংয়ে থাকতে রান তোলার দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই তুলে নেন লঙ্কান মিডল অর্ডারে এক সময় অরবিন্দ ডি সিলভার বিকল্প হিসেবে দেখা চান্ডিমাল। ২ ছক্কা ও ৫ চারে ১২১ বলে ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটসম্যান।
সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মেই আছেন ৩২ বছর বয়সী এই সাবেক অধিনায়ক। টেস্টে শেষ সাত ইনিংসে তাঁর স্কোর—৬৬, ৩৯*, ১২৪,০, ১৩, ২০৬*, ৭৬, ৮৬*।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখা পেলেন। ৩ উইকেট নেন আরেক স্পিনার ইয়াসির শাহ।
তবে চান্ডিমাল রুখে দাঁড়ানোয় এই টেস্টে জয়ের সম্ভাবনা থেকে বেশ দূরে সরে গেছে পাকিস্তান। গলে সর্বোচ্চ ২৬৮ রান তাড়া করে জয়ের নজির আছে। চতুর্থ ইনিংসে কোনো দলের সর্বোচ্চ স্কোর ৩০০। আজও স্পিনাররা বাঁক ও বাউন্স পেয়েছেন। কাল উইকেট আরও কঠিন হওয়াই স্বাভাবিক।