ভারতের কোচ পদে ‘টেন্ডুলকার’, ‘ধোনি’, ‘মোদি’, ‘অমিত শাহ’–এর আবেদন
শচীন টেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনি, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। চাইলে আরও কিছু নাম দেওয়া যায়—হরভজন সিং, বীরেন্দর শেবাগ। নামগুলো পরিচিত। এবং ‘তাঁরা’ সবাই ভারতের ছেলেদের জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ পদে আবেদন করেছেন। নিশ্চয়ই বিশ্বাস হচ্ছে না? নামগুলো ঠিকই আছে শুধু মানুষগুলো আলাদা। আসল ঘটনা হলো ভারতের রাজনীতিবিদ এবং ক্রিকেটারদের নাম ব্যবহার করে অনেকেই আবেদন করেছেন প্রধান কোচ পদে। অর্থাৎ ভুয়া নামে আবেদন!
বর্তমান প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) চুক্তির মেয়াদ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার আগেই ১৩ মে এই পদে প্রধান কোচ পদে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিসিসিআই। গতকাল আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়। ৩ হাজারেরও বেশি আবেদন পেয়েছে বিসিসিআই। ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, বেশির ভাগ আবেদনই করা হয়েছে ভুয়া নামে। ক্রিকেটার এবং রাজনীতিবিদদের নামই বেশি ব্যবহার করা হয়েছে এ ক্ষেত্রে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানিয়েছে, টেন্ডুলকার, ধোনি, হরভজন, শেবাগ—ভারতের এসব কিংবদন্তিদের নামে একাধিক আবেদপত্র জমা পড়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি। তাঁদের নাম ব্যবহার করেও আবেদন জমা পড়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বিজ্ঞপ্তিতে গুগল ফর্মে আবেদন চেয়েছে বিসিসিআই। তার পর থেকেই প্রচুর ভুয়া আবেদন জমা পড়তে শুরু হয়। ঝামেলা হলো, প্রধান কোচ হতে সত্যিকারের আগ্রহী ব্যক্তিরা আবেদন করেছেন কি না, সেটি এখন পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারেনি বিসিসিআই।
ভুয়া আবেদন নিয়ে বিসিসিআইয়ের ঝামেলায় পড়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০২২ সালে প্রধান কোচ চেয়ে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতেও অন্তত ৫ হাজার ভুয়া আবেদন পেয়েছিল বিসিসিআই, যেখানে তারকাদের নাম ব্যবহার করা হয়। বিসিসিআই সে সময় আবেদনপত্র মেইল করতে বলেছিল, কিন্তু এবার গুগল ফর্ম ব্যবহার করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘গত বছরও বিসিসিআই ভুয়া আবেদনকারীদের এমন প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল এবং এবারও গল্পটা একই। গুগল ফর্মে আবেদন চাওয়ার কারণ হলো এতে একটি শিটেই প্রার্থীর নাম সহজভাবে যাচাই–বাছাই করা যায়।’
ভারতের ছেলেদের জাতীয় দলের নতুন কোচ ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এই দায়িত্ব পালনে কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে, সেসব বিজ্ঞপ্তিতেই জানিয়ে দেয় বিসিসিআই। তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, আবেদনকারীকে ‘অবশ্যই কাজের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে এবং তারকা অ্যাথলেটদের সামলানোর চাপ সইতে হবে।’ এর পাশাপাশি ভারতের ক্রিকেট দলকে বিশ্বমানের গড়ে তোলার পাশাপাশি সব কন্ডিশনেই টেকসই সাফল্য এনে দেওয়া এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করার চাহিদার কথাও বলা আছে।