- ৩ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়
- আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ, রাউন্ড টু
- বিলম্বিত টস
- নির্ধারিত সময়ে শুরু হচ্ছে না খেলা
- বাড়ছে কাভারের সংখ্যা
- মোস্তাফিজুর রহমানকে খেলানো উচিৎ?
- পরিত্যক্ত ম্যাচের পরিসংখ্যান
- অপেক্ষা
- চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আক্ষেপ
- সরানো হচ্ছে কাভার
- ৪৫ ওভারের ম্যাচ
- টস
- অপরিবর্তিত বাংলাদেশ
- আগের একাদশ আয়ারল্যান্ডেরও
- প্রথম ওভারেই হাসানের ব্রেকথ্রু
- সুযোগ তৈরি করলেন শরীফুল
- ৪৫ ওভারের ম্যাচে পরিবর্তিত নিয়ম
- হাসানের দ্বিতীয় আঘাত
- কৌশল বাস্তবায়নে ব্যর্থ ইবাদত
- ফিরলেন শরীফুল, আক্রমণে সাকিবও
- শরীফুলের ওভারে ১৪
- আয়ারল্যান্ডের ফিফটি
- টেক্টরকে জীবন দিলেন শরীফুল
- আক্রমণে তাইজুল
- তাইজুলকে তিন ছক্কায় ফিফটি টেক্টরের
- আয়ারল্যান্ডের ১০০
- বলবার্নিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন শরীফুল
- খেলা দেখা যাচ্ছে বিসিবির ইউটিউবেও
- খরুচে শরীফুলের আরেকটি উইকেট
- কত দূর যাবে আয়ারল্যান্ড?
- মিরাজের দেখা নেই
- ক্যাম্ফার এলবিডব্লু ব তাইজুল
- টেক্টরের সেঞ্চুরি
- টেক্টরের রেকর্ড
- ২০০ ছাড়িয়ে আয়ারল্যান্ড
- টেক্টরের গল্প
- টেক্টরের আরেকটি রেকর্ড
- ৩১ বলে ফিফটি ডকরেলের
- টেক্টরকে থামালেন ইবাদত
- সহজ ক্যাচ ফেললেন সাকিব
- আয়ারল্যান্ড ৩১৯/৬, ৪৫ ওভার
- ছক্কার বৃষ্টি
- তাড়া করতে পারবে বাংলাদেশ?
- রিভিউ হারাল আয়ারল্যান্ড
- শুরুতেই নেই তামিম
- পঞ্চম ওভারে প্রথম চার
- ২ ওভারে ২১
- কঠিন কাজ
- ৯ ওভারশেষে
- খোঁচা মেরে ফিরলেন লিটন
- আক্রমণাত্মক নাজমুল
- এবার চড়াও সাকিব
- সাকিবকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন ক্যাম্ফার
- নাজমুলের ফিফটি
- শর্ট করতে নেই!
- সেঞ্চুরি জুটি, হৃদয়ের ফিফটি
- আবার হারালো বল
- নাজমুলের সেঞ্চুরি
- আয়ারল্যান্ডকে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন ডকরেল
- নাজমুল ক টেক্টর ব ক্যাম্ফার
- লিটলের ওভারে ১৩
- মিরাজ এলবিডব্লু
- ২৪ বলে প্রয়োজন ২৭
- এক ওভারে দুই আউটের শঙ্কা
- ১২ বলে ১২
- ৬ বল, ৫ রান
৩ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়
প্রথম দুটি বল ডট দেওয়ার পর তৃতীয়টি ফুলটস করেন লিটল। মুশফিক তাতে ক্যাচ তোলেন স্কয়ার লেগে। মাঠে সরাসরি নো বল দেওয়া হয়নি, টেলিভিশন রিপ্লের পর দেওয়া হয় সেটি। ফ্রি হিটে শর্ট লেংথে করেছিলেন লিটল, সেটিকে স্কুপ করে চার মেরে বাংলাদেশকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন মুশফিক।
দারুণ দুটি সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজন। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলে বলে হ্যারি টেক্টর ও নাজমুল হোসেনের গতিপথটা একই হওয়ার সুযোগ ছিল না। চেমসফোর্ডে হ্যারি টেক্টরের চতুর্থ সেঞ্চুরি ম্লান করে শেষ হাসিটা নাজমুল হোসেনেরই। ৪৫ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ৩২০ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে ৩ উইকেট ও ৩ বল বাকি থাকতেই।
নাজমুলের সেঞ্চুরি, তাওহিদ ৬৮ রানের ইনিংসের ভিতে দাঁড়িয়ে শেষ করেন মুশফিক, যিনি অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৩৬ রানে।
যেভাবে এলো বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়, পড়ুন নিচে-
আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ, রাউন্ড টু
প্রথম ম্যাচে একটা পর্যায়ে দুই দলই ছিল প্রায় সমতায়। তবে বৃষ্টি বাগড়া দেওয়াতে শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয় সেটি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ চেমসফোর্ডে মুখোমুখি দুই দল। প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
বিলম্বিত টস
এ সময়ের মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা টস। তবে বৃষ্টিতে বিলম্বিত হচ্ছে সেটি। মাঠ পর্যবেক্ষণে নেমেছেন আম্পায়াররা।
তাসকিন যখন টেল-এন্ডারদের প্রেরণার নাম
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ইনিংসে একমাত্র ছক্কাটি মেরেছিলেন শরীফুল ইসলাম। মুশফিকুর রহিমের ফিফটি ছাড়াও বাংলাদেশকে ২৪৬ রানের লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেওয়ার পেছনে অবদান ছিল শরীফুলের ১৫ বলে ১৬ ও তাইজুল ইসলামের ১৪ রানের ইনিংসের। টেল-এন্ডে ব্যাটিংয়ের গুরুত্বটা বাংলাদেশ বুঝতে পারছে, এমন বলেছেন শরীফুল। নেটে তাসকিন আহমেদের ব্যাটিং অনুশীলন দেখে উৎসাহ পান বলেও জানিয়েছেন বাঁহাতি এ পেসার।
নির্ধারিত সময়ে শুরু হচ্ছে না খেলা
ধারাভাষ্যে অ্যালান উইলকিনস বলছেন, আগের দিনের মতো তোপ না থাকলেও দুই-এক ঘণ্টা হালকা বৃষ্টি হবে চেমসফোর্ডে। দ্বিতীয় ওয়ানডে একেবারে ভেসে যাওয়ার শঙ্কা না থাকলেও তাই নির্ধারিত সময়ে শুরু হচ্ছে না খেলা। স্থানীয় সময় ১০-৪৫ মিনিটে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এখন।
বাড়ছে কাভারের সংখ্যা
একটু আগে রিজার্ভ আম্পায়ার রলি ব্ল্যাকের সঙ্গা কথা বলছিলেন কিউরেটর। সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যাচ্ছে, বাড়ানো হচ্ছে কাভারের সংখ্যা। চেমসফোর্ডে ক্রিকেটের অপেক্ষা বাড়ছে তাই।
মোস্তাফিজুর রহমানকে খেলানো উচিৎ?
পরিত্যক্ত ম্যাচের পরিসংখ্যান
দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এখন পর্যন্ত ৬টি ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই ২টি।
তবে কোনো সিরিজেই এখন পর্যন্ত একাধিক ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়নি।
অপেক্ষা
ওয়েদার ডট কম বলছে, বৃষ্টি থাকবে আরও ঘণ্টা দুয়েক। টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পার্থক্য নেই। মাঠ কাভারে ঢাকা, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টির শব্দ....
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আক্ষেপ
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা, কিন্তু সেটি হচ্ছে ইংল্যান্ডে। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এমন দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলের নেই বললেই চলে। তার ওপর যে সময়ে খেলা হচ্ছে, সেটিও আদর্শ নয়। ইংল্যান্ডে এখন গ্রীষ্মের শুরু। এ সময়ে বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়ারই আধিপত্য থাকে। বৃষ্টির কারণেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতিটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশ দলের। এরপর তো প্রথম ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচও এখন পর্যন্ত শুরু হতে পারেনি।
সরানো হচ্ছে কাভার
সুসংবাদ!
মাঠে দেখা যাচ্ছে গ্রাউন্ডসম্যানদের। এরই মধ্যে একাধিক কাভার সরানো হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা যদিও আসেনি এখনো।
একটু পর ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড তাদের টুইটারে বৃষ্টি থামার সংবাদ দিয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে।
৪৫ ওভারের ম্যাচ
মাঠ পর্যবেক্ষণে নেমেছিলেন আম্পায়াররা। কিউরেটরদের সঙ্গে কথা বলে উঠে গেছেন তাঁরা। একটু পরই এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
বাংলাদেশ সময় ৫-৩০ মিনিটে হবে টস।
স্থানীয় সময় বেলা ১টা, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচ।
খেলা হবে ৪৫ ওভারের।
টস
টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তামিমের ভাষায়, এতে চমকের কিছু নেই।
অপরিবর্তিত বাংলাদেশ
কোনো পরিবর্তন নেই বাংলাদেশ দলে। ফলে একাদশের বাইরেই থাকছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।
আগের একাদশ আয়ারল্যান্ডেরও
আগের ম্যাচের দল নিয়ে নামছে আইরিশরাও।
একাদশ
অ্যান্ডি বলবার্নি (অধিনায়ক), মার্ক এডেয়ার, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, স্টিফেন ডোহেনি, গ্রাহাম হিউম, জশ লিটল, অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন, পল স্টার্লিং, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার
প্রথম ওভারেই হাসানের ব্রেকথ্রু
হাসান মাহমুদের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে পল স্টার্লিং ব্যাট ঠেকিয়েছিলেন, বাঁদিকে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। আম্পায়ার নটআউট দিলেও মুশফিকরা ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। তামিম ইকবাল নেন রিভিউ। আল্ট্রা-এজে দেখা গেছে পরিষ্কার স্পাইক। প্রথম ওভারেই ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। প্রথম ওয়ানডেতে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে অ্যান্ডি বলবার্নিকে বোল্ড করেছিলেন হাসান, এবার এমন ডেলিভারিতে ফেরালেন স্টার্লিংকে।
আয়ারল্যান্ড ১/১, ১ ওভার।
সুযোগ তৈরি করলেন শরীফুল
প্রথম ওভারে এসেই বলবার্নিকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছিলেন শরীফুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্লিপে থাকা লিটন দাসের সামনে পড়েছে সেটি, ফলে বেঁচে গেছেন আইরিশ অধিনায়ক। ২ ওভারশেষে ৪/১।
৪৫ ওভারের ম্যাচে পরিবর্তিত নিয়ম
একজন বোলার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৯ ওভার।
প্রথম পাওয়ারপ্লে ১-৯ ওভার, দ্বিতীয় পাওয়ারপ্লে ১০-৩৭, তৃতীয় পাওয়ারপ্লে ৩৮-৪৫।
আজও অপরিবর্তিত পেস আক্রমণ
দলে পেস বোলারের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় বছর দুই ধরে দলে পেসারদের বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর যে নীতি, সেটি বাস্তবায়নে খুব বেশি মাথা ঘামাতে হচ্ছে না। কখনো তাসকিন বা শরীফুল ইসলামের চোট, কখনো মোস্তাফিজুর রহমানের আইপিএলজনিত ছুটি—এসব কারণে অনেক সময় না চাইলেও বদলে যাচ্ছে পেস আক্রমণের মুখ। পেসাররা সবাই-ই ভালো করায় এই অদলবদলও করা যাচ্ছে কোনো রকম অস্বস্তি ছাড়াই।
আজ অবশ্য অপরিবর্তিত আছে পেস আক্রমণ। ইবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদের সঙ্গে খেলছেন শরীফুল ইসলাম।
হাসানের দ্বিতীয় আঘাত
হাসান মাহমুদের পর ইবাদত হোসেনকে এ অঞ্চল দিয়েই চার মেরেছিলেন স্টিফেন ডোহেনি। তবে এবার হাসানের বলে আর গ্যাপ খুঁজে পেলেন না। একটু বাড়তি বাউন্সের বলে তাঁর স্কয়ার ড্রাইভে সরাসরি ক্যাচ গেছে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। সপ্তম ওভারে এসে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড, দুটিই নিলেন হাসান। বোর্ডে রান ১৬। আয়ারল্যান্ড চাপে শুরুতেই, শুরুতেই উজ্জীবিত বাংলাদেশ।
কৌশল বাস্তবায়নে ব্যর্থ ইবাদত
শর্ট ফাইন লেগ, শর্ট স্কয়ার লেগ—বিহাইন্ড দা স্কয়ারে দুজন ফিল্ডার রেখেছিলেন তামিম। কিন্তু ঠিক পরের বলটি ইবাদত হোসেন করলেন প্যাডের ওপর। তাতে সহজ সিঙ্গেল নিয়ে অন্যপ্রান্তে হ্যারি টেক্টর। ইবাদত পরের বলটি শর্ট করতে গেলেন, সেটি গেল লেগ সাইডের বাইরে। অ্যান্ডি বলবার্নি তাতে হুক করতে ভুল করেননি, নিজের প্রথম চারও পেয়ে গেছেন। ফিল্ড সেটিং অনুযায়ী বোলিং না করার মাশুল দিলেন ইবাদত।
আয়ারল্যান্ড ২২/২, ৮ ওভার।
ফিরলেন শরীফুল, আক্রমণে সাকিবও
১ ওভার পরই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল শরীফুলকে। প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পর তাঁকে ফিরিয়েছেন তামিম। তাঁর দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারে কাভার ড্রাইভে চার মেরেছেন বলবার্নি।
পরের ওভারে আক্রমণে এসেছেন সাকিব। প্রথম ৫টি বল ডট করলেও শেষ বলে লেগসাইডে ঘুরিয়ে খেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন হ্যারি টেক্টর। মেডেন হারিয়ে সাকিবের হতাশা ছিল স্পষ্ট। এরপর স্টাম্প মাইক্রোফোনে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আর্ম বল করলেই হইত। হুদাই!’
আয়ারল্যান্ড ৩১/২, ১১ ওভার
শরীফুলের ওভারে ১৪
প্রথমে চার, এরপর পুল করে ছক্কা—শরীফুলের এলোমেলো লাইন-লেংথের সুবিধা আদায় করেছেন টেক্টর। ১২তম ওভারে আয়ারল্যান্ড তুলেছে ১৪ রান। অন্য প্রান্তে সাকিবের তৈরি করা চাপ ধরে রাখতে পারলেন না শরীফুল। ১২ ওভারশেষে ৪৫/২।
আয়ারল্যান্ডের ফিফটি
সাকিবকে কাট করে চার মেরেছেন বলবার্নি। আয়ারল্যান্ডের ৫০ রান পূর্ণ হয়ে গেছে তাতে। টেক্টরের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড অধিনায়কের জুটি এখন অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানে।
টেক্টরকে জীবন দিলেন শরীফুল
বোলিংয়ে সময়টা এখন পর্যন্ত ভালো যায়নি, এবার ফিল্ডিংয়েও ভুল করলেন শরীফুল। ইবাদতকে পুল করতে গিয়ে ওপরে তুলেছিলেন টেক্টর, তাইজুলের সঙ্গে সে ক্যাচের পেছনে ছুটেছেন শরীফুলও। তবে মাঝপথে একটু থেমে যান, তাইজুলের দিকে তাকাতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন বল। শেষ মুহূর্তে ডাইভ দিলেও হাতে নিতে পারেননি সেটি। ২৩ রানে জীবন পেলেন টেক্টর।
আক্রমণে তাইজুল
ক্রিজে দুই ডানহাতি, সাকিবের পর দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে তাই এসেছেন আরেক বাঁহাতি তাইজুল ইসলাম। প্রথম ওভারে তাঁকে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন টেক্টর, নিজের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়লেও নাগাল পাননি শর্ট মিডউইকেটে থাকা অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টেক্টর ও বলবার্নির জুটি ওই ওভারেই ছুঁয়ে ফেলেছে ৫০। পরের ওভারে সাকিব দিয়েছেন ৩ রান। শুরুর চাপ সামাল দিয়ে আয়ারল্যান্ডকে টানছেন দুজন।
আয়ারল্যান্ড ১৯ ওভারে ৭১/২।
তাইজুলকে তিন ছক্কায় ফিফটি টেক্টরের
প্রথম ব্যাকফুটে কাউ কর্নার দিয়ে, এরপর ফ্রন্ট ফুটে লং অন দিয়ে, এক বল বিরতির পর আবার কাউ কর্নার দিয়ে স্লগ করে ছক্কা—তাইজুলের ওপর চড়াও হয়েছেন টেক্টর। ৪ বলের মধ্যে মারা ৩ ছক্কার তৃতীয়টি দিয়ে ফিফটিও পূর্ণ করে ফেলেছেন টেক্টর, লেগেছে ৫৩ বল। ২০তম ওভারে উঠেছে ২০ রান, আয়ারল্যান্ড ২ উইকেটে ৯১ রান।
আয়ারল্যান্ডের ১০০
সাকিব এক দিক থেকে চাপ তৈরির চেষ্টা করছেন, তবে অন্য প্রান্তে আলগা হয়ে যাচ্ছে সেটি। এবার অবশ্য সাকিবের বলেই মিসফিল্ডে চার দিলেন তাইজুল। ২১তম ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলল আয়ারল্যান্ড।
বলবার্নিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন শরীফুল
আরেকটি স্পেলে ফিরে প্রথম ওভারে ২ রান, পরের ওভারে জুটি ভাঙলেন শরীফুল! রাউন্ড দা উইকেট থেকে করা বলটি বেরিয়ে যাচ্ছিল অ্যাঙ্গেল করে, পা সেভাবে না নড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে ভুল করেছেন অ্যান্ডি বলবার্নি। উইকেটের পেছনে ভুল হয়নি মুশফিকুর রহিমের। ৯৮ রানেই থেমেছে টেক্টরের সঙ্গে বলবার্নির জুটি, তিনি থামলেন ৫৭ বলে ৪২ রান করে।
খেলা দেখা যাচ্ছে বিসিবির ইউটিউবেও
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ থেকে দেখার উপায় ছিল শুধু আইসিসি টিভি। দ্বিতীয় ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ পর বিসিবি জানায়, তাদের ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাচ্ছে এ ম্যাচ। এ লিংকে ক্লিক করে দেখতে পারেন আপনিও।
খরুচে শরীফুলের আরেকটি উইকেট
প্রথম ৫ বলে দিয়েছিলেন ১৪ রান, ঠিক আগের বলেই তাঁকে চার মেরেছিলেন লরকান টাকার। সেই শরীফুলই নিলেন আরেকটি উইকেট। টাকার ঘুরিয়ে খেলেছিলেন, তবে যেদিকে খেলতে চেয়েছিলেন বল ঠিক সেদিকে যায়নি। ডিপ মিডউইকেটে অবশ্য সরাসরি ক্যাচ গেছে লিটন দাসের হাতে। টাকার থেমেছেন ১১ বলে ১৬ রানে।
২৬ ওভারে ১৩৮/৪।
কত দূর যাবে আয়ারল্যান্ড?
মিরাজের দেখা নেই
৩০তম ওভারেও মেহেদী হাসান মিরাজকে আনেননি তামিম ইকবাল। আইরিশ ব্যাটিং লাইনআপে প্রথম ৬ জনের একজনও বাঁহাতি নন। হাসান ও শরীফুলের সঙ্গে সাকিবও করেছেন ৬ ওভার করে, ইবাদত করেছেন ৬টি। তাইজুলকে দিয়ে করানো হয়েছে ৩ ওভার। তাইজুল অবশ্য করেছেন খরুচে বোলিং, ৩ ওভারে গুণেছেন ৩২ রান।
ক্যাম্ফার এলবিডব্লু ব তাইজুল
তাইজুল ইসলামের লেংথ বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস করেছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার, আম্পায়ার পল রেনল্ড বেশ খানিকটা সময় নিয়ে তুলেছেন আঙুল। ক্যাম্ফার রিভিউ করেন সঙ্গে সঙ্গেই, তবে সফল হয়নি সেটি। শট খেলার সময়ই দেখা যাচ্ছিল ক্যাম্ফারের লেগ স্টাম্প, বলের উচ্চতাও ছিল না তেমন। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, স্টাম্পে আঘাত করত তাইজুলের বলটি। আরেকজন আইরিশ ব্যাটসম্যান দ্রুতই ফিরে গেলেন টেক্টরকে রেখে, প্রথম ৩ ওভারে খরুচে তাইজুলই পেলেন উইকেটের দেখা। শরীফুলের পর তাইজুল—খরুচে বোলিং করলেও পেলেন উইকেটের দেখা।
টেক্টরের সেঞ্চুরি
৩ বল ডট দেওয়ার পর তাইজুল ইসলামকে অফ সাইডে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন হ্যারি টেক্টর, সেটিও মাত্র ৯৩ বলেই। চাপের মুখে দাঁড়িয়ে খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ৩১ ম্যাচের ক্যারিয়ারেই টেক্টরের এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। টেক্টরের চারটি সেঞ্চুরিই এলো গত ১২ মাসের মধ্যে!
টেক্টরের রেকর্ড
৩১তম ওয়ানডেতেই চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন হ্যারি টেক্টর। টেক্টর ছাড়াও চার জন আইরিশ ব্যাটসম্যানের ৪ বা এর বেশি ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে। তবে ম্যাচের হিসেবে কেউই এত দ্রুত ৪টি সেঞ্চুরি করেননি। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও পল স্টার্লিং—দুজনেরই লেগেছিল ৩২টি করে ম্যাচ।
২০০ ছাড়িয়ে আয়ারল্যান্ড
৪৫ ওভারের ম্যাচ বলে ৩৬ ওভারেই শেষ দ্বিতীয় পাওয়ারপ্লে। এর আগেই ২০০ পেরিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। টেক্টরকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছেন জর্জ ডকরেল।
টেক্টরের গল্প
মাঠে সেঞ্চুরি ছেলের, গ্যালারিতে সেটি উপভোগ করছেন বাবা-মা। নিজ দেশে না হলেও হ্যারি টেক্টর আছেন এমন আবহেই।
টেক্টরের পারিবারিক আবহজুড়েই অবশ্য আছে ক্রিকেট।
টেক্টরের আরেকটি রেকর্ড
সাকিব আল হাসানকে মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা টেক্টরের, আইরিশ রেকর্ড নিজের করে নিলেন তাতেই। ইনিংসে তাঁর এটি নবম ছক্কা। কোনো আয়ারল্যান্ড ব্যাটসম্যানের জন্য এক ইনিংসে যেটি সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ছিল অ্যান্ডি বলবার্নির, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে এখনকার আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক মেরেছিলেন ৮টি ছক্কা।
৩১ বলে ফিফটি ডকরেলের
৪১তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। তাঁর বলে ডাবলস নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করলেন ডকরেল, মাত্র ৩১ বলেই। এ ওভারে টেক্টরের সঙ্গে ডকরেলের জুটিও ছুঁয়ে ফেলেছে ১০০ রান।
টেক্টরকে থামালেন ইবাদত
ইবাদত হোসেনের লেংথ বলে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করে বোল্ড হলেন টেক্টর, তাতেই শেষ হলো টেক্টরের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১১৩ বলে ১৪০ রানের ইনিংসে টেক্টর মেরেছেন ৭টি চার ও ১০টি ছক্কা। আয়ারল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড টেক্টর ভেঙেছিলেন আগেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ছক্কার ক্ষেত্রে তিনে থাকা ঈশান কিষাণকেও ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি।
সহজ ক্যাচ ফেললেন সাকিব
যে ক্যাচটি নিতে পারতেন সহজে, সাকিব সেটি তো নিতে পারলেনই না, উলটো আঘাত পেলেন হাতে। দিনে বাংলাদেশের চিত্র যেন ফুটে উঠল তাতেই। জর্জ ডকরেল জীবন পেলেন, ৫৯ রানে। ২ ওভার বাকি থাকতে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ২৮৭/৬।
আয়ারল্যান্ড ৩১৯/৬, ৪৫ ওভার
৪৪তম ওভারের শেষ বলে হাসান মাহমুদকে মারা মার্ক অ্যাডাইরের ছক্কায় ৩০০ পেরিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। ইবাদত হোসেনের করা শেষ ওভারে আপার কাটে মেরেছেন আরেকটি ছক্কা। ৪৫ ওভারে আয়ারল্যান্ড তুলেছে ৬ উইকেটে ৩১৯ রান।
এমন কন্ডিশনে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে ১৬ রানেই ২ উইকেট তুলে নেওয়া প্রতিপক্ষের, তামিম ইকবাল নিশ্চিতভাবে খুশিই হয়েছিলেন। তবে ইনিংসশেষে বেশ অস্বস্তিতেই থাকার কথা তাঁর। বাংলাদেশ অধিনায়ককে অস্বস্তিতে ফেলার মূল অবদান হ্যারি টেক্টরের। ১১৩ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন, ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ দুটি জুটির অংশ।
অ্যান্ডি বলবার্নির সঙ্গে তাঁর ১০৪ বলে ৯৮ রানের জুটি আয়ারল্যান্ডকে বের করে এনেছে শুরুর চাপ থেকে। মাঝে দ্রুত লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফারকে হারালেও জর্জ ডকরেলের সঙ্গে তাঁর ৬৮ বলে ১১৫ রানের জুটিতে লাফ দিয়েছে আয়ারল্যান্ড।
টেক্টরকে ইবাদত শেষ পর্যন্ত থামিয়েছেন, কিন্তু তাতে আয়ারল্যান্ড থামেনি। মার্ক অ্যাডাইরের ও জর্জ ডকরেল মিলে যোগ করেন ১৮ বলেই ৩৭ রান। ডকরলে অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৭৪ রান করে।
ছক্কার বৃষ্টি
তাড়া করতে পারবে বাংলাদেশ?
৩২০ রানের লক্ষ্যে প্রথম ওভারে বিনা উইকেটে ১ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
রিভিউ হারাল আয়ারল্যান্ড
জশ লিটলের করা প্রথম ওভারে তামিমের বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদন হয়েছিল, আম্পায়ার সাড়া দেননি, রিভিউও নেয়নি আয়ারল্যান্ড। মার্ক অ্যাডাইরের প্রথম বলে আবার তামিমের বিপক্ষে হলো এলবিডব্লু। এবার রিভিউ নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি। তবে বলটি যেত ওপর দিয়ে, বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে এমন।
২ ওভারে ৭/০।
শুরুতেই নেই তামিম
বড় রানতাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। মার্ক অ্যাডাইরের মোটামুটি ফুললেংথের বলে আগবাড়িয়ে ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে সরাসরি ডকরেলের হাতে ক্যাচ তুলেছেন তামিম ইকবাল। ১৩ বলে ৭ রান করেই থামতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
পঞ্চম ওভারে প্রথম চার
৪.২ ওভার, বাংলাদেশের প্রথম বাউন্ডারি। জশ লিটলের বলে পুল করে সেটি মেরেছেন লিটন দাস। অবশ্য এরপরই ব্যাট বদলাতে হয়েছে লিটনকে।
বাংলাদেশ ১৫/১, ৫ ওভার।
২ ওভারে ২১
আগের ম্যাচের চেয়ে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছেন জশ লিটল। প্রথম ম্যাচে ফুললেংথ থেকে সুইং আদায়ের চেষ্টা করলেও এবার এ বাঁহাতির মনযোগ লেংথ ও শর্ট অব আ লেংথের দিকেই। এখন পর্যন্ত অবশ্য সফল হননি। উলটো সপ্তম ওভারে লিটনের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি—ব্যাকফুটে দারুণ ড্রাইভে চারের পর পুল করে ছক্কা মেরেছেন লিটন। আগের ওভারে মার্ক অ্যাডাইরকে দুই চার মেরেছেন নাজমুল হোসেন।
৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৩৬/১।
কঠিন কাজ
৯ ওভারশেষে
প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেটে ২৬ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম ৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর সেখানে ৪০/১। ম্যাচের এ পর্যায়ে অন্তত এগিয়ে বাংলাদেশ।
খোঁচা মেরে ফিরলেন লিটন
ঠিক পরের ওভারেই থামলেন লিটন। গ্রাহাম হিউমের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরেছেন ভালো শুরু পাওয়া লিটন। ২১ বলে ২১ রান তাঁর, ৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেট নেই বাংলাদেশের।
আক্রমণাত্মক নাজমুল
গ্রাহাম হিউমের আগের ওভারে মেরেছিলেন টানা দুটি চার। এবার চারের পর মারলেন ছক্কা। লিটন দাস ক্রিজে থাকার সময় খোলসবন্দী ছিলেন, সেটি থেকে বেরোচ্ছেন নাজমুল হোসেন। চেমসফোর্ডে বাংলাদেশ সমর্থকদেরও যেন জাগিয়ে তুলেছেন এ বাঁহাতি। শেষ ৩ ওভারে উঠেছে ৩১ রান, ১৫ ওভারশেষে স্কোর ৮৬/২।
এবার চড়াও সাকিব
অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের ওপর এবার চড়াও হয়েছেন সাকিব আল হাসান। টানা তিনটি চার মেরেছেন তিনি। এর মধ্যে দ্বিতীয় চারে ফিফটি জুটি হয়ে গেছে নাজমুলের সঙ্গে। শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৪৩ রান। ৯৮/২, ১৬ ওভার শেষে।
সাকিবকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন ক্যাম্ফার
৪ ওভারে ৪৩ রান। এরপর কার্টিস ক্যাম্ফার ফিরলেন। ফিরেই ফেরালেন সাকিবকে। ওভার দা উইকেট থেকে করা বলটি বেরিয়ে যাচ্ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে, আগের ওভারে ম্যাকব্রাইনকে টানা তিনটি চার মারা সাকিব ব্যাট চালালেন তাতেই। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সরাসরি ক্যাচ গেছে ডকরেলের হাতে। সাকিব থেমেছেন ২৭ বলে ২৬ রান করে, নাজমুলের সঙ্গে তাঁর জুটি শেষ ৪৭ বলে ৬১ রানে।
নাজমুলের ফিফটি
৪৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করলেন নাজমুল, ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। তাঁর সবকটি ফিফটিই এলো এ বছর। এবার তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা তাঁর। ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১১৮ রান বাংলাদেশের।
নাজমুলের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস
১৭তম ওভারে সাকিব ফেরার পর বাংলাদেশকে আরেকটু চেপে ধরার আশা নিশ্চয়ই ছিল আইরিশদের। এখন পর্যন্ত অবশ্য সেটি হয়নি। শেষ ৮ ওভারে উঠেছে ৬১ রান। সর্বশেষ জশ লিটলকে দারুণ এক ড্রাইভে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরেছেন নাজমুল। তাতেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ স্কোর হয়ে গেছে তাঁর। ৬৬ বলে এখন ৭৯ রানে অপরাজিত তিনি, ২৫ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৩ উইকেটে ১৬২ রান।
শর্ট করতে নেই!
চেমসফোর্ডের এ মাঠ চারদিকেই ছোট, শর্ট বল এখানে সেভাবে কাজে আসছে না। পেসাররা তবুও মাঝে মাঝেই সেটি চেষ্টা করছেন। সর্বশেষ তাওহিদ হৃদয়কে এমন বল করলেন মার্ক অ্যাডাইর, হৃদয় সেটির জবাব দিয়েছেন ছক্কা মেরে। অবশ্য পরের বলে লেংথ বদলে ফেলায় হৃদয় ছেড়ে দেন একেবারেই। অ্যাডাইর এগিয়ে গিয়ে ‘খেলো না কেন এটা?’ ধরনের কথা শুনিয়েছেন হৃদয়কে। হৃদয়ও জবাব দিয়েছেন সেটির। সে ‘আলোচনা’ চলেছে ওভার শেষ হওয়ার পরও। পরের ওভারে ডকরেলকে চার মেরে ৯০-এ চলে গেছেন নাজমুল। ২৮ ওভার শেষে দলের স্কোর ১৮৫/৩।
সেঞ্চুরি জুটি, হৃদয়ের ফিফটি
হিউমের ফুললেংথে মিডউইকেট দিয়ে হৃদয়ের ছক্কা, নাজমুলের সঙ্গে তাঁর ১০০ রানের জুটি হয়ে গেল। মাত্র ৮০ বল লেগেছে এ জুটিতে। ফিফটির পথে হৃদয়, সেঞ্চুরির কাছে নাজমুল… এবং ফিফটি আগে পেলেন হৃদয়। হিউমের বলে পুল করে সিঙ্গেল নিয়ে তিনি মাইলফলকে গেছেন ৪৯ বলে। ৩১ ওভারশেষে ২০৬/৩।
আবার হারালো বল
‘ব্যাট ধরে রাখলেই ছক্কা!’
একটু আগে স্টাম্প মাইক্রোফোনে নাজমুল ও তাওহিদের আলোচনা থেকে ভেসে এলো এমন কথা। গ্রাহাম হিউমের বলে এবার ব্যাট ধরে রাখলেন হৃদয়। বল চলে গেল মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে। রিজার্ভ আম্পায়ারের ব্যাগে যে অতিরিক্ত বল, সেগুলো ফুরিয়ে আসছে! ঠিক পরের বলে ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসে টেনে চার মেরেছেন হৃদয়। চেমসফোর্ডে বাংলাদেশ বেশি সময় নিতে চাচ্ছে না যেন!
নাজমুলের সেঞ্চুরি
নাজমুল হোসেনের উল্লাসটা ক্ষীপ্ত। সেটি হওয়ারই কথা। ২০১৮ সালে অভিষেক, কিন্তু বলতে গেলে এ বছরই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নতুন শুরু নাজমুলের। ক্যারিয়ারে যে চারটি ফিফটি, সবই এসেছে এ বছর। চতুর্থ এ ফিফটিকে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে পরিণত করলেন নাজমুল। জর্জ ডকরেলকে আড়াআড়ি খেলে ডাবলস নিয়ে তিন অঙ্কে গেলেন এ বাঁহাতি, সেটিও ৮৩ বলে।
আয়ারল্যান্ডকে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন ডকরেল
একটি উইকেট খুব করেই প্রয়োজন ছিল আয়ারল্যান্ডের, সেটি তাদের এনে দিলেন জর্জ ডকরেল। শর্ট লেংথের বলে তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছেন ৫৮ বলে ৬৮ রান করা হৃদয়, নাজমুলের সঙ্গে হৃদয়ের জুটি ১০২ বলে ১৩১ রানের। শেষ ১১ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮৮ রান।
নাজমুল ক টেক্টর ব ক্যাম্ফার
শর্ট বল, এ রাতে সাফল্যের মুখ দেখেনি সেভাবে। ক্যাম্ফার সফল হলেন ওই শর্ট বলেই। নাজমুল পুল করেছিলেন, তবে ক্যাচ গেছে আরেক সেঞ্চুরিয়ারন হ্যারি টেক্টরের হাতে। নাজমুলের দারুণ ইনিংস শেষ ১১৭ রানে, খেলেছেন ৯৩ বলে। উঠে যাওয়ার আগে নতুন ব্যাটসম্যান মিরাজকে নাজমুল বলে গেলেন, ‘মুশি ভাইয়ের সাথে ব্যাটিং করতে থাক, মুশি ভাইয়ের সাথে ব্যাটিং করতে থাক…’। মুশফিক ও মিরাজ—বাংলাদেশের শেষ স্বীকৃত জুটি এখন ক্রিজে। জয়ের জন্য ৪৯ বলে প্রয়োজন ৬৩ রান।
লিটলের ওভারে ১৩
এ ওভারের আগে প্রয়োজনীয় রানরেট ছিল ৮। জশ লিটলকে টানা দুই চার মারলেন মিরাজ, ওভারে এলো ১৩ রান। ৩৬ বলে এখন প্রয়োজন ৪৩ রান।
মিরাজ এলবিডব্লু
ডকরেলকে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করেছিলেন মিরাজ। বল ট্র্যাকিং দেখানোর আগ পর্যন্তও হয়তো নিজের নেওয়া রিভিউ নিয়ে আশায় ছিলেন তিনি। তবে উইকেটে হয়েছে আম্পায়ার্স কল। আয়ারল্যান্ডকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু এনে দিলেন ডকরেল।
২৪ বলে প্রয়োজন ২৭
নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম মুশফিকুর রহিম, ১৭ বলে ২৪ রানে অপরাজিত তিনি। তাঁর সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।
এক ওভারে দুই আউটের শঙ্কা
মুশফিক বেঁচে গেলেন, সেটি অল্পর জন্যই। তাইজুল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সিঙ্গেল নিতে চাওয়া মুশফিককে। ডকরেল থ্রো ধরে ভেঙেছিলেন স্টাম্প। যে মুহূর্তে স্টাম্প ভাঙেন ডকরেল, মুশফিক ছিলেন ক্রিজের বাইরেই। তবে টেলিভিশন আম্পায়ারের কথা অনুযায়ী, মুশফিকের ব্যাট ক্রিজের বাইরে থাকার সময় স্টাম্পের বেলস ওঠেনি পুরোপুরি। শেষ পর্যন্ত মুশফিককে দেওয়া হয়েছে নটআউট।
বেঁচে গেছেন তাইজুলও। ডকরেলের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন। তবে স্টার্লিং সেটি বুঝে উঠার আগেই বল গেছে তাঁর কাছে, হাতও বাড়াতে পারেননি। বল গিয়ে লেগেছে সরাসরি স্টার্লিংয়ের গালে। ডকরেলের করা ৪২তম ওভারে শেষ পর্যন্ত এসেছে ৬ রান। ১৮ বলে প্রয়োজন ২১ রান।
১২ বলে ১২
তাইজুল এলবিডব্লু
রিভিউ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি তাইজুল, নিলে খুব একটা লাভ হতোও না। শেষের আগের ওভারে তাইজুলকে এলবিডব্লু করলেন জশ লিটল। ১০ বলে প্রয়োজন ১১ রান, বাকি ৩ উইকেট।
৬ বল, ৫ রান
নেমেই চার মেরেছেন শরীফুল। এরপর স্ট্রাইক ফিরিয়েও দিয়েছেন মুশফিক। সে স্ট্রাইক অবশ্য শেষ ওভারে ধরে রেখেছেন মুশফিক। জয় থেকে একটি শট দূরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।