২০১৯ অ্যাশেজের হেডিংলি টেস্টে অপরাজিত ১৩৫ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংসের পথে এক সেশনেই ১০০ রান তুলেছিলেন বেন স্টোকস। গত চার বছরে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে যুক্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান, চালু হয়েছে বাজবল নামে অতি ইতিবাচক ধারার ক্রিকেটও। কিন্তু এক সেশনে ১০০ রান তুলে ফেলা ইনিংস দেখা যায়নি আর একটিও। আজ ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ডের সেই ‘আক্ষেপ’ই ঘুচিয়েছেন জ্যাক ক্রলি। ডানহাতি এই ওপেনার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে তুলেছেন ১০৬ রান।
স্টোকসকে মনে করিয়ে দেওয়া ক্রলির আক্রমণাত্মক সেশনের সুবাদে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়েছে ইংল্যান্ড। ৪ উইকেটে ৩৮৪ রান তুলে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকেরা। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের চেয়ে ইংলিশরা এগিয়ে গেছে ৬৭ রানে। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও ক্রলি শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ১৮৯ রান করে।
ইনিংস শুরু করতে নেমে ক্রলির শুরুটা অবশ্য আক্রমণাত্মক ছিল না। তৃতীয় ওভারে বেন ডাকেট মিচেল স্টার্কের বলে আউট হয়ে ফেরার পর কিছুটা সময় খেলেছেন দেখেশুনে। তবে একবার থিতু হয়ে যাওয়ার পর আর বোলার বা বোলিংয়ের দিকে তাকাননি। স্টার্ক, প্যাট কামিন্স থেকে শুরু করে জশ হ্যাজলউড—একের পর এক বাউন্ডারি তুলেছেন সবার ওভার থেকেই। প্রথম ৫০-এ পৌঁছাতে ৬৭ বল লাগলেও পরের ৫০ তুলে ফেলেন মাত্র ২৬ বলে। ক্রলির ৯৩ বলে ছোঁয়া সেঞ্চুরি ইংলিশ ওপেনারদের মধ্যে টেস্টে দ্বিতীয় দ্রুততম।
মধ্যাহ্নবিরতি থেকে চা-বিরতি—এই এক সেশনেই ক্রলির ব্যাট থেকে ৮২ বলে ১০৬ রান পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। ক্রলিকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মঈন আলী আর রুটও। তিনে নামা মঈন স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে খেলে যান ৮২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। আর তৃতীয় উইকেট জুটিতে সঙ্গ দিয়ে রুটও তুলে নেন ফিফটি।
রুটের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ২০৬ রানের জুটি গড়া ক্রলি ১৮২ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২১টি চার ও ৩টি ছক্কা। দলকে ৩৩৬ রানে রেখে ক্যামেরন গ্রিনের শিকার হয়েছেন ক্রলি। রুট ফেরেন ১৬ রান পর ব্যক্তিগত ৮৪ রানে জশ হ্যাজলউডের নিচু হয়ে যাওয়া বলে বোল্ড হয়ে। হ্যারি ব্রুককে (১৪*) নিয়ে দিনের বাকিটা সময় পার করেছেন অধিনায়ক বেন স্টোকস (২৪*)।
এর আগে প্রথম দিনের ৮ উইকেটে ২৯৯ রানের সঙ্গে শেষ ২ উইকেটে আরও ১৮ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার শেষ উইকেটটি তুলে নিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করেছেন ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৯০.২ ওভারে ৩১৭ (লাবুশেন ৫১, মার্শ ৫১; ওকস ৫/৬২)।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৭২ ওভারে ৩৮৪/৪ (ক্রলি ১৮৯, রুট ৮৪, মঈন ৫৪; স্টার্ক ২/৭৪)।