রুটের ৩৬তম সেঞ্চুরির দিনে সিরিজ জয় ইংল্যান্ডের
আরেকটি সেঞ্চুরির আভাষ পাওয়া গিয়েছিল গতকালই। জো রুট অপরাজিত ছিলেন ৭৩ রানে। তবে শঙ্কাও ছিল। ইংল্যান্ডের এই ইনিংসেই জ্যাকব বেথেল ৯৬ আর বেন ডাকেট ৯২ রানে আটকা পড়েছেন। কে জানে, আরেকটি নড়বড়ে নব্বইয়ে যদি রুটই কাটা পড়েন!
শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক আজ নিরাপদেই পৌঁছেছেন তিন অঙ্কে। সেটাও কিউই পেসার ও’রুর্কের বলে রিভার্স স্কুপ খেলে। রুটের ৩৬তম সেঞ্চুরির দিনে তাঁর দল ইংল্যান্ড পেয়েছে বড় জয়। নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৯ রানে অলআউট করে ইংল্যান্ড ওয়েলিংটন টেস্ট জিতেছে ৩২৩ রানের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে তিন টেস্টের সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতেছে ইংল্যান্ড।
২০০৮ সালের নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডের প্রথম সিরিজ জয় এটি। মাঝের ১৫ বছরে চারটি সিরিজ খেলে দুটিতে হেরেছিল, দুটি ড্র করেছিল।
ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল ৫৮৩ রান। যে রান তাড়া করতে হলে বিশ্ব রেকর্ডই গড়তে হতো। কিন্তু কিউইরা লক্ষ্যের দিকে ছোটা দূরে থাক, খেই হারিয়ে ফেলে প্রথম দশ ওভারের মধ্যেই।
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ডেভন কনওয়েল বোল্ড হন ক্রিস ওকসের বলে। একই বোলারের চতুর্থ ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কেন উইলিয়ামসন। এরপর ব্রাইডন কার্স অধিনায়ক টম ল্যাথামকে তুলে নিলে নিউজিল্যান্ডের স্কোর পরিণত ৩ উইকেটে ৩৩ রান–এ। এখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকেরা।
১৪১ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতনের পর সপ্তম উইকেটে ৯৬ রানের জুটি গড়েন টম ব্লান্ডেল ও নাথান স্মিথ। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ব্লান্ডেল ৯৬ রানে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে আউট হন ১০২ বলে ১১৫ রান করে। ব্লান্ডেলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি ছয় ও ১৩টি চার।
এর পর ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ২.২ ওভার বল করে ৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নিলে ২৫৯ রানেই আটকে যায় নিউজিল্যান্ড।
এর আগে আগের দিনের ৫ উইকেটে ৩৭৮ রানের সঙ্গে সকালে ১ উইকেটে আরও ৪৯ রান যোগ করে ইংল্যান্ড। অল্প সময়ের এই ব্যাটিংয়েই নিজের ৩৬ টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রুট। ১৩০ বলে ১০৬ রান করে রুট ও’রুর্কির বলে ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ হলে ৬ উইকেটে ৪২৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ২৮০ ও ৪২৭/৬ ডিক্লে. (রুট ১০৬, বেথেল ৯৬, ডাকেট ৯২, ব্রুক ৫৫; সাউদি ২/৭২)। নিউজিল্যান্ড: ১২৫ ও ২৫৯ (ব্লান্ডেল ১১৫, স্মিথ ৪২, মিচেল ৩২; স্টোকস ৩/৫, ওকস ২/২০)। ফল: ইংল্যান্ড ৩২৩ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হ্যারি ব্রুক। সিরিজ: তিন টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে।