- জয়শূন্য সুপার এইট
- বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মুখোমুখি, তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়াও
- টস
- দলে এলেন তাসকিন-সৌম্য
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে উৎপল শুভ্রর লেখা
- জাদরান-গুরবাজের জুটি—বিপজ্জনক
- সতর্ক শুরু গুরবাজ-ইব্রাহিমের
- ইব্রাহিমকে আউট করতে চাইলে…
- জীবন পেলেন ইব্রাহিম
- ৬ ওভারে ২৭/০
- হতাশা…
- ৫০ রানের জুটি
- অবশেষে জুটি ভাঙলেন রিশাদ
- চাপ
- শেকল ভাঙার ওভার?
- সেমিফাইনালে যেতে...
- ভুলে ভরা গল্প, না হওয়া রানআউট এবং আউট
- ৪ বলে ২ উইকেট রিশাদের
- নবীও থামলেন
- আফগানিস্তান ১১৫/৫, ২০ ওভার
- সেমিফাইনালে যেতে...
- আপডেট
- স্থানীয় সময় ১০-৪৫, বাংলাদেশ সময় ৮-৪৫ মিনিটে শুরু হচ্ছে খেলা
- ইতিবাচক শুরু, মনোভাব পরিষ্কার
- উঠে গেলেন গুরবাজ
- আবার ‘ডাক’ তানজিদের
- নাভিনের জোড়া আঘাত
- এবং বৃষ্টি
- আপডেট
- পারবেন লিটন?
- পাওয়ারপ্লে শেষ
- রশিদের আঘাত, উজ্জীবিত আফগানিস্তান
- জীবন পেলেন হৃদয়
- হৃদয়ও আউট
- ভরসা কি লিটনই?
- কী করতে চাইলেন মাহমুদউল্লাহ?
- প্রথম বলেই রিশাদ বোল্ড
- সেন্ট ভিনসেন্টে নাটক
- ১ ওভার কমে এসেছে। নতুন লক্ষ্য ১১৪ রান।
- সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ
- বোলিংয়ে গুলবদিন নাইব
- নাইবের উইকেট
- ২৪ বলে দরকার ২০ রান। বাকি ৮ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া নাকি আফগানিস্তান?
- লিটনের ফিফটি
- ১২ বল। ১২ রান। সেমিফাইনালে হয় আফগানিস্তান, নাহয় অস্ট্রেলিয়া। অথচ খেলছে বাংলাদেশ! ক্রিকেট না খেলা কাউকে বুঝাতে যাওয়ার সাহস করবেন না যেন!
- তাসকিন বোল্ড এবং বৃষ্টি
- সেমিফাইনালে আফগানিস্তান
- বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুলের কথা
- রশিদ খান
জয়শূন্য সুপার এইট
সেমিফাইনালের স্বপ্ন এক সময় বেশ বাস্তব ছিল বাংলাদেশের। সেটি হয়নি। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের কাছে হেরেই বসেছে নাজমুল হোসেনের দল। সুপার এইটে জয়শূন্য থেকেই তাই দেশে ফিরতে হচ্ছে তাদের। বাংলাদেশের হারে বিদায় নিতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকেও, সেমিফাইনালে চলে গেছে আফগানিস্তান। এ ম্যাচের বিস্তারিত ঘটনাক্রম পড়ুন নিচে—
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মুখোমুখি, তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়াও
‘কাম অন বাংলাদেশ!’
ভারতের সঙ্গে ম্যাচশেষে বলা মিচেল মার্শের কথায় হয়ত ফুটে ওঠে অনেক কিছু।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের শেষ ম্যাচে সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। তবে এ ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে কার্যত তিন ম্যাচের ভাগ্য। গতকাল রাতে অস্ট্রেলিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেছে ভারত। এখনো সুযোগ আছে বাকি তিন দলের।
কাজটি সবচেয়ে কঠিন বাংলাদেশের। সেমিফাইনালে যেতে আফগানিস্তানকে হারিয়ে পেতে হবে ২ পয়েন্ট, সঙ্গে নেট রানরেটেও টপকে যেতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে (-০.৩৩১)। ফলে আফগানিস্তানকে হারাতে হবে বড় ব্যবধানে। বাংলাদেশের নেট রানরেট এখন -২.৪৮৯। ধরা যাক, আগে ব্যাটিং করে ১৪০ রান করল বাংলাদেশ। তাহলে আফগানিস্তানকে হারাতে হবে অন্তত ৬২ রানে। আর আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং করলে ১৪০ রান করলে সেটি পেরোতে হবে ১২.৩ ওভারের মধ্যে। অবশ্য শেষ বলে ছক্কা মারলে সে সুযোগ থাকবে ১৩.১ ওভার পর্যন্ত।
এর কম ব্যবধানে যদি বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারায়, তাহলে সেমিফাইনালে যাবে অস্ট্রেলিয়া। মানে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে যেতে আজ বাংলাদেশের জয় প্রয়োজন, কিন্তু সেটি বড় ব্যবধানে নয়।
আফগানিস্তানের সমীকরণ সেখানে সরল—বাংলাদেশকে হারালেই নিশ্চিত সেমিফাইনাল। সেন্ট ভিনসেন্টের ম্যাচে দুই দল খেললেও তাকিয়ে আরেক দল। ও হ্যাঁ, এ ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। আগেই সেমিফাইনালে যাওয়া দলটির প্রতিপক্ষ যে নিশ্চিত হবে এ ম্যাচে। আগামী ২৭ জুন সকালে প্রথম সেমিফাইনাল। বাংলাদেশ সময় সে দিন রাতে পরের সেমিফাইনালে ভারতের সঙ্গে খেলবে ইংল্যান্ড।
প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি সাইফুল্লাহ্ বিন আনোয়ার।
টস
ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের সঙ্গে দুই অধিনায়ক। টসে জিতেছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। কন্ডিশন দেখে আগে ব্যাটিং করাকে সেরা অপশন মনে হচ্ছে তাঁর। মৌলিক ব্যাপারগুলো ঠিক রেখে উপভোগ করার মন্ত্র তাঁর। অপরিবর্তিত দল তাঁদের।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বলেছেন, তিনি বোলিং করতে চাইতেন, ফলে তিনি খুশি। সুযোগ কাজে লাগানোর পাশাপাশি শান্ত থাকার কথা বলেছেন তিনি।
দলে এলেন তাসকিন-সৌম্য
দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফেরানো হয়েছে সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকারকে। বাদ পড়েছেন জাকের আলী ও মেহেদী হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, গুলবদিন নাইব, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক), নানগায়াল খারোতি, নুর আহমেদ, নাভিন-উল-হক, ফজলহক ফারুকি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে উৎপল শুভ্রর লেখা
ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার পর সেমিফাইনালে উঠতে এখন বাংলাদেশের মুখ চেয়ে থাকতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। এতটাই যে, বাংলাদেশের প্রবল সমর্থক হয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ম্যাচশেষে হার্শা ভোগলে পরিস্থিতিটা মনে করিয়ে দিতেই হেসে বলেছেন, ‘কাম অন বাংলাদেশ!’
যে দল এখন পর্যন্ত সুপার এইটে একটা ম্যাচও জেতেনি, সেই দলের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলাটাই তো কেমন! অথচ কথা হচ্ছে। সুপার এইটের শুরুতে মনে হয় না কেউ ভেবেছিলেন, একটি মাত্র জয় নিয়েই সেমিফাইনালে উঠে যাওয়া সম্ভব। এখন যা মোটেই অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে না।
জাদরান-গুরবাজের জুটি—বিপজ্জনক
আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ের অনেকটাই নির্ভর করছে এ জুটির ওপর। সেটি দ্রুত ভাঙতে পারবে বাংলাদেশ?
সতর্ক শুরু গুরবাজ-ইব্রাহিমের
যেটি তাঁরা করে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ৩ ওভারে এসেছিল মাত্র ১টি চার। তানজিমের করা প্রথম ওভারে আজ এসেছে ৩টি সিঙ্গেল। এ ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা তাসকিন করে গেছেন টেস্ট ম্যাচের বোলিং, অফ স্টাম্পঘেঁষা লাইনে। লেংথও ভালো ছিল তাঁর। সেন্ট ভিনসেন্টের এ উইকেটে ক্যারি ও বাউন্স আছে, সেটি স্পষ্ট। তাসকিনের বলে গুরবাজ ব্যাট চালিয়ে মিসও করেছেন। প্রথম ২ ওভারে এসেছে ৫ রান।
ইব্রাহিমকে আউট করতে চাইলে…
মানে, ইব্রাহিমকে আউট করতে হলে ১০ রানের আগেই করতে হবে। নাহলে তিনি গড়বেন বড় স্কোর!
তানজিমের করা দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় ওভার। দ্বিতীয় বলে শর্ট লেংথে করে ইব্রাহিমকে ভড়কে দিতে চাইলেন তানজিম। আফগান ওপেনার পরাস্ত হয়েছেন বটে, তবে পরাস্ত বাংলাদেশ উইকেটকিপার লিটন দাসও। বাইয়ে এসেছে ৪ রান। পরের বলে দারুণ টাইমিংয়ে কাভার দিয়ে চার মেরেছেন ইব্রাহিম। পাঞ্চ করেছেন শুধু। তৃতীয় ওভারে সব মিলিয়ে এসেছে ১১ রান। কাঙ্ক্ষিত সে উইকেটের দেখা বাংলাদেশ পায়নি এখনো।
জীবন পেলেন ইব্রাহিম
দুই প্রান্তে দুই পেসার ২ ওভার করে করার পর পঞ্চম ওভারে আনা হলো স্পিন। এলেন সাকিব আল হাসান। তৃতীয় বলে তৈরি করলেন সুযোগ। শর্ট লেংথের বলে টেনে মেরেছিলেন ইব্রাহিম। তবে এক্সট্রা কাভারে একটু লাফ দিয়ে নাগালে পেলেও ক্যাচ রাখতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। সাকিব-নাজমুলের হতাশা ফুটে উঠেছে স্পষ্টভাবেই। এ সুযোগ হাতছাড়া কতটা ভোগাবে বাংলাদেশকে? ৫ ওভারে ২৩/০।
৬ ওভারে ২৭/০
৬ ওভারশেষে গুরবাজ অপরাজিত ২১ বলে ১২ রানে। ইব্রাহিমের স্কোর ১৫ বলে ১০।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে করতে এসেছিলেন মোস্তাফিজ। এ ওভারে নিজের প্রথম বাউন্ডারি পেয়েছেন গুরবাজ। দুই আফগান ওপেনারকে শান্ত রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে এ জুটি ভাঙতেও পারেনি। থিতু হলে দুজনেরই বড় স্কোর গড়ার অভ্যাস আছে। অবশ্য পাওয়ারপ্লেতে চাপ তৈরি করেছে বাংলাদেশ।
হতাশা…
পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভার। প্রথম ৫ বলে মাত্র ৩টি সিঙ্গেল। সাকিব এরপর করলেন একটু ফুললেংথে। সুযোগ দেখে দুহাতে লুফে নিলেন গুরবাজ—ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে সাইটস্ক্রিন বরাবর মেরেছেন ইনিংসের প্রথম ছক্কা। ব্যাটে রান আসার দিক দিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খরুচে ওভার ছিল এটি—৯ রানের।
পরের ওভারে আসেন তানজিম। আবার শর্ট লেংথে করেছেন। বেশিই শর্ট। এর আগে বাইয়ে চার এসেছিল। এবার লেগ সাইডের বাইরে শর্ট বলে ওয়াইড থেকে এসেছে ৫ রান। আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙতে না পারার হতাশা স্পষ্ট হয়ে উঠছে বাংলাদেশিদের মাঝে। ওই ওয়াইডের পর অবশ্য আর ১ রানের বেশি দেননি তানজিম। তবে শেষ ২ ওভারে এসেছে ২০ রান।
৮ ওভারে ৪৭/০।
৫০ রানের জুটি
নবম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছেন রিশাদ হোসেন। উইকেটের দেখা পাননি তিনিও। এ ওভারে ৫০ পেরিয়েছে আফগানিস্তান। ফলে গুরবাজ-ইব্রাহিমের জুটিতেও উঠেছে ৫০ রান। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এবারের বিশ্বকাপে ৫০ রানের মাইলফলকের দেখা পেল তাঁদের জুটি। আগের তিনবারই ১০০ ছুঁয়েছেন তাঁরা!
অবশেষে জুটি ভাঙলেন রিশাদ
প্রথম ১০ ওভারে অবিচ্ছিন্ন ছিল এ জুটি। ১১তম ওভারে গিয়ে সেটি ভাঙলেন রিশাদ হোসেন। ড্রিংকস ব্রেকের পরপরই চড়াও হওয়ার আভাস মিলেছিল। রিশাদ সুযোগ নিয়েছেন সেটির। ঝুলিয়ে দিয়েছেন, জায়গা বানিয়ে তুলে মেরেছিলেন ইব্রাহিম। লং অফ থেকে নিজের বাঁয়ে অনেকটা ছুটে বেশ ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তানজিম হাসান। ৫৯ রানে থেমেছে আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি।
চাপ
জুটির সময়ই রানরেট তেমন ছিল না। সেটি ভাঙার পর কমে এসেছে আরও। রিশাদের উইকেট পাওয়ার ওভারে এসেছিল ১ রান। তাসকিন পরেরটি করেছেন মেডেন। ১৩তম ওভারে এসে সাকিব দিয়েছেন ৩ রান। ১৩ ওভারে ৬২/১।
শেকল ভাঙার ওভার?
আগের ৩ ওভার মিলিয়ে ৪ রান। এবার রিশাদের করা ১৪তম ওভারেই এল ১৩ রান—ইনিংসে যা সর্বোচ্চ। অফ সাইডের পর সুইপ করে আরেকটি চার মেরেছেন গুরবাজ। প্রথম বলে অবশ্য ক্যাচ তুলেছিলেন আজমতউল্লাহ। ডিপ কাভার থেকে অনেকটা ছুটে এসে ডাইভ দিলেও নাগাল পাননি তানজিদ।
পরের ওভারে আবার সুযোগ দিয়েছিলেন আজমতউল্লাহ। এবার নিজের বলে বাঁদিকে লাফিয়েও নাগাল পাননি সাকিব। সাকিবের করা ১৫তম ওভারে অবশ্য বাউন্ডারি আসেনি কোনো। ১৫ ওভারে ৮০/১।
সেমিফাইনালে যেতে...
ভুলে ভরা গল্প, না হওয়া রানআউট এবং আউট
রানআউট হতে পারতেন গুরবাজ বা ওমরজাইয়ের যে কোনো একজন। অফ সাইডে খেলেছিলেন গুরবাজ। সিঙ্গেল নিতে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন ওমরজাই। গুরবাজ তা দেখেননি। দুজন হাজির একই প্রান্তে। এরপর ওমরজাই ফিরে আসতে চাইলেন, গুরবাজও রান নিতে চাইলেন। দুজন আবার এসে হাজির আরেক প্রান্তে। শেষ পর্যন্ত সিঙ্গেল হয়েছে।
ঠিক পরের বলেই কট বিহাইন্ড হয়েছেন ওমরজাই। মোস্তাফিজকে কাট করতে গিয়েছিলেন। আম্পায়র নিতিন মেনন অবশ্য আউট দেননি। তবে স্টাম্প মাইক্রোফোনে শব্দ ছিল স্পষ্ট। লিটনও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কাজে লেগেছে রিভিউ।
নেমেই অবশ্য প্রথম বলে চার মেরেছেন গুলবদিন। ১৬ ওভারে ৮৮/৪।
৪ বলে ২ উইকেট রিশাদের
গুরবাজকে অনেক্ষণ চুপচাপ রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। এবার তাঁকে আউটও করতে পারল। রিশাদকে অফ সাইডে তুলে মেরেছিলেন, ডিপ কাভারে ধরা পড়েছেন সৌম্যর হাতে। ৫৫ বলে ৪৩ রান করে থেমেছেন গুরবাজ।
এরপর রিশাদ ফিরিয়েছেন গুলবিদনকেও। আবার ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য। তবে এবারেরটি আগেরটির চেয়ে অনেক কঠিন ছিল, ফলে ক্যাচ হয়েছে আরও অনেক ভালো। ডিপ কাভার থেকে ছুটে এসে সামনে ডাইভ দিয়ে নিয়েছেন সৌম্য। ৪ বলের মধ্যে রিশাদের ২ উইকেট!
শেষ বলে অবশ্য চার মেরেছেন করিম জানাত। ১৭ ওভারে ৯৩/৪।
নবীও থামলেন
তাসকিনের সিম-আপ ডেলিভারি। শর্ট লেংথ। পুল করতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলেছেন নবী। মিড অফে অনেকটা সময় পেয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। ভুল করেননি তিনি। আফগানিস্তান ডাগআউটের ছবিগুলো বিমর্ষ।
আগের ম্যাচে তাসকিনকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ফিরে এসে ৪ ওভারে তিনি দিলেন মাত্র ১২ রান। এর মধ্যে ৬ রান এল আবার তাঁর শেষ বলে। শর্ট লেংথের জন্য অপেক্ষা করে ছিলেন রশিদ। সেটি পেয়ে ওয়াইড লং অন দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। তাসকিনের শেষটা হয়েছে হতাশায়।
১৮ ওভারে ৯৯/৫।
আফগানিস্তান ১১৫/৫, ২০ ওভার
১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ দেন ১ রান।
শেষ ওভারে রশিদ খান দুটি ছক্কা মেরেছেন তানজিম হাসানকে। দ্বিতীয় বলের পর শেষ বলে গিয়ে। মাঝে সতীর্থ করিম জানাতের দিকে ব্যাটও ছুড়ে মারতে দেখা গেছে রশিদকে। ডাবলস নিতে চেয়েছিলেন, তাতে সাড়া দেননি করিম। কেন রশিদের ক্ষোভ, সেটি হয়ত শেষ বলে বুঝালেন।
আফগানিস্তান ২০ ওভারে তুলেছে ৫ উইকেটে ১১৫ রান। শেষ ওভারেই এসেছে ১৫ রান। এরপরই আম্পায়াররা ডেকে পাঠিয়েছেন কাভার। সেন্ট ভিনসেন্টে বৃষ্টি নেমেছে আগেই।
বৃষ্টিতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে সেমিফাইনালে যাবে আফগানিস্তান।
সেমিফাইনালে যেতে...
আপডেট
সেন্ট ভিনসেন্টে বৃষ্টি থেমেছে। সরানো হচ্ছে কাভার।
স্থানীয় সময় ১০-৪৫, বাংলাদেশ সময় ৮-৪৫ মিনিটে শুরু হচ্ছে খেলা
ইতিবাচক শুরু, মনোভাব পরিষ্কার
২০ ওভারে লক্ষ্যটা বড় নয় মোটেও। তবে নেট রানরেটের হিসাবে মোটামুটি ১৩ ওভারের মধ্যে জিততে হবে বাংলাদেশকে—সেক্ষেত্রে কাজটি সহজ নয় মোটেও। কঠিন কাজে শুরুটা ইতিবাচক হয়েছে বাংলাদেশের। নাভিন-উল-হকের চতুর্থ বলে চারের পর পঞ্চম বলে মেরেছেন ছক্কা। ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে সেটি গেছে ৯১ মিটার দূরে। প্রথম ওভারে এসেছে ১৩ রান।
উঠে গেলেন গুরবাজ
চোট পেয়ে উঠে গেছেন আফগানিস্তান উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। বদলি কিপার নামানো হয়েছে।
আবার ‘ডাক’ তানজিদের
ফজলহক ফারুকির ইনসুইং। আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে লাইন একেবারে মিস করে যান তানজিদ। আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরের দেওয়া সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে রিভিউ করেছিলেন বটে, তবে কাজে আসেনি তা। নবম বলে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
নাভিনের জোড়া আঘাত
এবার নাভিনের ইনসুইং। মিস করে যান লিটন। আম্পায়ার নিতিন মেননের নটআউটের সিদ্ধান্ত রিভিউ করে বাংলাদেশ। তবে বল মিস করে যেত লেগ স্টাম্প। বাংলাদেশের মতো রিভিউ হারিয়েছে আফগানিস্তানও। লিটন না হলেও নাজমুলের উইকেট অবশ্য পেয়ে গেছে আফগানিস্তান। ১ বল আগে মিডউইকেট দিয়ে চার মেরেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর আনা হয় ফিল্ডার। আবার ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েছেন সেখানেই। ঠিক পরের বলে আরেকটি উইকেট! এবার নাভিনকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন সাকিব। ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে হয়েছেন লিডিং-এজড। হ্যাটট্রিকের সামনে নাভিন। উজ্জীবিত আফগানিস্তান। হ্যাটট্রিক বলটা কোনোমতে ঠেকিয়েছেন সৌম্য। ৩ ওভারে ২৪/৩।
এবং বৃষ্টি
৩.২ ওভারে ৩১/৩। এরপর আবার বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা। ইনিংসের শুরুতে ওভার কাটা যায়নি বলে ওভার কাটা যায়নি কোনো। তবে এবার কাটা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কার্যকর হবে ডিএলএস পদ্ধতি। ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সমীকরণ কঠিন হয়ে যাওয়ার কথা আরও।
আপডেট
বৃষ্টি থেমেছে। বাংলাদেশ সময় ৯-৪৩ মিনিটে শুরু হবে খেলা।
পারবেন লিটন?
কাভার দিয়ে মারা চারের পর আবার তুলে মেরেছিলেন লিটন। পরেরটিতে যদিও চার পাননি। নাভিনের করা পঞ্চম ওভারে এসেছে ৭ রান। ৫ ওভারশেষে ৪৩/৩। সেমিফাইনালে যেতে ৪৩ বলে বাংলাদেশের দরকার ৭৩ রান।
পাওয়ারপ্লে শেষ
৬ষ্ঠ ওভার করতে এসেছিলেন অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবী। ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৬ রান। আফগানিস্তান তুলেছিল বিনা উইকেটে ২৭ রান।
রশিদের আঘাত, উজ্জীবিত আফগানিস্তান
সপ্তম ওভারে এলেন রশিদ খান। এসেই সফল আফগান অধিনায়ক! পিচে পড়ে দ্রুতগতিতে এগিয়েছে বল। আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বোল্ড সৌম্য সরকার। ১০ বলে ১০ রান করে ফিরেছেন তিনি। ৫০ রানের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।
জীবন পেলেন হৃদয়
ছয়ে এসেছেন তাওহিদ হৃদয়। নবীর পরপর ২ বলে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে টপ-এজ হয়েছিল। প্রথমটিতে অনেকটা ছুটে গিয়ে নাগাল পেলেও রাখতে পারেননি ফজলহক। পরের বলে নূরের মিসফিল্ডে হয়েছে চার। এর পরের বলে স্লগ সুইপে আরেকটি চার পান হৃদয়, এবার নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁর। অষ্টম ওভারে এসেছে ১২ রান। সেমিফাইনালে যেতে ২৫ বলে দরকার ৫৩ রান।
হৃদয়ও আউট
হতাশায় কিছু একটায় লাথি মেরে ড্রেসিংরুমে ঢুকে যেতে দেখা গেল আফগানিস্তান কোচ জোনাথন ট্রটকে। তবে আবার উল্লাসের সুযোগ পেয়েছে আফগানিস্তান। এবার রশিদের শিকার হৃদয়। নবীর মতো রশিদকেও স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন তিনি। ৯ বলে ১৪ রান করে থামলেন হৃদয়। বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট।
ভরসা কি লিটনই?
রশিদের শেষ ২ বলে লিটনের ২ চার। এখনই হাল ছাড়ছেন না তিনি। আফগান অধিনায়কের সঙ্গে এরপর একটু চোখাচুখিও হয়ে গেছে তাঁর। পরের ওভারে আসেন বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার নূর আহমেদ। ৫টি ডট বল খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ, বাকি একটিতে এসেছে ৪ রান। ১০ ওভারে ৭৭/৫। আপাতত ১৩ বলে দরকার ৩৯ রান। তবে স্কোর টাই হওয়ার পর ছক্কা বা চার হলে কয়েকটি বল বেশি পাবে বাংলাদেশ।
কী করতে চাইলেন মাহমুদউল্লাহ?
১৩ বলে দরকার ৩৯। রশিদের এ ওভারে মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি সেমিফাইনালে যাওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। রশিদকে এরপর স্লগ করতে গিয়ে বটম-এজড হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। আম্পায়ার আউট দেননি, আফগানিস্তান রিভিউ নেয় একেবারে শেষে গিয়ে। সফল হয়েছে সেটি। ৯ বলে ৬ রান করে থেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৮০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের আশা শেষ হয়ে যায়নি, বলাই যায়!
প্রথম বলেই রিশাদ বোল্ড
এবং প্রথম বলেই আউট রিশাদ! স্লগ করতে গিয়েছিলেন। লাইন মিস করে হয়েছেন বোল্ড। আফগানিস্তানই এগিয়ে! লিটন কি এরপরও সেমিফাইনালের সমীকরণ মেলানোর সাহস দেখাতে পারবেন?
সেন্ট ভিনসেন্টে নাটক
বৃষ্টির আভাস। ডাগআউট থেকে ট্রট সঙ্কেত দিচ্ছিলেন, সময় নিতে। ১২তম ওভারে পঞ্চম বল করতে যাচ্ছিলেন নূর আহমেদ। স্লিপে পড়ে গেলেন তখন গুলবদিন নাইব। দেখে মনে হয়েছে ক্র্যাম্প। তবে সেটিকে সময় নষ্ট করার কৌশল হিসেবেই দেখছেন কমেন্টেটররা। পমি মবঙ্গোয়া তো বলেই বসলেন, ‘অস্কার নাকি এমি?’ সাইমন ডুল এটিকে বলছেন অগ্রহণযোগ্য। এমনকি অধিনায়ক রশিদও সন্তুষ্ট হতে পারেননি সতীর্থর এমন আচরণে। উঠে যাওয়ার সময় লিটনও হাসতে হাসতে কিছু একটা বলছিলেন নবীকে। ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে ২ রানে। যদিও বৃষ্টির তোপ কমে এসেছে একটু পরই।ফলে নাইবের ‘নাটক’ বৃথা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
১ ওভার কমে এসেছে। নতুন লক্ষ্য ১১৪ রান।
সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ
রশিদ খানের হ্যাটট্রিক বল। তানজিম নিলেন সিঙ্গেল। ১৩তম ওভারের প্রথম বল ছিল সেটি। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ। ম্যাচ টাই হলে পরের স্কোরিং শট বাউন্ডারি হলে সুযোগ ছিল আরও কয়েকটি বল। সেটিও পেরিয়ে গেছে। এখন সেমিফাইনালের দৌড় আফগানিস্তান আর অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশ জিতলে যাবে অস্ট্রেলিয়া। আফগানিস্তান জিতলে তারা।
বোলিংয়ে গুলবদিন নাইব
একটু আগে ‘ক্র্যাম্প’ নিয়ে উঠে গিয়েছিলেন। সেই নাইবই এবার এসেছেন বোলিংয়ে। অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশের দরকার ২২ রান। আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে যেতে দরকার বাংলাদেশের ৩ উইকেট।
নাইবের উইকেট
হ্যামস্ট্রিং? কোথায়! নাইব এসেই পেলেন উইকেট। শর্ট বল, তাতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি তানজিম। যে গুরবাজের চোট ‘আসল’, ড্রেসিংরুমের সামনে তাঁর অভিব্যক্তিতেই ধরা পড়ছে সব। ৯২/৮!
২৪ বলে দরকার ২০ রান। বাকি ৮ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া নাকি আফগানিস্তান?
লিটনের ফিফটি
নূরকে সুইপ করে চার মারলেন লিটন। ৪১ বলে পূর্ণ করলেন ফিফটি। তাঁর সর্বশেষ ফিফটি এসেছিল গত বছরের মার্চে, চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেমিফাইনাল আর আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝে দাঁড়িয়ে এখন তিনি। ১৮ বলে বাংলাদেশের দরকার ১৬ রান। ১৬তম ওভারের শেষ বলে লিটনের বিপক্ষে অবশ্য রিভিউ নিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে ইমপ্যাক্ট ও উইকেটে হয়েছে আম্পায়ার্স কল।
১২ বল। ১২ রান। সেমিফাইনালে হয় আফগানিস্তান, নাহয় অস্ট্রেলিয়া। অথচ খেলছে বাংলাদেশ! ক্রিকেট না খেলা কাউকে বুঝাতে যাওয়ার সাহস করবেন না যেন!
তাসকিন বোল্ড এবং বৃষ্টি
১০ বলে দরকার ১০ রান। লিটন সুযোগ দিয়েছিলেন নাভিনকে। তবে হাত বাড়ালেও ফিরতি ক্যাচটী নিতে পারেননি ফলো থ্রুতে থাকা আফগান পেসার। সেন্ট ভিনসেন্টে আবার নেমেছে বৃষ্টি। এর মধ্যে বোল্ড তাসকিন! নিচু হওয়া বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন। ইনসাইড-এজে বোল্ড! সেমিফাইনাল থেকে ১ উইকেট দূরে আফগানিস্তান! অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে লিটন।
এরপর বৃষ্টিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খেলা। ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে ৩ রানে! উইকেট না পড়লে এগিয়ে থাকার কথা ছিল বাংলাদেশেরই।
সেমিফাইনালে আফগানিস্তান
ল্যাংটন রুসেরের আঙুল উঠে গেছে। আফগানিস্তান খেলোয়াড়েরা ছুটছেন দিগ্বিদিক। রশিদ খানের চোখে অবিশ্বাস! মোস্তাফিজুর রিভিউ নিয়েছেন, তবে সেদিকে যেন খেয়াল নেই কারও। খেয়াল করে লাভও নেই। মোস্তাফিজ এলবিডব্লু। সেমিফাইনালে আফগানিস্তান! রহমানউল্লাহ গুরবাজ কাঁদছেন। চোটের কারণে উইকেটকিপিং থেকে অনেক আগেই উঠে গিয়েছিলেন তিনি। জোনাথন ট্রট ব্যস্ত নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে!
আফগানিস্তান, আফগানিস্তান! ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে গেছে তারা। বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তাদের হারে সেমিফাইনালের আগেই ছিটকে গেল অস্ট্রেলিয়াও। আগামী ২৭ তারিখ ভোরে প্রথম সেমিফাইনালে ত্রিনিদাদে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে!
অথচ এ ম্যাচে দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের। ১২.১ ওভারে তাড়া করতে হতো ১১৫ রান। তানজিম শুরুতে ফিরলেও লিটনের ইতিবাচক ব্যাটিং সেটি একেবারে নাগালের বাইরে যেতে দেয়নি। কিন্তু নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসানের পর মাহমুদউল্লাহর অদ্ভুত ব্যাটিং ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। দেখে মনে হয়েছে, সেমিফাইনালের সমীকরণটা কারও মাথায় আছে, কারও মাথায় নেই। বাংলাদেশকে নিশ্চিতভাবেই এ সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপ তাড়া করে ফিরবে অনেকদিন।
তবে দিনটা আফগানিস্তানের। ১১৫ রানের সম্বল নিয়েও হাল ছাড়েনি তারা। লড়াই করে গেছে শেষ পর্যন্ত। সেটির পুরস্কারও পেয়েছে তারা।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুলের কথা
বোলিং ভালো হয়েছে। ব্যাটিংয়ে বাজে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মাঝের ওভারগুলোতে বিশেষ করে। প্রথম ৩ উইকেটে জোরেসোরে খেলতে চেয়েছি। না হলে স্বাভাবিক খেলতে চেয়েছি। হয়নি।নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ অধিনায়ক
রশিদ খান
একমাত্র ব্রায়ান লারা আমাদের সেমিফাইনালে দেখেছিলাম। আমরা তাঁকে সঠিক প্রমাণ করেছি।রশিদ খান, আফগানিস্তান অধিনায়ক