বাংলাদেশের বিপক্ষে অতিরিক্ত টার্নিং উইকেট ভারতকে বিপদে ফেলতে পারে, বললেন মাঞ্জরেকার

সাকিব–মিরাজ কি ভারত সিরিজেও এমন সাফল্যের হাসি হাসবেনপ্রথম আলো

একসময় স্পিননির্ভর দল হিসেবে বেশি পরিচিতি ছিল বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে টার্নিং উইকেট বানিয়ে বড় বড় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে সেই প্রমাণও একাধিকবার দিয়েছে তারা। তবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে দৃশ্যপট। স্পিনের পাশাপাশি ফাস্ট বোলিংয়েও এখন নিজেদের শক্তি দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করার পথেও বড় ভূমিকা ছিল পেসারদের। নাহিদ রানা–হাসান মাহমুদ–তাসকিন আহমেদরা এখন তাই ভরসার নাম।

ভারতের বিপক্ষেও বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং ইউনিট কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে অনুমান অনেকের। তবে ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের ভাবনাটা ভিন্ন। পেস–আক্রমণ শক্তিশালী হওয়ার পরও বাংলাদেশের স্পিন–আক্রমণ নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা তাঁর।

আরও পড়ুন

বলেছেন, স্পিননির্ভর উইকেট বানালে সেটা ভারতকে ভোগাতে পারে। কারণ, বাংলাদেশের কার্যকর স্পিনার যেমন আছে, তেমনি স্পিন খেলতে পারার মতো ব্যাটিং গভীরতাও আছে। স্পিন সামলানোয় বাংলাদেশ যে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ভালো, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন মাঞ্জরেকার।

ক্রিকেট পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফোর সঙ্গে বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচ নিয়ে আলোচনায় মাঞ্জরেকার টার্নিং উইকেটের সুবিধা–অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন। এ সময় কেন স্পিননির্ভর উইকেট ভারতের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, ‘ভারতের বাংলাদেশের কাছ থেকে বাঁচতে হবে, এ জন্য না যে তারা পাকিস্তানকে হারিয়েছে। যদি র‍্যাঙ্ক টার্নার (অতিরিক্ত টার্নিং উইকেট) উইকেট বানানো হয়, যা আমাদের এখানে রণনীতিও হয়ে থাকে; তবে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের তিনজন ভালো স্পিনার আছে। একজন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং দুজন বাঁহাতি স্পিনার। যাদের মধ্যে একজন আবার সাকিব।’

ধারাভাষ্যকারদের গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করেন মাঞ্জরেকার
এএফপি

শুধু স্পিন বোলিং করার ক্ষেত্রেই নয়, স্পিন খেলার দিক থেকেও বাংলাদেশ সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে উল্লেখ করে মাঞ্জরেকার আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসের মতো ব্যাটসম্যান আছে, যারা ৭–৮ নম্বরে ব্যাটিং করে। সাকিবও আছে। তাদের স্পিন ভালো খেলার মতো ব্যাটসম্যান আছে। বিষয়টা এখানে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বা দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে আলাদা। এই দলগুলোর ব্যাটিং লাইনআপে এমন খেলোয়াড় নেই, যারা র‍্যাঙ্ক টার্নারে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে।’

আরও পড়ুন

উইকেটে অতিরিক্ত টার্ন থাকলে সেটা বাংলাদেশের কাজ সহজ করবে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন মাঞ্জরেকার, ‘টার্নিং উইকেট দুই ধরনের হয়। একটা হচ্ছে যেখানে অনেক বেশি টার্ন হয় এবং অন্যটা হচ্ছে ভারতীয় টার্নিং উইকেট যেমন হয় তেমন। ম্যাচের তিন–চার দিন পর অবশ্য তেমনটা হয়েই যায়। তত দিন ম্যাচ গড়ালে কিছুটা টার্ন নেওয়া শুরু করে। আমার ধারণা হচ্ছে, যদি র‍্যাঙ্ক টার্নার দেওয়া হয় তবে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সহজ হবে, সেটা ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য, জেতার জন্য নয়। যদি তেমন উইকেট না দেয়, তবে ভারতকে মুশকিলে ফেলা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে।’

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই টেস্টের সিরিজ শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। প্রথম ম্যাচের ভেন্যু চেন্নাই, ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে কানপুরে।