টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হলেন আফ্রিদিও

শহীদ আফ্রিদিফাইল ছবি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পাকিস্তান অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি।

পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো এই অলরাউন্ডারের আগে শুভেচ্ছদূত হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছিল দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ক্রিস গেইল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ বলে ৬ ছক্কা মারা যুবরাজ সিং ও অলিম্পিকে আটটি সোনাজয়ী উসাইন বোল্টের নাম।

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন আফ্রিদি। সেবার ব্যাট হাতে ১৯৭ স্ট্রাইক রেটে আফ্রিদি করেছিলেন ৯১ রান, আর বল হাতে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট।

শুভেচ্ছদূত হিসেবে থাকবেন যুবরাজ সিংও
ফাইল ছবি

যদিও সেবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি পাকিস্তান, ফাইনালে তারা হারে ভারতের কাছে। তবে ২০০৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। সেই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল দুই ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড় হন আফ্রিদি।

শুভেচ্ছাদূত হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আফ্রিদি, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন একটি প্রতিযোগিতা, যা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। উদ্বোধনী আসরে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা, আমার ক্যারিয়ারের প্রিয় কিছু মুহূর্ত এই টুর্নামেন্টে খেলে এসেছে।’

আফ্রিদি এরপর যোগ করেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিধি ও শক্তি বেড়েছে। এবারের আসরের অংশ হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত, যেখানে আমরা আগের চেয়ে আরও বেশি দল, আরও বেশি ম্যাচ এবং আরও নাটকীয় লড়াই দেখতে পাব।’

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই দেখা হয়ে যাবে ভারত-পাকিস্তানের। সেই ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত আফ্রিদি, ‘৯ জুনের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আমি অনেক রোমাঞ্চিত।’

২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ দুই ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন আফ্রিদি
এএফপি

আইসিসির বিপণন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফুরলং বলেছেন, ‘শহীদ ৬টি আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন, এর মধ্যে দুটিতে তিনি অধিনায়ক ছিলেন। ২০০৯ সালে ট্রফি জেতানোর বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছেন, অল-স্টার শুভেচ্ছাদূত দলে তাঁর চেয়ে কে ভালো হতো!’