বাংলাদেশের স্পিনে চ্যালেঞ্জ দেখছেন উইলিয়ামসন

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ছয় মাসের বেশি সময় পর মাঠে ফিরছেন কেইন উইলিয়ামসনছবি: এএফপি

ভারতের মাঠগুলোর মধ্যে চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেট স্পিন–বান্ধব হিসেবে পরিচিত। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত হওয়া একমাত্র ম্যাচটিতেও যার নজির দেখা গেছে। ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া দুই শর কমে অলআউট হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিনে দিশাহারা হয়ে। অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেটের ৬টিই নিয়েছিলেন এই তিন স্পিনার।

আগামীকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে স্পিন বোলিংকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে নিউজিল্যান্ড। কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের মতে, ম্যাচের ফলে বড় ভূমিকা রাখবে স্পিন–আক্রমণ।

বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার আগে এরই মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলেছে। বাংলাদেশের দুটি ম্যাচই ছিল ধর্মশালায়, যার একটিতে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে, আরেকটিতে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ম্যাচ ছিল আহমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, অন্যটি হায়দরাবাদে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। দুটিতেই জিতেছে কিউইরা। দুই দলের উভয় ম্যাচে স্পিনারদের তুলনায় পেসারদের ভূমিকা ছিল বেশি।

মেহেদী হাসান এক ম্যাচ খেলে ৪ উইকেট নিয়েছেন
ছবি: এএফপি

দুই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের পাওয়া ১৯ উইকেটের ১১টিই নিয়েছেন তিন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান। আর নিউজিল্যান্ডের নেওয়া ১৮ উইকেটের ১১টিও নিয়েছেন তিন স্পিনার—মিচেল স্যান্টনার, রাচিন রবীন্দ্র ও গ্লেন ফিলিপস।

আরও পড়ুন

দুই দলের স্পিনারদের এই ছন্দের সঙ্গে বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড ম্যাচে মিলে যাচ্ছে কন্ডিশনের আনুকূল্যও। বাংলাদেশের স্পিনাররা নিউজিল্যান্ডের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন কি না—এ প্রশ্নে তাই দুই দলের সম্ভাবনার কথাই বলেছেন কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন, ‘আমরা জানি আগামীকাল বড় চ্যালেঞ্জ আছে। আর এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলই চ্যালেঞ্জিং, যেকোনো দল অন্যদের হারিয়ে দিতে পারে। আর এটাই আসলে টুর্নামেন্টকে রোমাঞ্চকর করে তোলে। আর কন্ডিশন তো সব সময়ই বদলায়। এখানে দেখলাম স্পিন করে। খেলা চলতে চলতে পিচের আচরণও বদলাতে থাকে। আমি মনে করি, দুই দলেরই ভালো স্পিনার আছে। কোনো সন্দেহ নেই যে স্পিন বড় ভূমিকা রাখবে।’

বাংলাদেশ ম্যাচের আগে প্রস্তুতিতে কেইন উলিয়ামসন
ছবি: এএফপি

এবারের বিশ্বকাপে পিচের মান কেমন দেখছেন, এমন প্রশ্নেও ইতিবাচক মত নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের, ‘আমরা যে দুটি পিচে খেলেছি, দুটিই ভালো ছিল। একটা ছিল নতুন (আহমেদাবাদে), আরেকটা ছিল এক ম্যাচ ব্যবহার হওয়া (হায়দরাবাদে)। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপজুড়ে ভারতে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উইকেট দেখতে পাব আমরা। বৈশ্বিক ইভেন্টে এটাই স্বাভাবিক।’

আরও পড়ুন