শ্রীলঙ্কার লিগে বাবর কেন অধিনায়ক নন
পাকিস্তানের তিন সংস্করণের অধিনায়ক তিনি। দলও তাঁর নেতৃত্বে খেলছে ভালোই। শুধু পাকিস্তান দল নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টিতেও অধিনায়কত্বের ব্যাটন থাকে বাবর আজমের হাতে। তবে ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে এবারের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল)। কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলা বাবর অধিনায়কত্ব করছেন না।
এলপিএলের বাবরের দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিরোশান ডিকভেলা। ৩০ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান এর আগে মাত্র ৪টি টি–টোয়েন্টিতে অধীনায়কত্ব করেছেন। সেটাও শ্রীলঙ্কার স্থানীয় টুর্নামেন্ট মেজর ক্লাব টি–টোয়েন্টিতে। অনেকের প্রশ্ন, বাবরের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়া একজন দলে থাকতে ডিকভেলার মতো অনভিজ্ঞ একজনের হাতে কলম্বোর নেতৃত্ব কেন?
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে আলোচিত সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে কলম্বোর প্রধান কোচ সাইমন হেলমটের কথায়। উইজডেন ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কলম্বোর কোচ জানিয়েছেন, বাবরের চাওয়াতেই ডিকভেলাকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে, ‘ডিকভেলা অধিনায়ক হোক, এটা বাবরই চেয়েছিল। এরপর আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ হয়।’
২০১৭ সালের পর এই প্রথম পিএসএলের বাইরে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন বাবর। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও সিপিএলে গায়ানা অ্যামজন ওয়ারিওর্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। এবার তাঁর সামনে সুযোগ ছিল এলপিএল কিংবা কানাডার গ্লোবাল টি–টোয়েন্টিতে খেলার। তবে বাবার পরামর্শে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এলপিএলে খেলার সিদ্ধান্ত নেন বাবর।
সেই সিদ্ধান্ত যে সঠিক, সেটা প্রমাণের পথেই আছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। এখন পর্যন্ত এলপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাবর। ৫ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে ৪৭ গড় ও ১৪৩ স্ট্রাইক রেটে ২৩৫ রান করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়ক না হলেও বাবর ‘দলনেতা’র মতোই ভূমিকা রাখছেন বলে জানান কলম্বো কোচ, ‘বাবর অন্যদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। দলের সবার দেখাশোনা করে, সেটা মানসিকভাবে হোক, টেকনিক্যালি হোক বা উদ্দীপিত করার মাধ্যমে হোক। সে দলের সম্পদ।’
অধিনায়ক ডিকভেলাও মাঠে বাবরের সঙ্গ উপভোগ করছেন বলে জানান, ‘আমি আমার দায়িত্ব উপভোগ করছি, বিশেষ করে বাবরের সঙ্গে। সে আমাদের সহায়তা করে এবং আমরা সিদ্ধান্তগুলো একসঙ্গেই নেই।’