জাতীয় ক্রিকেট লিগ
২৭৩ করেও ইনিংস ব্যবধানে জয় রংপুরের, জিতেছে ঢাকা মহানগরও
২৬তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে সবচেয়ে দেরিতে শুরুতে হওয়া ম্যাচটিই শেষ হলো সবার আগে। বগুড়ায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে মাঠে গড়ানো রংপুর-চট্টগ্রাম ম্যাচটি শেষ হয়েছে আজ চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে। চট্টগ্রামকে ইনিংস ও ৮১ রানে হারিয়েছে রংপুর। প্রথম রাউন্ডে জিতেছে ঢাকা মহানগরও, বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা। ড্র হয়েছে অন্য দুটি ম্যাচ।
রংপুরের নায়ক বোলাররা
বাজে আবহাওয়ার কারণে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে রংপুর ৯ উইকেটে ২৭৩ রান তুলেই ইনিংস ঘোষণা করেছিল। বগুড়ার ম্যাচটিতে এরপর দাপট দেখিয়েছেন রংপুরের বোলাররা। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅন করা চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ৮৯ রানে।
চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে আজ সকালেই। প্রথম সেশনেই দলটি ৮ উইকেট হারিয়ে করে ৫৭ রান। দলটির লেজের দুই ব্যাটসম্যান ইফরান হোসেন (১৫) ও ইয়াসিন আরাফাত (২৬) এরপর শুধু অবধারিত হারটাকেই শুধু একটু দেরি করিয়েছেন।
রংপুরের ৬ বোলার ভাগাভাগি করেছেন উইকেটগুলো। দলটির অধিনায়ক মিডিয়াম পেসার আবদুল্লাহ আল মামুন ৮ ওভারে ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন দুই ইনিংসেই ২টি করে উইকেট নেওয়া আরেক পেসার চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচসেরা হলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর: ২৭৩/৯ ডি.
চট্টগ্রাম: ১০৩ ও ৩২.১ ওভারে ৮৯ (ইয়াসিন ২৬; আল মামুন ৩/১০, রিজওয়ান ২/১৯, মুকিদুল ২/২১, রিশাদ ২/২৩)।
ফল: রংপুর ইনিংস ও ৮১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান।
মহানগরের জয়, ম্যাচসেরা সেই আশরাফুল
সিলেট একাডেমি মাঠে ঢাকা মহানগরকে ৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় বরিশাল। লক্ষ্য ছুঁতে ২২ ওভার ও দেড় ঘণ্টার মতো হাতে ছিল মহানগরের। ১৫.৪ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় মার্শাল আইয়ুবের দল।
ফলোঅন করা বরিশাল দিনটা শুরু করেছিল বিনা উইকেটে ৩২ রান নিয়ে। দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫১ রানে অলআউট। তাসামুল হক করেছেন সর্বোচ্চ ৬২ রান। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া তরুণ অফ স্পিনার আশরাফুল ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রথম শ্রেণিতে অভিষেকেই ম্যাচসেরা হয়েছেন আশরাফুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা মহানগর: ৪০৮/৫ ডি. ও ১৫.৪ ওভারে ৬৩/২
বরিশাল: ২১৯ ও ৮৭.১ ওভারে ২৫১ (তাসামুল ৬২, মঈন ৪২, ফজলে ৩৫; শহীদুল ৩/৪৭, আশরাফুল ৩/৫৯, আমিনুল ২/৪৪)।
ফল: ঢাকা মহানগর ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আশরাফুল ইসলাম
রেকর্ডের পেছনে ছোটেনি খুলনা
৫১৬ রানের লক্ষ্য। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শেষ দিনে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৯৬ রান করতে হতো খুলনাকে। রাজশাহীর বিপক্ষে সেই পথে ছুটে ঝুঁকি নেয়নি দলটি। নিরাপদে খেলেই বরং হার এড়ানোর লক্ষ্যে সফল হয়েছে দলটি। খুলনা দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট ৩১১ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।
৮০ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওপেনার সৌম্য সরকার আজ ফিরেছেন ৯ রান যোগ করেই। ১৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে তাঁর সঙ্গী অমিত মজুমদারও ফিরেছেন ৮০-এর ঘরে। ২৫৭ বলে ৮৭ করেছেন অমিত, সৌম্য ৮৯ করেছেন ১১৬ বলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী: ৪২৬ ও ২৮৩/ ডি.
খুলনা: ১৯৪ ও ১২৩ ওভারে ৩১১/৭ (সৌম্য ৮৯, অমিত ৮৭, মিঠুন ৩০; সানজামুল ৩/৬৬, মোহর ২/৬৫)।
ফল: ড্র
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাব্বির হোসেন
তিন ইনিংসই শেষ হয়নি সিলেট-ঢাকা ম্যাচে
খুলনায় বিনা উইকেটে ৫২ রান নিয়ে দিন শুরু করা সিলেট দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৫৭ রান করার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল। বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দিনে শুরু হওয়া ম্যাচে ঢাকা বিভাগ ব্যাট করেছে এক ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট বিভাগ: ১৪৬ ও ১০৬.২ ওভারে ২৫৭/৮ (পিনাক ৬২, অমিত ৬১, আসাদউল্লাহ ৫০*, তৌফিক ৩৪; নাজমুল অপু ৪/৮৮, শাকিল ২/৩৭, তাইবুর ২/৩৯)।
ঢাকা বিভাগ: ২২৪
ফল: ড্র
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মাহিদুল ইসলাম