তামিমের কাছে অধিনায়কত্ব মানে ‘বহু ঝামেলা’
লম্বা বিরতির পর বিপিএল দিয়ে খেলায় ফিরেছেন তামিম ইকবাল। ফিরেছেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক হিসেবে। আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে বরিশালের শুরুটাও হয়েছে দুর্দান্ত। তবে অধিনায়কত্ব করাটা তামিম খুব একটা উপভোগ করছেন না বলে জানিয়েছেন আজ মিরপুরে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক হিসেবে খেলায় ফেরার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তামিম বলেন, ‘অধিনায়কত্ব নিয়ে আমি আগে যা বলেছিলাম, এখনো তা-ই আছে। আমার কাছে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের থেকে। আমি চেষ্টা করব সে দায়িত্বটা পালন করতে। হ্যাঁ, একটু ভিন্ন তো অবশ্যই মনে হয়েছে টস করতে গিয়ে।’ এরপর বলেছেন সে কথাটা, যেটা আগেও শোনা গেছে তাঁর মুখ থেকে, ‘আমি এই জিনিসগুলো খুব বেশি উপভোগ করি না। আমি উপভোগ করি, ওয়ার্ম আপ শেষ হবে, আরামসে বসে থাকব। অধিনায়ক থাকলে কাগজে সই করো, টস করো। টসে কী হবে, জিতব, হারব…বহু ঝামেলা।’
দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরার চ্যালেঞ্জটাও সহজ ছিল না তামিমের জন্য। তিনি বলেছেন, ‘এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং…তিন-সাড়ে তিন মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলা। মাঝখানে আমি বলতে গেলে দুই-আড়াই মাস কোনো অনুশীলনই করিনি। শেষ দুই সপ্তাহ যা একটু করা।’ তবে তামিম খুশি, কারণ ‘অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে যে শুরুটা (বিপিএলে) প্রয়োজন ছিল, সেটা হয়েছে।’
প্রত্যাবর্তর ম্যাচে বরিশালের অধিনায়ক ও ওপেনার তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসে বাউন্ডারিগুলো এসেছে শুরুতেই। প্রায় সাড়ে তিন মাস পর মাঠে ফেরা তামিমের স্নায়ুর চাপ অনেকটা কমে গেল তাতেই। ‘দ্রুত বাউন্ডারি পাওয়ায় আমার জন্য কাজটা সহজ হয়ে গেছে। তবে অনুশীলনেও আমি ভালো ব্যাটিং করেছি। পিকেএসপিতে ম্যাচ পরিস্থিতিতে অনুশীলন করাটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তারপরও চাপ তো থাকেই। তবে যখনই আপনি শুরুতে বাউন্ডারি পাবেন, সেটা তখন একটু কমে আসে’—বলেছেন তামিম।
অবশ্য রংপুরের ১৩৪ রানের ছোট্ট লক্ষ্যের জবাবে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করতে না পারার আক্ষেপ আছে তামিমের, ‘আমার ইনিংসটা যদি দেখেন, যে অবস্থায় ছিলাম তখন যদি বলে বলেও রান করতাম, তাহলেও হয়তো আমরা দুই ওভার আগে খেলাটা শেষ করতে পারতাম। মুশফিক আর মিরাজ যখন ব্যাটিং করছিল, ওই মুহূর্তেও ওই শটের দরকার ছিল না। এগুলোর কারণেই খেলা লম্বা হয়েছে, তবে খেলাটা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল।’