সাজিদ খান ও নোমান আলীর টানা ৮৯.৫ ওভার বোলিং
সাজিদ খান ও নোমান আলী ছাড়াও পাকিস্তান দলে তাহলে অন্য কেউ বোলিং করতে পারেন? ভাবছেন, এ আবার কেমন প্রশ্ন!
আমির জামাল, জাহিদ মেহমুদরা তাহলে কী, তারাও তো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে ছিলেন এবং খেলছেন রাওয়ালপিন্ডিতে আজ শুরু তৃতীয় টেস্টেও।
এরপরও প্রশ্নটা করার কারণ আছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজে টানা ৮৯.৫ ওভার বোলিং করেছেন সাজিদ ও নোমান।
কীভাবে? মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসের শেষ ১৪.২ ওভার বোলিং করেছেন তাঁরা দুজন, এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে টানা ৩৩.৩ ওভার বোলিং করেছেন সাজিদ ও নোমান। সেই ইনিংসে পাকিস্তানের আর কোনো বোলার বোলিংই করেননি। এরপর রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে আজ এই জুটি টানা বোলিং করেছেন ৪২ ওভার।
রাওয়ালপিন্ডিতে আজ ম্যাচের শুরুই করেছেন সাজিদ ও নোমান। দুই স্পিনার ম্যাচের শুরুর দুই ওভার করেছেন, এমন ঘটনা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ। আর পাকিস্তানের মাটিতে এমন ঘটনা প্রথম।
কেন শান মাসুদ এই দুই স্পিনারের ওপরই ভরসা রাখছেন, তা অনুমান করা কঠিন নয়। দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে জয় এনে দিয়েছিলেন এই দুই স্পিনারই। নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ২০ উইকেটের সব কটি, সাজিদ (৯) ও নোমান (১১)। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এক ম্যাচে ২ বোলার মিলে প্রতিপক্ষের সব কটি উইকেট নেওয়ার সপ্তম ঘটনা এটি, একবিংশ শতাব্দীতে প্রথম।
আজও ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দিয়েছেন সাজিদ ও নোমান। ১১০ রানেই ফেলে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ৬ উইকেট। বাজবল যুগে আগে ব্যাটিং করে এবারই প্রথমবার ১০০ রানের নিচে ৫ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
এরপর যদিও রানের ১০৭ রানের জুটি গড়েন জেমস স্মিথ ও গাস অ্যাটকিনসন। এই জুটি ভাঙতেই সাজিদ ও নোমানকে সরিয়ে জাহিদ মেহমুদ ও সালমান আগাকে বোলিংয়ে এনেছিলেন শান মাসুদ। তবে শেষ পর্যন্ত নোমানই অ্যাটকিনসকে আউট করেন। এখনো পেসার আমির জামালকে এক ওভারও বোলিং করাননি পাকিস্তান অধিনায়ক।