নাজমুল মনে করেন, সমাধান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। গম্ভীর মুখটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, এইমাত্র শেষ হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টের ফল হজম করতে কষ্টই হচ্ছে নাজমুলের।
দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেনি দল। শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ৫১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৮৫ ওভার টিকেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। ৩১৮ রানে অলআউট হয়ে ১৯২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজে চার ইনিংস ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০০ পার হয়েছে। সিলেট টেস্টে ১৮৮ এবং ১৮২ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ৩২৮ রানের হারে সেই বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারতও দিতে হয়েছে। চট্টগ্রামেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি।
শ্রীলঙ্কার ৫৩১ রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তুলতে পেরেছে মাত্র ১৭৮। বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫৭/৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর জয়ের জন্য ৫১১ রানের ‘অসম্ভব’ লক্ষ্যের পেছনে ছুটে যেভাবে ব্যাট করার কথা ছিল, বাংলাদেশের সেটা হয়নি। এর কারণ কী? পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল নাজমুলকে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক উত্তরে বলেছেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ে তাকালে দেখবেন, সবাই সেট হয়েছে ঠিকই কিন্তু বড় রান করতে পারেনি। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। উইকেটে সেট হয়ে গেলে বড় রান করতে হবে। আমাদের বেশি করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে।’
নাজমুলের কথাটা মিথ্যে না। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তিনি ছাড়া স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবাই অন্তত ৩০ বলের বেশি করে খেলেছেন। কিন্তু ফিফটি মাত্র একটি—মুমিনুল হক (৫০)। এর বাইরে বিশোর্ধ্ব স্কোর চারটি।
মোট ৯জন ব্যাটসম্যান নিজেদের রানসংখ্যাকে দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পেরেছেন। অর্থাৎ, স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের সবাই ভালো শুরু পেয়েছিলেন, কিন্তু সেই শুরুটা কাজে লাগিয়ে কেউ-ই স্কোরটা বড় করতে পারেননি। দুই টেস্টের এই সিরিজে সেঞ্চুরিও পাননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান।