সর্বশেষ কোন বড় ম্যাচে পারফর্ম করেছেন বাবর
আইসিসির ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর তিনি। পাকিস্তানের সেরা তো বটেই। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছে দলের প্রত্যাশাটা বেশি। তবে সেই প্রত্যাশার মেটাতে গিয়ে কি না কে জানে, বাবর আজম বিশ্বকাপে এখনো নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। উল্টো দলকে বিপদে ফেলে বারবার উইকেট দিয়ে এসেছেন।
তাতে বাবরের সমালোচনাও কম হচ্ছে না। এই যেমন পাকিস্তান অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম বলেছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর বাবর আর কোনো বড় ম্যাচে পারফর্ম করেননি।
গতকাল পাকিস্তান হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৬৮ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তান দারুণ ব্যাটিং করছিল। ২৬.১ ওভারে ২ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছিল বাবরের দল। ক্রিজে তখন ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর। ওই সময় বাবর পঞ্চাশোর্ধ একটা ইনিংস খেলতে পারলে পাকিস্তান রান তাড়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে যেত।
কিন্তু দরকারি মুহূর্তে বাবর ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরে যান মাত্র ১৮ রান করে। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান ভারতের বিপক্ষেও ৫০ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়েছিলেন। এরপরই তাঁর দলের ব্যাটিংধসের শুরু হয়, ৩৬ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে বড় ব্যবধানে ম্যাচও হারে পাকিস্তান। এর আগে পাকিস্তান যে দুটি ম্যাচে জয় পায়, সেখানেও রান ছিল না বাবরের ব্যাটে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে করেন ৫, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০।
বিশ্বকাপের আগে নিয়মিত পারফর্ম করা বাবর কেন বিশ্বকাপে ব্যর্থ হচ্ছেন? এটা কি চাপের কারণে? পাকিস্তানের স্থানীয় এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ইমাদ ওয়াসিম বলেছেন, ‘বিশ্বমঞ্চে চাপ থাকবে, তবে এটাই সেই জায়গা যেখানে আপনি আপনার মূল্য বোঝাতে পারবেন। আমার মনে হয়, সর্বশেষ কোনো বড় ম্যাচে বাবর পারফর্ম করেছে ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, সেই ম্যাচে ও সেঞ্চুরি করেছিল। ওই ম্যাচের পর এখন পর্যন্ত পাকিস্তান কোনো বড় ম্যাচ জেতেনি। এটা সমালোচনা নয়, এটাই সত্য।’
গত সেপ্টেম্বরে হওয়া এশিয়া কাপেও অনেকটাই ব্যর্থ ছিলেন বাবর। নেপালের বিপক্ষে ১৫১ রানের ইনিংসের পর একটা ম্যাচেও তিনি ৩০ রানের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। অথচ এই টুর্নামেন্টের আগের ১৫ ইনিংসের মধ্যে ১০টিতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস ছিল তাঁর।
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভালো খেলা বাবর যদি বিশ্বকাপে সেরাটা দিতে না পারেন তাহলে প্রশ্ন উঠবে বলেই মনে করেন ইমাদ, ‘আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে, ম্যাচ জেতানোর দায়িত্বটা বাবরেরই। বাবর যদি ওর কাজটা করতে না পারে, তাহলে প্রশ্ন উঠবেই। দলের চাহিদার সঙ্গে মানিয়েই ওকে খেলতে হবে। বাবরের মধ্যে বোলারদের দাপট দেখানোর সামর্থ্য আছে, বিশ্বকাপই সেটা দেখানোর সময়।’