আইপিএল ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে দরকার ছিল ১২ রান। ম্যাচটা আবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জন্মশহর দিল্লিতেই। বিরাট কোহলির জন্য এর চেয়ে ভালো মঞ্চ আর কী হতে পারত!
কোহলি অনন্য কীর্তিটা গড়ে ফেলেন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই। পরে তুলে নেন এবারের আইপিএলের ষষ্ঠ ফিফটি। তাতে ছাড়িয়ে যান ডেভন কনওয়ে ও সতীর্থ ফাফ ডু প্লেসিকে (দুজনেরই ফিফটি পাঁচটি করে)।
ওপেনিংয়ে নেমে কোহলির সঙ্গে অধিনায়ক ডু প্লেসির দারুণ জুটি আর চারে নামা মাহিপাল লোমোরের ঝোড়ো ফিফটিতে ১৮১ রানের বড় সংগ্রহই পেয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
তবে ফিলিপ সল্ট যেন আক্ষরিক অর্থেই লবণ হয়ে কোহলির কীর্তিতে ‘নুনের ছিটা’ দিলেন! ইংলিশ উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানের ৪৫ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে বেঙ্গালুরুর ১৮১ রানও হয়ে উঠল মামুলি। ৭ উইকেট আর ২০ বল বাকি রেখেই লক্ষ্য টপকে গেল দিল্লি।
আসরের শুরু থেকে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে পড়ে থাকা দিল্লি দুর্দান্ত এ জয়ে প্রথমবার এক ধাপ ওপরে উঠে এল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নেমে গেল দশে। আর শীর্ষ চারে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া করা বেঙ্গালুরু রয়ে গেল পাঁচেই।
গত মার্চে ইংল্যান্ড দলের হয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন সল্ট। ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজের সব ম্যাচ খেললেও কোনো ফিফটির দেখা পাননি। দিল্লির নিয়মিত অধিনায়ক ও উইকেটকিপার ঋষভ পন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘ সময়ে জন্য ছিটকে না গেলে হয়তো আইপিএল অভিষেকের জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হতো সল্টকে। দিল্লির প্রথম পাঁচ ম্যাচে সুযোগও পাননি। তবে টানা হারতে থাকায় দলে পরিবর্তন আনে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাতেই সুযোগ মেলে সল্টের।
সল্টকে একাদশে রেখে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিতল দিল্লি। ভালোভাবেই টিকে রইল প্লে অফের দৌড়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু : ২০ ওভারে ১৮১/৪
(কোহলি ৫৫, লোমোর ৫৪*, ডু প্লেসি ৪৫; মার্শ ২/২১, মুখেশ ১/৩০, খলিল ১/৪৫)
দিল্লি ক্যাপিটালস : ১৬.৪ ওভারে ১৮৭/৩
(সল্ট ৮৭, রুশো ৩৫*, মার্শ ২৬; হ্যাজলউড ১/২৯, হার্শাল ১/৩২, কর্ণ ১/৩৩)
ফল : দিল্লি ক্যাপিটালস ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ফিলিপ সল্ট।