ম্যাককালামের জায়গায় ইংল্যান্ডের কোচ হতে পারতেন পন্টিং

ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন রিকি পন্টিংছবি : টুইটার

এজবাস্টনে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টেও ধারাভাষ্যকক্ষে ছিলেন রিকি পন্টিং। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম যথারীতি ড্রেসিংরুমের সামনের বারান্দায়, কখনো সোফার ওপর পা তুলে নির্ভার হয়ে খেলা দেখেছেন। পন্টিং যা বলছেন, তাতে ম্যাককালামের জায়গায় থাকতে পারতেন তিনি নিজে! ম্যাককালামের আগে পন্টিংকেই ইংল্যান্ডের টেস্ট কোচের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক।

ইংল্যান্ডের পুরুষ ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে আসার পর রব কি টেস্ট কোচ হিসেবে নিয়োগ দেন ম্যাককালামকে। তখনো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগের কোচ থাকা ম্যাককালামের এর আগে কখনো প্রথম শ্রেণির কোনো দলকেই কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে ম্যাককালাম কোচ ও বেন স্টোকস অধিনায়ক হিসেবে আসার পর নতুন এক ধরনের ক্রিকেট শুরু করে ইংল্যান্ড। পরিচিতি পায় ‘বাজবল’।

আরও পড়ুন

তবে কি প্রথম কলটা নাকি পন্টিংকেই দিয়েছিলেন। গেরিলা ক্রিকেটকে এমনই বলেছেন ৪৮ বছর বয়সী পন্টিং, ‘ব্রেন্ডন চাকরিটা নেওয়ার আগে আমাকে বলা হয়েছিল। আপনারাই হয়তো এটি প্রথম জানলেন, তবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই রবার্ট কির কাছ থেকে আমি কয়েকটি কল পেয়েছিলাম।’

বেন স্টোকস, বেন ডাকেটের সঙ্গে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম
রয়টার্স

প্রস্তাব পেয়েও কেন দায়িত্ব নেননি, সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন এখন আইপিএলের দল দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকা পন্টিং, ‘জীবনের যে পর্যায়ে আছি, তাতে পূর্ণ মেয়াদে আন্তর্জাতিক কোচিংয়ের চাকরি নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত নই। যতটা ভ্রমণ করেছি, এখন বাচ্চাদের থেকে আগের মতো অতটা দূরে থাকতে চাই না। এমনকি ব্রেন্ডনের সঙ্গেও কথা বলে দেখেছি, তার পরিবার আজ মাত্র এসে পৌঁছাচ্ছে। যখন আপনার স্কুলে যাওয়ার মতো সন্তান থাকবে, তাদের নিয়ে এদিক-ওদিক যাওয়াটা আমি চাইনি।’

আরও পড়ুন

এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২ উইকেটে হেরেছে ইংল্যান্ড। ম্যাককালামের অধীনে ১৪ টেস্টে এটি তাদের মাত্র তৃতীয় পরাজয়। তবে নতুন ঘরানার ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এমন হারের পর সমালোচনাও হচ্ছে তাদের। পন্টিং নিজেও ঠিক বাজবলের পক্ষে কথা বলেননি

আইসিসির রিভিউ পডকাস্টে তিনি বলেছেন, ‘আমি তাদের বলতে শুনেছি, তারা ম্যাচের ফলাফল নিয়ে ভাবে না। তবে এক সেকেন্ডের জন্যও আমি এটি বিশ্বাস করি না। এটি অ্যাশেজ সিরিজ, বেন স্টোকসের ক্যারিয়ারে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটি। আমি (তাদের কথা) মানতে পারছি না। মানে, তারা যদি ফলাফল নিয়ে না-ই ভাবে, তাহলে তো হারার পর হতাশ হওয়ার কথা নয়। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, সে বলেছে, ম্যাচ শেষে সবাই বিধ্বস্ত। এ কথার অর্থ আমার কাছে এমন, তারা হার নিয়ে চিন্তিত এবং সেটিই হওয়া উচিত।’