ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেনি পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা, বলছে পিসিবি
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নৃশংসতায় প্রতিবাদমুখর গোটা দুনিয়া। চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। খেলার দুনিয়াও এর বাইরে নয়। অনেক খেলোয়াড়ই গাজার নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কখনোবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করছেন। কেউ কেউ মাঠেই প্রতিবাদ করছেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও। কিন্তু ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি এই সংহতিতে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা কিছুটা বিপাকেই পড়েছেন।
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলা শুরুর পরপরই ভারত রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলের প্রতি নিজেদের সংহতি জানিয়েছে। কূটনৈতিক দিক দিয়েও ইসরায়েল ও ভারত এখন দুই ঘনিষ্ঠ দেশ। গাজার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সাধারণ ভারতীয়রা ইসরায়েলের পক্ষে খুবই সক্রিয়। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানানোয় ভারতীয়রা তাদের ধুয়ে দিচ্ছেন। অনেকেই তাঁদের বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কারেরও দাবি তুলেছেন। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির কাছে তাঁদের প্রশ্ন, ক্রিকেটের এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় তারা কেন পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আচরণবিধি ভাঙছেন কি না, সে প্রশ্নও তুলছেন ভারতীয়রা।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অবশ্য এ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। পিসিবি বলছে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সংহতি প্রকাশের সঙ্গে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যাপারটি ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পছন্দ–অপছন্দের ব্যাপার।
পিসিবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ নিয়ে বলছে, ‘ক্রিকেটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই পোস্ট করতে পারে। এটা আচরণবিধির লঙ্ঘন নয়।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত তিন হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নারী–শিশুর সংখ্যা অনেক। ইসরায়েলের নৃশংসতায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
এদিকে জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। দ্রুত যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানিয়েছে তারা।