শূন্য থেকে শতক!
মোহাম্মদ নাঈম এই প্রাপ্তির আনন্দে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে আনঅফিশিয়াল ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ০ রানে আউট হন। কিন্তু কাল দ্বিতীয় ম্যাচে তুলে নেন শতক—১১৬ বলে ১০৩ রানের ইনিংস।
জাতীয় দলে ফেরার পথ খোলা রাখতে এই সিরিজে রান করার গুরুত্ব নাঈম জানেন। তাই শতক তুলে নেওয়ার আনন্দে ‘হেলিকপ্টার নাচ’ দেখিয়েছেন এই ওপেনার। তিন ম্যাচের এই সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দলও সমতায় ফিরেছে ১-১ ব্যবধানে। আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।
টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের অধিনায়ক জশুয়া দা সিলভা। নাঈমের শতক ও সাব্বির রহমানের অর্ধশতকে ৬ উইকেটে ২৭৭ রান তোলে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তাড়া করতে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলেও ৪৪ রানে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। ৯ উইকেটে ২৩৩ রানে থেমেছে স্বাগতিকদের ইনিংস। ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার মুকিদুল ইসলাম। ৪৪ রানে ২ উইকেট আরেক পেসার রেজাউর রহমানের।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮০ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সেখান থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভালোভাবেই। নাঈমের শতকের সুঘ্রাণ তো আছেই এর সঙ্গে সাব্বির রহমানের কথাও বলতে হয়। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এশিয়া কাপের দলে ডাক পেয়েছেন সাব্বির। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেন প্রায় তিন বছর পর। স্বাভাবিকভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে তাঁর ওপর চোখ রাখা হয়েছিল।
প্রথম ম্যাচে ৬ বলে ৩ রান করে হতাশ করলেও কাল ৫৮ বলে ৬২ রানে সাব্বির বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগের সেই স্ট্রোকের দ্যুতি এখনো হারিয়ে ফেলেননি। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান সাব্বির। জাকের আলীর ১২ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ইনিংসেরও প্রশংসা করতে হয়। তবে ‘এ’ দলের ইনিংসে অন্তত ২০ রান পেরোনো ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সাব্বিরের স্ট্রাইকরেটই বেশি (১০৬.৮৯)।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য সরকার। বাজে শট খেলে ৬ রানে বোল্ড হন। দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন নাঈম। ২৩ বলে ১৯ রানে আউট হন সাইফ। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন এসে একটু মন্থর ব্যাটিং করেন। ৪৮ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলার পথে নাঈমের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৯৩ রান যোগ করেন মিঠুন। শাহাদত হোসেন ও সাব্বির ৬৯ রানের জুটি গড়েন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল। ২০.২ ওভারে ৯৪ রানে বিচ্ছিন্ন হয় তাঁদের ওপেনিং জুটি। ৩৮ রানে ত্যাগনারায়ন চন্দরপলকে তুলে রেজাউর রহমান। আরেক ওপেনার জশুয়া দা সিলভা ৬৮ রানের ইনিংস খেললেও পরের ব্যাটসম্যানরা ওভারপ্রতি রান তোলার চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৬৮ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের। রেজাউর, মুকিদুল ও সৌম্যরা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আটকে রাখেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের। এই ৫ ওভারে ২৪ রান তুলতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল।