১৫ মিনিট স্লো ঘড়ি, বাস মিস ও এরপর ম্যাচসেরা—গল্পটা জর্জ লিন্ডার
২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, কলম্বো। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন স্পিন অলরাউন্ডার জর্জ লিন্ডা। ব্যাটিংয়ে করেন ২৪ বলে ১৮। হারের পর জাতীয় দলের হয়ে পরবর্তী ম্যাচ খেলতে লিন্ডাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন বছর, তিন মাস দুই দিন। চাইলে সঙ্গে আরও ১৫ মিনিট যোগ করতে পারেন।
সেই ১৫ মিনিটের ব্যাখ্যাটা বেশ মজার। ডারবানে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ১১ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ সেই বিরতি কাটিয়ে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেন লিন্ডা। সেই পথেই ৩৩ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনারের দেরি হয়েছে ১৫ মিনিট। নির্ধারিত সময়ে সতীর্থদের সঙ্গে হোটেল থেকে বের হয়ে টিম বাসে উঠতে পারেননি। পরে পুলিশের সাহায্যে ধরেছেন বাস। এই পথেই ১৫ মিনিট দেরি হয়েছে লিন্ডার।
তবে মাঠে নামার পর তিন বছরের বেশি সময়ের অপেক্ষা লিন্ডা যেন মিটিয়েছেন সুদে-আসলে। আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮৩ রানের পুঁজিতে সাতে নেমে ২৪ বলে ৪৮ রান করেন। এরপর বল হাতে ২১ রানে নেন ৪ উইকেট। প্রোটিয়াদের ১১ রানের জয়ে লিন্ডা স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে সময়মতো টিম বাস ধরতে না পারা নিয়ে লিন্ডা যা বললেন, তা–ও বেশ মজার।
লিন্ডার মুখেই শুনুন সেই ঘটনা, ‘যে কারণেই হোক আমার ফোন সঠিক সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল। ভেবেছিলাম (বিকেল) চারটার সময় আমি নিচে নেমে বাসে উঠব। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে দেখলাম বাস চলে যাচ্ছে। তখনকার অনুভূতিটা মোটেও ভালো নয়। সৌভাগ্যবশত সেখানে পুলিশের গাড়িবহর ছিল, তারা আমাকে বাসে পৌঁছে দিয়েছে।’
সতীর্থদের তো ব্যাপারটি টের পাওয়ার কথা যে লিন্ডা বাসে নেই! স্বাভাবিকভাবেই এ প্রশ্ন ওঠে। লিন্ডার মজার উত্তর, ‘আসলে কেউই টের পায়নি যে আমি বাসে নেই, কী দারুণ ব্যাপার! এটা বিব্রতকর, তবে আমি মনে হয় পরের ম্যাচেও দেরি করতে পারি!’
১২তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর যখন ৫ উইকেটে ১০৪, লিন্ডা তখন ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ইনিংসটি সাজিয়ে শেষ বলে আউট হন। বোলিংয়ে উসমান খান, শাহিন আফ্রিদি, ইরফান খান ও আব্বাস আফ্রিদির উইকেট নেন লিন্ডা। ২১ রানে ৪ উইকেট—টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।