বোল্টের ফেরার ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে উড়ে গেল নিউজিল্যান্ড
কার্ডিফে প্রথম ওয়ানডের ঠিক বিপরীত চিত্রটাই যেন ফুটে উঠল সাউদাম্পটনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে।
অবসর ভেঙে ওয়ানডে ক্রিকেটে ফেরার ম্যাচে ফিফটি করেছিলেন বেন স্টোকস। কিন্তু ডেভন কনওয়ে আর ড্যারিল মিচেলের সেঞ্চুরি স্টোকসের ফেরাটা সুখকর হতে দেয়নি। পরশু ২৯১ রান করেও নিউজিল্যান্ডের কাছে স্রেফ উড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ৪ ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিল ১–০ ব্যবধানে।
আজ ছিল ট্রেন্ট বোল্টের প্রত্যাবর্তনের দিন। বোল্টের ফেরাটা অবশ্য অবসর ভেঙে নয়। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগগুলোতে খেলার সুযোগ পেতে ইচ্ছা করেই ওয়ানডে থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে জাতীয় দলের জার্সিতে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আবারও ফিরলেন; সময়ের হিসেবে ঠিক ১ বছর পর। বল হাতে ফেরার ম্যাচটা রাঙিয়েছেন বোল্টও। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটকে আউট করার পর নিয়েছেন স্টোকসের উইকেটও।
বোল্টের তোপেই এক পর্যায়ে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। তখন কজন ভেবেছিলেন এমন অবস্থার পরও হেসেখেলে জিতবে ইংলিশরা? তবে বাস্তবে হয়েছে সেটাই। একপেশে জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিকরা।
সাউদাম্পটনের রোজ বোলে বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয়েছে ৩ ঘণ্টা দেরিতে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য তাই কমে হয়েছে ৩৪ ওভার। এমন ম্যাচে দ্রুত ৫ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তোলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তাঁর ক্যারিয়ারসেরা অপরাজিত ৯৫ রানের সুবাদে ইংল্যান্ড তোলে ৭ উইকেটে ২২৬ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারালেও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মিচেল এ ম্যাচে ফিফটি করে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ২৬তম ওভারে তিনি আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ। গুটিয়ে গেছে ১৪৭ রানে। রিচ টোপলি–ডেভিড উইলি–মঈন আলীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কিউইরা শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে ৩৬ রানে; শেষ ৪ উইকেট মাত্র ৮ রানে।
বুধবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ লন্ডনের ওভালে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
[বৃষ্টির 🌧️ কারণে ৩৪ ওভারের ম্যাচ]
ইংল্যান্ড : ৩৪ ওভারে ২২৬/৭
(লিভিংস্টোন ৯৫*, কারেন ৪২, মঈন ৩৩; বোল্ট ৩/৩৭, সাউদি ২/৬৫, স্যান্টনার ১/৩৮)
নিউজিল্যান্ড : ২৬.৫ ওভারে ১৪৭ অলআউট
(মিচেল ৫৭, ইয়াং ৩৩, ল্যাথাম ১৯; টপলি ৩/২৭, উইলি ৩/৩৪, মঈন ২/৩০)
ফল : ইংল্যান্ড ৭৯ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : লিয়াম লিভিংস্টোন
সিরিজ : ৪ ম্যাচের সিরিজে ১–১ সমতা
◃───────────▹◃───────────▹