মিরপুরে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংয়ে ইতিবাচক হতে গিয়ে বেশি শট খেলাই ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে, এমন মনে করেন ভারতের পেসার উমেশ যাদব। এটিকে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের ‘স্টাইল’ বলেও উল্লেখ করেছেন মাত্র ২৫ রানে ৪ উইকেট নেওয়া এই পেসার।
মিরপুরে স্পিন-সহায়ক বলে পরিচিত উইকেটেও ভারত বাদ দিয়েছে আগের ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ কুলদীপ যাদবকে। এই বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারকে ভারত দলে না দেখে অবাক হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সও, ‘আমরা হয়তো ঢাকার উইকেট তেমন ভালোভাবে পড়তে পারিনি, তবে কুলদীপকেও তো চট্টগ্রামে সেভাবে পড়তে পারিনি! সে না খেলাতে আসলে বিস্মিতই হয়েছি। আমার মনে হয়, পেসারদের জন্য এ উইকেট বেশ ফ্ল্যাটই।’
এমন উইকেটে ভারত তিন পেসার কেন খেলাচ্ছে, দিন শেষে সেটি ‘ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত’ বলে এড়িয়ে গেলেন উমেশ। তবে উইকেট নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘ফিফটি ফিফটি। ঠিক পেসারদের জন্যও নয়, আবার স্পিনারদের জন্যও নয়। কোনো কোনো বলে কিছু হচ্ছে, আবার হচ্ছে না। আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। ব্যাক অব আ লেংথ থেকে কোনো বল উঠছে, আবার ফুল লেংথে করলে সুইং বা কিছুই হচ্ছে না। গতিও কম।’
এমন উইকেটে বাংলাদেশকে ২২৭ রানে বেঁধে ফেলাটা ভারতীয় বোলারদের সাফল্যই বলতে হয়। তবে সাকিব আল হাসান-লিটন দাসরাও নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ভারতের বোলারদের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন।
উমেশও বলছিলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভালো শুরু পেয়েছে, তবে এমন উইকেটে ধৈর্য ধরতে হবে। আমার মনে হয়, তারা বেশি শট খেলে ফেলেছে। তারা হয়তো ইতিবাচক হওয়ার চেষ্টা করেছে। কারণ, এটিই তাদের স্টাইল। আমরা শুধু ঠিক জায়গায় বল করে গেছি।’
তবে মুমিনুল হকের ব্যাটিং আবার ভারতীয়দের কাজ কিছুটা কঠিনও করে তুলেছিল। থিতু হওয়ার পর ওভারপ্রতি ৩ রান তুলছিলেন মুমিনুলরা। কিন্তু সেখান থেকে ১৪ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যাওয়াটা প্রতিপক্ষের জন্য দারুণ স্বস্তির।
বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের এমন ভুলে একজন বোলার হিসেবে তাঁদের ‘সহজ শিকার’ মনে হয় কি না, এমন প্রশ্নে উমেশ যদিও প্রথমে বললেন, ‘কিছুই সহজ নয়’, পরে অবশ্য তিনিই বলেছেন, ‘এটা ধৈর্যের খেলা। আপনি এসেই সেঞ্চুরি মেরে দিতে পারবেন না। যাদের ধৈর্য বেশি, তারাই ফল পাবে।’
দিন শেষে সেই ধৈর্যের খেলাতেই তো পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ