কেন ভারতের বিপক্ষে ৫/০ স্কোর নিয়ে ব্যাটিং শুরু করবে ইংল্যান্ড

পিচের সুরক্ষিত অঞ্চলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ডানে) দৌড়ানোর পর ৫ রান পেনাল্টি করা হয়েছে ভারতকেএএফপি

প্রথম ইনিংসে ভারত যত রানেই থামুক, রাজকোটে ব্যাটিং শুরুর আগেই ইংল্যান্ডের স্কোর থাকবে বিনা উইকেটে ৫ রান। আজ টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালের সেশনে পিচের ‘সুরক্ষিত অঞ্চলে’ দৌড়ানোর পর আম্পায়ার ভারতকে পেনাল্টি করায় এমন হবে।

আজ পিচের সুরক্ষিত অঞ্চলে দৌড়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অবশ্য পেনাল্টি পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘দোষ’টা যে অশ্বিনের একার, তা নয়। দায় আছে রবীন্দ্র জাদেজারও। গতকালই পিচের সংরক্ষিত অঞ্চলে দৌড়ে প্রথম ও চূড়ান্ত সতর্কতা শুনেছিলেন শতক পাওয়া জাদেজা। আজ অশ্বিন একই কাজ করার পর ভারতকে ৫ রান পেনাল্টি করা হয়েছে। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, যে দলকে পেনাল্টি করা হয়, সেটি তাদের কাছ থেকে কেটে নেওয়ার বদলে প্রতিপক্ষের খাতায় যোগ হয়।

আরও পড়ুন

ক্রিকেটের আইনে ৪১.১১ ধারা অনুযায়ী পিচের ‘সুরক্ষিত অঞ্চলের’ সংজ্ঞা এমন—‘দুই প্রান্তের পপিং ক্রিজের সমান্তরালে ও প্রতিটি থেকে ৫ ফুট বা ১.৫২ মিটার দূরে কল্পিত রেখা এবং দুই প্রান্তের মিডল স্টাম্প থেকে ১ ফুট বা ৩০.৪৮ সেন্টিমিটার দূরে সমান্তরাল কল্পিত রেখা দ্বারা আবদ্ধ একটি আয়তক্ষেত্র।’

আরও পড়ুন

ভারতের ইনিংসের ১০২তম ওভারে ইংল্যান্ডকে ৫ রান পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। কাভারে খেলে রান নিতে গিয়েছিলেন অশ্বিন, তবে তাঁর সঙ্গী ধ্রুব জুরেল তাঁকে ফিরিয়ে দেন। উইলসনের সিদ্ধান্তে নিজের হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় অশ্বিনকে, আলাদা করে কথাও বলেন।

গতকালই পিচের সুরক্ষিত অঞ্চলে দৌড়ানোর কারণে সতর্ক করা হয়েছিল রবীন্দ্র জাদেজাকে
এএফপি

আইনের ৪১.১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ব্যাটসম্যান পিচের ওই সুরক্ষিত অঞ্চলে দৌড়ালে তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হবে। যদি আম্পায়ার মনে করেন, সেখানে থাকার কোনো ন্যায্য কারণ ওই ব্যাটারের নেই, তাহলে তিনি ওই অঞ্চলের ক্ষতি করছেন বলে ধরে নেওয়া হবে। এমন ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথমবার ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করা হবে। বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার ক্রিজের দুই ব্যাটসম্যানকেই এ তথ্য জানাবেন। যে সতর্কতা বহাল থাকবে পুরো ইনিংসেই। পরবর্তী একই ঘটনার ক্ষেত্রে বল ডেড হওয়ার পর ৫ রান পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেবেন। নো বল বা ওয়াইড ছাড়া সব রানও বাতিল করে সেই ডেলিভারিকে ডেডও ঘোষণা করবেন আম্পায়ার।

আরও পড়ুন

পিচের সুরক্ষিত অঞ্চলে দৌড়ে শাস্তি পাওয়ার ধরন বোলার বা ফিল্ডারের ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন হলেও সবার জন্যই প্রযোজ্য। ফিল্ডারের ক্ষেত্রেও একবারই চূড়ান্ত সতর্কতা দেওয়া হয়, এর পর থেকে করা হয় পেনাল্টি। আর কোনো বোলার যদি সুরক্ষিত অঞ্চলে যান, তাহলে তাঁকে দুবার সতর্ক করার নিয়ম। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বারের সতর্কতাকে চূড়ান্ত বলে বিবেচনা করা হয়। তৃতীয়বার সেই বোলার সেই কাজ করলে তাঁকে ওই বলের পর ওই ইনিংসে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।

রাজকোটে আজকের ঘটনার সময় ভারতের রান ছিল ৭ উইকেটে ৩৫৮ রান। এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৭ উইকেটে ৩৮৮ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে তারা, অশ্বিনের সঙ্গে জুরেলের জুটি অবিচ্ছিন্ন।