মাঝেমধ্যে বিশ্রামের দরকার হয়—বাবরের বাদ পড়া নিয়ে শান মাসুদ

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাবর আজমইনস্টাগ্রাম

শান মাসুদের আগে পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন বাবর আজম। সেই সময়ে ব্যাটসম্যান হিসেবে বাবর তো সেরা ছিলেনই, রেকর্ড, সামর্থ্য বিবেচনায় নিলে এখনো তিনি টেস্টে দলের সবচেয়ে বড় ভরসা হতে পারেন।

তবে ফর্ম হারিয়ে সেই বাবর বাদ পড়েছেন টেস্ট দল থেকে। অধিনায়ক শান মাসুদ বাবরের বাদ পড়াকে কীভাবে দেখছেন। বিবিসি রেডিওকে এ নিয়ে কথা বলেছেন শান মাসুদ।

পাকিস্তানের এই টেস্ট অধিনায়কের মনে করছেন, মাঝেমধ্যে এমন বিশ্রাম ক্রিকেটারদেরই কাজে আসতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, ও দুনিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ওর ভবিষ্যৎ নেই, এটা আমি বলার কেউ নই। টেস্টে অন্যতম সেরা হওয়ার জন্য সব রকম সামর্থ্য বাবরের আছে। র‌্যাঙ্কিংয়ে ওসব সব সময় সেখানে বা কাছাকাছিই থাকে। মাঝেমধ্যে মানুষের বিশ্রামের দরকার হয়।’

আরও পড়ুন

২০২৩ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টেস্টে ২০.৭০ গড়ে রান করেছেন ৩৫২। এমন ফর্মের কারণেই তিনি বাদ পড়েন। শান মাসুদ প্রত্যাশা করছেন, বাবর আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন, ‘আমার মনে হয় এই বিশ্রামে ওর উপকারই হবে, আরও শক্তিশালী খেলোয়াড় হিসেবে ফিরবে। মাঝেমধ্যে কোনো কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে খানিকটা সময়টা বিশ্রাম নিলে ক্ষতি নেই। ও অনেক ক্রিকেট খেলেছে, অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ও সব সময়ই পাকিস্তানের মূল ব্যাটসম্যানদের একজন থাকবে।’

শান মাসুদ
পিসিবি

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হারার পর পাকিস্তান ক্রিকেটে অনেক কিছু পরিবর্তন করা হয়। নতুন নির্বাচকেরা এসে দলকে নতুন করে সাজান। বাবর আজমের মতো তারকা ব্যাটসম্যানকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। পুরোপুরি স্পিনিং উইকেটে খেলার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তাঁরা। এমন ঝুঁকি নেওয়ার সাহসেই জয়ের পথে ফেরে পাকিস্তান, জেতে সিরিজ।

আরও পড়ুন

এর কৃতিত্বটা শান মাসুদ দিয়েছেন সবাইকে, ‘পাকিস্তানের মানুষ দ্রুতই যেকোনো ব্যক্তিকে কৃতিত্ব দিয়ে দেয়। একজনকে নায়ক বানায়। আমার মনে হয়, এটা সব সময়ই সমষ্টিগত একটা কাজ। আমি বরং এর কৃতিত্ব সবাইকে দিতে চাই, এটা সবার সিদ্ধান্ত ছিল। প্রথম সাক্ষাতের সময় যখন একসঙ্গে বসেছিলাম, আমাদের সবার ভাবনা একই রকম ছিল। আমরা বলেছি, আমাদের ২০ উইকেট নিতে হবে, আমরা কীভাবে ২০ উইকেট নিতে পারি?’

নোমান আলী ও সাজিদ খান—এই দুই স্পিনার মিলে শেষে দুই টেস্টে নেন ৩৯ উইকেট
এএফপি

পাকিস্তান কী কৌশল নিয়েছিল, সেটা তো পুরো ক্রিকেট–বিশ্বই দেখেছে। শান মাসুদ আবারও বললেন তা, ‘তখন আমাদের ব্যবহৃত উইকেটে খেলার ভাবনা এসেছে। তিন স্পিনার খেলার ভাবনা এসেছে, ভেবেছি এটা আমাদের কাজে দেবে। এখন পর্যন্ত আমি তিনটি ভিন্ন টিমের সঙ্গে কাজ করেছি। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম সিরিজে একটা গ্রুপ ছিল, বাংলাদেশ সিরিজে ভিন্ন লোক ছিল, এরপর নতুন লোকজন এসেছে, যারা নেতৃত্ব ও নির্বাচন নিয়ে কাজ করেছে। সবার সঙ্গে আমার একইভাবে কাজ করেছি। দিন শেষে এটা পাকিস্তান ক্রিকেটের বিষয়, আমরা খুব ভাগ্যবান যে সব প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।’

আরও পড়ুন