বেয়ারস্টো–ঝড়কে জয় করে সমতায় নিউজিল্যান্ড
ট্রেন্ট ব্রিজে কাল সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের সুযোগ ছিল ইংল্যান্ডের। সে লক্ষ্যে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহকে একেবারে খারাপ বলা যায় না। কিন্তু কিউইরা রান তাড়া করতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখে যেভাবে জিতেছে, তাতে সহজ জয় বলতেই হয়। ৬ উইকেটের এই জয়ে ২–২ ব্যবধানে সিরিজ ড্রও করেছে টিম সাউদির দল।
রানতাড়ায় নেমে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে যায় পাওয়ারপ্লেতে তোলা ৭৩ রানে। ৬ বলে ১৬ রান তোলা ওপেনার ফিন অ্যালেন দ্বিতীয় ওভারে মার্ক উডের বলে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ২৭ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন ড্যারিল মিচেল ও টিম সেইফার্ট। এর মধ্যে ৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৭৩। পরের ওভারেই রানআউট হন ৭ বলে ১৪ রান করা মিচেল।
আরেক ওপেনার সেইফার্ট ৩২ বলে ৪৮ রান করে নবম ওভারে উইকেট দেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার রেহান আহমেদকে। নিউজিল্যান্ড এখান থেকে ম্যাচটা জিতেছে দুটি জুটিতে ভর করে। চতুর্থ উইকেটে মার্ক চাপম্যান ও গ্লেন ফিলিপসের ৩৫ বলে ৫৮ এবং চাপম্যান–রচিন রবীন্দ্রের ২০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৮ রানের জুটিতে সহজ জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। ২৫ বলে ৪২ রান করেন ফিলিপস। চাপম্যান অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ৪০ রান নিয়ে।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে ৬৩ রান তুলে ফেলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও উইল জ্যাকস। ১৫ বলে ১৬ রান করা উইল জ্যাকসকে সপ্তম ওভারে তুলে নেন কিউই স্পিনার ইশ সোধি। বেয়ারস্টো অন্য প্রান্তে খেলেছেন ৪১ বলে ৭৩ রানের দারুণ এক ইনিংস। ৬ ছক্কা ও ৫ চারে সাজানো বেয়ারস্টোর ইনিংস শেষ হয় ১২তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বলে আউট হয়ে।
বেয়ারস্টোর আউটসহ ৩৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। এর মধ্য ৩টি উইকেট কিউইদের বাঁহাতি স্পিনার স্যান্টনারের। শেষ ৫ ওভারে ৩৮ রান তুলতে বাকি ৫ উইকেট হারানোয় ফিনিশিংও ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন স্যান্টনার। শুক্রবার থেকে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেবে ইংল্যান্ড–নিউজিল্যান্ড।