চট্টগ্রামকে হারাতে শেষ ওভারে বরিশালের দরকার ২৫ রান। স্ট্রাইকে ২৭ রানে অপরাজিত সালমান হোসেন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অলরাউন্ডারের স্বীকৃতিটি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস। এমন রেকর্ড যাঁর সঙ্গী ছিল, সেই সালমানই নায়ক হলেন আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রামের পেসার ইফরান হোসেনের করা ওভারে ২৭ রান তুলে শেষ বলে দলকে নাটকীয় জয় এনে দিলেন সালমান।
বরিশালকে টানা দ্বিতীয় জয়ে এনে দিয়ে সালমান শেষ বিকেলে ম্লান করে দিলেন তামিম ইকবালের ৫৪ বলে খেলা ৯১ রানের ঝলমলে ইনিংসকে। তামিমের ইনিংসটা ৭ উইকেটে ১৮২ রান তোলে চট্টগ্রাম। রান তাড়ায় ইফতিখার হোসেন (৩৯ বলে ৫৬) ও আবদুল মজিদ (১৯ বলে ১৯) উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৫ ওভারে ৭২ রান তুলে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই শেষ ওভারে তাণ্ডব চালিয়ে বরিশালকে জয় এনে দিলেন সালমান।
সালমান ব্যাটিংয়ে নামেন ১১তম ওভারে বরিশাল ৭৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে মঈন খান যখন ফিরলেন বরিশালের স্কোর ১৪৬/৫। যার অর্থ শেষ ১১ বলে ৩৭ রান দরকার বরিশালের। নতুন ব্যাটসম্যান মঈনুল ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন সালমানকে। ১৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত সালমান ওভারের শেষ চার বলে এক ছক্কায় তুললেন ১১ রান।
শেষ বলে ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রাখা ব্যাটসম্যান ইফরানের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে কোনো রান নিতে পারেননি। ইফরান পরের বলটি করলেন অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে। ডিপ পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা মেরেই কড়া শাস্তি দিলেন সালমান। একটু লাফিয়ে ওঠার পরের বলটিতে ডিপ মিড উইকেটে দিয়ে ছক্কা বানানোর পর চতুর্থ বলে চার মারেন সালমান। পরের বলে আবারও ছয়, এবার মিড উইকেট দিয়ে। নো বল হওয়ায় বাড়তি একটি রান ও বলও পেয়ে যায় বরিশাল। বাড়তি সেই বলে কোনো রান অবশ্য আসেনি। তাতে শেষ বলে ২ রান দরকার পড়ে সালমানদের। সেই বলে গ্লাইড করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেই জয়ের উৎসবে মাতে সালমান।
২৮ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত সালমান অনুমিতভাবেই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
জিশানের সিলেটের প্রথম জয়
আউটার স্টেডিয়ামে বিকেলের আরেক ম্যাচে খুলনা করেছিল ৭ উইকেটে ১৪৪ রান। রানটা ৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয় পায় সিলেট। সেঞ্চুরি করে টুর্নামেন্ট শুরু করা জিশান আলম আজ ৬ ছক্কায় ৪৮ বলে করেছেন ৭৩ রান।