২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রাওয়ালপিন্ডির শিলাবৃষ্টিতে বাড়ল বাবরের অপেক্ষা

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিটুইটার

ম্যাচটি পাকিস্তান জিতলেই এউইন মরগান ও আসগর আফগানকে (৪২) ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা অধিনায়ক হয়ে যেতেন বাবর আজম। পাকিস্তান অধিনায়ক অবশ্য অপেক্ষা করছিলেন দুই ম্যাচ ধরেই। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ৪ রানে জিতে বাড়িয়েছিল তাঁর অপেক্ষা, এবার সেটি বাড়াল রাওয়ালপিন্ডির শিলাবৃষ্টি।

আগে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ১৮.৫ ওভার পর নামা বৃষ্টিতে খেলা শুরু হতে পারেনি আর। ৫ উইকেটে ১৬৪ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড, ৪২ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলা মার্ক চাপম্যান ছিলেন অপরাজিত।

স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছুক্ষণ পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ। ফলে আগামী ২৪ এপ্রিল একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচে নির্ধারিত হবে সিরিজ, যেটিতে পাকিস্তান এখন এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে।

নিউজিল্যান্ডের প্রথম ৩ উইকেটই নেন ইমাদ ওয়াসিম
পিসিবি

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ছিল দারুণ ইতিবাচক। শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারে তিন চার, প্রথম ২ ওভারে ওঠে ২২ রান। বিপত্তি বাঁধে স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম আক্রমণে আসার পর। পরপর ৩ ওভারে টম ল্যাথাম, উইল ইয়াং ও ড্যারিল মিচেল এ বাঁহাতি স্পিনারের কবলে পড়েন। অধিনায়ক ল্যাথাম স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন, ইয়াং হন বোল্ড, মিচেল স্টাম্পড।

আরও পড়ুন

এমনিতে সর্বশেষ পিএসএলে রাওয়ালপিন্ডির এ ভেন্যু ছিল রান-প্রসবা, প্রথম ইনিংসে গড়ে উঠেছিল ২০৯ রান করে। তবে সে সময় নিউজিল্যান্ডের বেশ নাগালের বাইরেই মনে হচ্ছিল তেমন কোনো স্কোর।

অবশ্য ইমাদের তোপের মাঝেও পেসারদের কাছ থেকে রান আসে, ৬ ওভারে নিউজিল্যান্ড তোলে ৫০ রান—এ সিরিজে পাওয়ারপ্লেতে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর। নিয়মিত বিরতিতে ৩ উইকেট হারালেও একপ্রান্তে টিকে থাকা চ্যাড বোজ ও মার্ক চাপম্যান এগিয়ে নেন নিউজিল্যান্ডকে। পাওয়ারপ্লের পরও বাউন্ডারি আসতে থাকে নিয়মিত।

১২তম ওভারে শাদাবকে স্লগ সুইপে মারা ছক্কায় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন বোজ, সেটিও মাত্র ৩৩ বলেই। তাঁকে দারুণ এক ফিরতি ক্যাচে থামান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৩৮ বলে ৫৪ রানে ফেরেন বোজ, চাপম্যানের সঙ্গে তাঁর জুটিতেও ওঠে ৫৪ রান।

দারুণ সিরিজ কাটানো চাপম্যান অবশ্য দ্রুতই থামেননি। ফাহিম আশরাফ, হারিস রউফের পর জামান খানের ওপর চড়াও হন। জামানের করা ১৭তম ওভারে মারেন টানা তিনটি চার, এর মধ্যে দ্বিতীয় চারটি দিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ফিফটিও পান তিনি। ফিফটির পর গতি আরও বাড়ে চাপম্যানের, পঞ্চম উইকেটে রচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটিতে তাঁর একার অবদানই ছিল ৪২ রান।

১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে হারিস রউফকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন রবীন্দ্র, এরপরই পিন্ডির আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি। দ্রুতই সেটি পরিণত হয় শিলাবৃষ্টিতে। এরপর মাঠকে আর খেলার উপযুক্ত মনে করেননি ম্যাচ অফিশিয়ালরা।

আরও পড়ুন