বিদায়ী টেস্ট তাহলে জয়েই রাঙাতে যাচ্ছেন টিম সাউদি!
হ্যামিল্টনে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড যেভাবে একচেটিয়া দাপট দেখাল, তাতে এ ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করাই যায়।
ম্যাচের মাত্র দুদিন শেষ হয়েছে। তাতেই দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৪০ রানের লিড নিয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। দলের সবচেয়ে বড় তারকা কেইন উইলিয়ামসনসহ আরও ৭ উইকেট হাতে থাকায় কিউইরা ইংলিশদের যে রেকর্ড লক্ষ্য তাড়া করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে যাচ্ছে, তা একরকম নিশ্চিত।
আম্পায়াররা দ্বিতীয় দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণার আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলেছে কিউইরা। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৮তম ফিফটি পূরণ করে ইংলিশদের চোখ রাঙানি দিচ্ছেন উইলিয়ামসন, ২ রানে অপরাজিত রাচিন রবীন্দ্র।
এ দিন ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ের মাঝেও ইংল্যান্ডের একমাত্র প্রাপ্তি জো রুটের নতুন কীর্তি। এক পঞ্জিকাবর্ষে দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টে ১৫০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই তারকা।
৯ উইকেটে ৩১৫ রান নিয়ে গতকাল প্রথম দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনে আজ উইলিয়াম ও’রুর্ককে নিয়ে মিচেল স্যান্টনার আরও ৩২ রান যোগ করলে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৪৭।
এরপর বল হাতেও ছড়ি ঘুরিয়েছেন স্যান্টনার এবং ও’রুর্ক। দুজনের সঙ্গে উইকেট শিকারের মিছিলে যোগ দেন ম্যাট হেনরি। স্যান্টনার ও ও’রুর্ক নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। হেনরির শিকার ৪টি। তাতে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৪৩ রানে। নিউজিল্যান্ডের চার বোলারের মধ্যে উইকেটশূন্য ছিলেন শুধু বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা সাউদি।
দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানোর পর ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ডকে আগের দুই টেস্টে উদ্ধার করেছিলেন ওলি পোপ ও হ্যারি ব্রুক। কিন্তু দুজন আজ তেমন অবদান রাখতে পারেননি। পোপ ২৪ রান করলেও ব্রুক মেরেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ‘গোল্ডেন ডাক’। ব্যাটসম্যানদের টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে আসার পর প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নেমেই এমন অভিজ্ঞতা হলো ব্রুকের।
‘রান মেশিন’ হয়ে ওঠা জো রুট ও অধিনায়ক বেন স্টোকস থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে দলীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করার পথে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের পাশে বসেছেন রুট। এক পঞ্জিকাবর্ষে পন্টিংয়ের পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একাধিকবার ১৫০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালে টেস্টে রুটের রান ১৫০২। এর আগে ২০২১ সালে করেছিলেন ১৭০৮। পন্টিং ২০০৩ সালে ১৫০৩ ও ২০০৫ সালে ১৫৪৪ রান করেছিলেন।
প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানের লিড নিলেও ইংল্যান্ডকে ফলো-অন করাননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। নিজেরা দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে ল্যাথামই প্রথম আউট হন। তবে আরেক ওপেনার উইল ইয়াং ৬০ রান করেন। এরপর টেলএন্ডার ও’রুর্ক ০ রানে ফিরলেও উইলিয়ামসন দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯৭.১ ওভারে ৩৪৭ অলআউট
(স্যান্টনার ৭৬, ল্যাথাম ৬৩, উইলিয়ামসন ৪৪, ইয়াং ৪২; পটস ৪/৯০, অ্যাটকিনসন ৩/৬৬, কার্স ২/৭৮, স্টোকস ১/৯১)।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৫.৪ ওভারে ১৪৩ অলআউট
(রুট ৩২, স্টোকস ২৭, পোপ ২৪; হেনরি ৪/৪৮, স্যান্টনার ৩/৭, ও’রুর্ক ৩/৩৩)।
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩২ ওভারে ১৩৬/৩
(ইয়াং ৬০, উইলিয়ামসন ৫০*, ল্যাথাম ১৯, রবীন্দ্র ২*; স্টোকস ২/৪৫, অ্যাটকিনসন ১/১০)।
* ২য় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড ৩৪০ রানে এগিয়ে।