বাংলাদেশে শোয়েব মালিকের পছন্দ মাছ, অপছন্দ যানজট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ১৯৯৯ সাল থেকে। প্রায় দুই যুগের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন ৪৪৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৪৯৮টি।
বলা হচ্ছে শোয়েব মালিকের কথা। পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন, এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংবাদকর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। রংপুর রাইডার্সের হয়ে বিপিএল খেলতে আসা মালিককে যে সচরাচর সংবাদ সম্মেলনে পাওয়া যায় না। তাই তাঁকে ঘিরে সবার আগ্রহও একটু বেশি।
মালিক তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বাংলাদেশকে দেখেছেন কাছ থেকেই। তাঁর ক্যারিয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটও বদলেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএলের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পরিবর্তন ধরা পড়েছে মালিকের চোখে, ‘এখন বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারকেই পৃথিবীজুড়ে চেনে। এমনকি তারা দুনিয়াজুড়ে বিভিন্ন লিগে সুযোগও পাচ্ছে। ঘরের মাঠে তাদের সফল হওয়ার রেকর্ড অসাধারণ। একটা জায়গায় তারা উন্নতি করতে পারে—যখন দেশের বাইরে খেলে। ওদের প্রতিভা আছে। এখন শুধু তাদের ধারাবাহিকভাবে সুযোগ দিতে হবে যেন উন্নতি করতে পারে।’
প্রতিবারের মতো এবারের বিপিএলেও ব্যাট হাতে বেশ সফল এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। ৭ ম্যাচ খেলে ৪৫ গড়ে ২২৫ রান করেছেন, যা রংপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
নিজের পারফরম্যান্সের সূত্র ধরে বিপিএলের মান সম্পর্কে মালিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের মান খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, বিশেষত ব্যাটারদের জন্য। এখানে সব যে ব্যাটিংয়ের জন্য মানানসই পিচ, এমন নয়। যদি আপনি চট্টগ্রামে যান আলাদা, সিলেটে আলাদা, ঢাকায় আলাদা কন্ডিশন। আমার মনে হয়, যেখানেই যাবেন, আলাদা কন্ডিশন পাবেন প্লেয়ার হিসেবে। যখন আলাদা ভেন্যুতে ভিন্ন কন্ডিশন পাবেন, তখন খেলোয়াড় হিসেবে উন্নতিতে সাহায্য করবে। হয়তো এ জন্যই এখানে আসতে পছন্দ করি।’
মাঠের বাইরের বাংলাদেশকেও বেশ পছন্দ মালিকের। অপছন্দ কি কিছু নেই? আছে, সেই কথাও বললেন মালিক, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসি, এখানকার লোকজন ভালোবাসতে জানে। তারা মাঠে আসে, দলকে সমর্থন দেয়। আমি এখানকার খাবার পছন্দ করি, মাছ পছন্দ করি। এমনকি খেলোয়াড়রাও ভালোবাসতে জানে। এটা একটা পুরো প্যাকেজ যখন বাংলাদেশে আসি। একটা জিনিসই খারাপ—ট্রাফিক।’